এই ঈদে বড় পর্দায় নতুন চমক হিসেবে আসছে ‘তাণ্ডব’। প্রথমবারের মতো  শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ সাবিলা নূর। সিনেমাটি মুক্তির আগেই আলোচনায় উঠে এসেছে। আর সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে সিনেমাটির দ্বিতীয় গান ‘লিচুর বাগান’, যেখানে প্রথমবারের মতো নাচতে দেখা গেল সাবিলা নূরকে।  প্রকাশের পরপরই গানটি রীতিমতো আলোচনার ঝড় তুলেছে। চরকি ও এসভিএফের ইউটিউব চ্যানেলেগানের ভিডিও চিত্রটি দেখতে যেনো হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন দর্শক।

গানে ঠোঁট মিলিয়েছেন শাকিব খান ও সাবিলা নূর। কণ্ঠ দিয়েছেন প্রীতম হাসান ও জেফার রহমান। গানটিতে আরও কণ্ঠ দিয়েছেন আলেয়া বেগম ও মঙ্গল মিয়া। গানের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন প্রীতম হাসান।

চরকির ইউটিউব চ্যানেলে ১৭ ঘণ্টায় ২৭ লাখ  ‘ভিউ’ হয়েছে গানটির। মন্তব্য এসেছে হাজার হাজার। আর এসভিএফের চ্যানেলে ভিউ হয়েছে পাঁচ লাখেরও বেশি। 

এমডি, জনি মিয়া নামের একজন লিখেছেন, সাবিলা নূর যেনো তামান্না ভাটিয়া। আরেকজন পাপিয়া খাতুন নামের একজন লিখেন, এই প্রথম আইটেম গানের সুর শুনে মনে হচ্ছে  বাংলাদেশী গান,বাংলাদেশী বাংলাদেশী অনুভব হচ্ছে।

সিনেমাটিতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে সাবিলা নূর গণমাধ্যমকে জানান, শুরুতে কিছুটা নার্ভাস ছিলেন তিনি। বললেন, “তাণ্ডবের শুটিং সেটে শাকিব খানের সঙ্গে আমার প্রায় ১০ দিনের মতো কাজ হয়েছে। প্রথম দিনেই, প্রথম সিনেই শাকিব খানের সঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে একটু ভয় পাচ্ছিলাম। নাটকের তুলনায় সিনেমার পরিবেশ আলাদা। তাই একটা মানসিক চাপ তো ছিলই।”

তবে শাকিব খানের সহযোগিতাপূর্ণ আচরণই সেই ভয় কাটিয়ে দিয়েছিল বলে জানালেন সাবিলা। “শাকিব খান এমন একজন শিল্পী, যিনি কাজের সময় একদম নিজের মতো থাকেন, চরিত্রে ডুবে যান। তার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে আমি বুঝতেই পারিনি যে তিনি এত বড় একজন তারকা,” বলেন সাবিলা।

তিনি আরও বলেন, “ডিরেক্টর অ্যাকশন বলার পর যখন শাকিব খান ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান, তখন তাকে আর শাকিব খান মনে হয়নি। তখন তিনি ছিলেন আমার চরিত্র নিশাতের সামনে স্বাধীন। এই রকম আত্মস্থ হয়ে কাজ করাটা আমি তার কাছ থেকে শিখেছি। তিনি সবসময় স্ক্রিপ্ট নিয়ে ভাবেন, চরিত্র নিয়ে চিন্তা করেন। আমার মনে হয়েছে, তিনি নিজেকে আরও ভালো করার চেষ্টায় থাকেন সব সময়।”

‘তাণ্ডব’ পরিচালনা করেছেন রায়হান রাফি। এতে শাকিব-সাবিলার পাশাপাশি রয়েছেন গুণী অভিনেত্রী জয়া আহসান। ঈদুল আজহায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে এই বহুল আলোচিত সিনেমাটি। ভক্তদের প্রত্যাশা এখন আকাশচুম্বী। আর শাকিব খানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সাবিলা যেন সেই উন্মাদনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ মামলার আসামি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হয়েছেন। এতে একজন শিক্ষকসহ হোটেলের দুই কর্মচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের বড়িকান্দি গণি শাহ মাজার বাজারের একটি হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে উভয় পক্ষের লোকজন এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন।

নিহত ব্যক্তির নাম শিপন মিয়া (৩০)। তিনি বড়িকান্দি ইউনিয়নের নুরজাহানপুর গ্রামের মোন্নাফ মিয়া ওরফে মনেক মিয়ার ছেলে। নবীনগর থানা সূত্রে জানা গেছে, ওই দুজনের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অন্তত ২০টি মামলা আছে।

গুলিবিদ্ধ আহত ব্যক্তিরা হলেন বড়িকান্দি ইউনিয়নের থোল্লাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা এমরান হোসেন (৩৮) এবং হোটেলের দুই কর্মচারী—উপজেলার আলমনগর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে ইয়াসিন মিয়া (২০) ও চরলাপাং গ্রামের রশিদ মিয়ার ছেলে নুর আলম (১৮)। এমরান উপজেলার শ্যামগ্রামের মোহিনী কিশোর স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক। তাঁর ভাই ঢাকায় কর্মরত পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) বিল্লাল হোসেন।

বড়িকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মনেক ডাকাত এলাকাটা শেষ করে ফেলেছেন। তাঁর কারণেই এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়েছে। মনেক ডাকাতদের কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে। গুলিতে মনেক ডাকাতের ছেলে নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় লোকজন, প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় মোন্নাফ মিয়া ও তাঁর ছেলে শিপনের দীর্ঘদিন ধরে একক প্রভাব ছিল। তাঁদের সঙ্গে একই এলাকার থোল্লাকান্দি গ্রামের মিস্টার মিয়ার ছেলে আরাফাত মিয়ার বিরোধ চলছিল। শনিবার রাত আনুমানিক নয়টার দিকে বড়িকান্দি গণি শাহ মাজার বাজারের একটি হোটেলে শিপন মিয়া আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরে আরাফাতের নেতৃত্বে সশস্ত্র একটি দল হোটেলে ঢুকে গুলি চালায়। এতে শিপনসহ হোটেলের দুই কর্মচারী ইয়াসিন ও নুর আলম গুলিবিদ্ধ হন। গুলির শব্দে বাজারজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হামলার পর আরাফাত ও তাঁর সহযোগীরা দ্রুত পালিয়ে যান।

শিপনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর নুরজাহানপুরে পৌঁছালে মোন্নাফ মিয়ার নেতৃত্বে একদল লোক গণি শাহ মাজারের অদূরে তালতলায় এমরান হোসেনের কার্যালয়ে হামলা চালান। সেখানে এমরান গুলিবিদ্ধ হন। এরপর তাঁরা থোল্লাকান্দি গ্রামে হামলা চালিয়ে একাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। রাতে ঘটনাস্থলে অভিযান চালালেও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। কারণ, উভয় পক্ষের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গুলিবিদ্ধ কাউকেই শনিবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়নি। তাঁদের হয়তো অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, শিপনের ওপর হামলাকারী আরাফাত থোল্লাকান্দি গ্রামের এমরান হোসেনের আত্মীয়। এ কারণেই এমরানের কার্যালয়ে গিয়ে হামলা এবং তাঁকে গুলি করা হয়েছে।

নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নিহত শিপন ডাকাত দলের সদস্য ছিলেন। শিপন ও তাঁর বাবার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অন্তত ২০টি মামলা আছে। ওই ঘটনায় একজন শিক্ষকসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ঘটনার পর থেকে সবাই পলাতক। তাই কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার
  • ‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
  • যদি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে: এফ আর খান
  • বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি
  • ফতুল্লায় দুই ট্রাকের মাঝে পড়ে যুবকের মৃত্যু
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ মামলার আসামি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩
  • কে হবে নারী বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন
  • ভারত নাকি দক্ষিণ আফ্রিকা, কে হবে নতুন নারী বিশ্বকাপ চ‌্যাম্পিয়ন
  • বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রতি টিকিটের দাম দেড় লাখ টাকার বেশি
  • গোল্ডেন বুট হাতে এমবাপ্পে বললেন, রিয়ালে আরও বহু বছর থাকতে চাই