অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আলী খান মাহমুদাবাদ এখন ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের তৈরি করা ঘৃণামূলক কর্মকাণ্ডের সর্বশেষ শিকার হওয়া ব্যক্তি। পুলিশ ও বিচার বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় এ কাজটি তারা করছে।

মাহমুদাবাদের বিরুদ্ধে এমন এক অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে, যেটা তিনি করেননি। এখন তাঁকে তাঁর নির্দোষিতা প্রমাণ করতে বলা হয়েছে। তবে ব্যাপারটি ‘নির্দোষ প্রমাণের আগে দোষী সাব্যস্ত’ করার এটি একটি ধ্রুপদি দৃষ্টান্ত।

আরও পড়ুনমাওবাদীদের বিরুদ্ধে বিজেপি সরকারের এই ‘সর্বাত্মক যুদ্ধ’ কেন২৪ মে ২০২৫

তিনি যতই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য আত্মপক্ষ সমর্থন করুন না কেন, তাঁর বিরুদ্ধে সন্দেহ ঘনীভূত হয়েছে। এর কারণ হলো, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যে তাঁর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর দুটি ফেসবুক পোস্ট (দুটি পোস্টের শব্দ সংখ্যা ১৫৩০) পরীক্ষার জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি) গঠনের আগেই আদালত তাঁর সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেছেন।

মাহমুদাবাদ তাঁর ফেসবুক পোস্টগুলো নিয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া সত্ত্বেও, এখন দেশের সর্বোচ্চ আদালত যে সন্দেহের সৃষ্টি করেছে, তা নিয়ে তাঁকে ব্যাখ্যা দিতে হবে এবং সেই সন্দেহ দূর করতে হবে।

পোস্টগুলোতে মাহমুদাবাদ পাকিস্তানকে সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দাতা হিসেবে কঠোর সমালোচনা করেছেন। ভারতের পাকিস্তানবিরোধী সামরিক অভিযানের প্রশংসাও করেছেন। ভারত–পাকিস্তান সংঘাতের সময় ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র হিসেবে দুজন নারী কর্মকর্তা (যাঁদের একজন মুসলমান) যেভাবে বিশ্বমঞ্চে ভারতের অবস্থান তুলে ধরেছেন, তার প্রশংসা করেছেন তিনি। যা হোক, মাহমুদাবাদ তাঁর পোস্টে এই বলেও সতর্ক করেন যে ভারতের মুসলমানদের ওপর যে নিয়মিত নিপীড়ন চলছে, তা যদি বন্ধ না হয়, তাহলে এই অন্তর্ভুক্তিমূলকতার প্রদর্শনী নিছক ভণ্ডামি হিসেবেই থেকে যাবে।

বিজেপির ছাত্রসংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ মাহমুদাবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে। অশোকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাহমুদাবাদকে বরখাস্তের আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের মতে, মাহমুদাবাদ ‘রাষ্ট্রবিরোধী পোস্ট’ দিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের মুখপাত্রও তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছে।

অধ্যাপক মাহমুদাবাদ তাঁর পোস্টে যে মত প্রকাশ করেছেন তার আগে অসংখ্য ব্যক্তি ভিন্ন ভাষায় করেছেন। কিন্তু হঠাৎই হরিয়ানার নারী কমিশনের প্রধান রেনু ভাটিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেন।

তিনি অভিযোগ করলেন, মাহমুদাবাদ তাঁর পোস্টে দুই নারী কর্মকর্তাকে অপমান করেছেন। তাঁর এই অভিযোগ অনেককেই বিস্মিত করে। মাহমুদাবাদ তাঁর আইনজীবীদের দিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন। কিন্তু ভাটিয়া নিজের অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির না করতে পারলেও, সেই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হননি।

একজন টেলিভিশন উপস্থাপক ভাটিয়াকে বারবার জিজ্ঞেস করেন—মাহমুদাবাদের কোন শব্দটি বা বাক্যটি অপমানজনক ছিল? কিন্তু ভাটিয়া তার উত্তর দিতে পারেননি। এখন পর্যন্ত তিনি জোর দিয়ে বলেই চলেছেন—মাহমুদাবাদের পোস্ট পড়ে তাঁর মনে হয়েছে সেখানে অপমানজনক কিছু আছে। সে কারণেই তাঁর কাছে মনে হয়েছে, পোস্টে মাহমুদাবাদ ‘ভয়ংকর’ কিছু লিখেছেন। তাঁর মতে, কোন শব্দ আপত্তিকর তা খুঁজে বের করা পুলিশের কাজ, তাঁর না।

আরও পড়ুনমোদির ব্যক্তিপূজার পররাষ্ট্রনীতি ভারতকে বন্ধুহীন করেছে ০১ জুন ২০২৫

ভাটিয়ার অভিযোগের পর মাহমুদাবাদের পোস্টগুলো অগুনতি মানুষ ও সংবাদমাধ্যম খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেছে। কোথাও কোনো অরুচিকর কিংবা অপমানজনক আধেয় খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও নাগরিক সমাজের অনেকে তাঁর পক্ষে দাঁড়িয়েছেন এবং নারী কমিশনের কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ জানিয়েছেন।

ভাটিয়ার এই দাবিটি যে হাস্যকর সেই ধারণাটি জনমনে যখন প্রতিভাত হতে শুরু করল, তখনই ভারতের শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) একজন সদস্য হরিয়ানা পুলিশের কাছে অভিযোগ দিলেন, মাহমুদাবাদ এমন কথা লিখেছেন, যা তাঁর ও অন্যদের অনুভূতিতে আঘাত করেছে। পুলিশ সেই অভিযোগকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে মাহমুদাবাদের বিরুদ্ধে কঠিন ধারায় মামলা দেয়। এর মধ্যে ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা উসকে দেওয়া এবং নারীর মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। মাহমুদাবাদকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়।

খুব সতর্কতার সঙ্গে পোস্টগুলো পড়লে মাহমুদাবাদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে প্রমানিত হয়ে যায়। মাহমুদাবাদের আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টে তাঁর মুক্তি দাবি করেন ও পুলিশি তদন্তের ওপর স্থগিতাদেশ চান। কিন্তু শুনানির আগে অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বিভাগীর প্রধানেরাসহ ২০০ জন শিক্ষক বিবৃতি দিয়ে মাহমুদাবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

আরও পড়ুনভারতের মুসলমানদের উপর চাপিয়ে দেওয়া নতুন ‘যুদ্ধ’২৫ মে ২০২৫

তাঁরা অভিযোগ করেন, মাহমুদাবাদ ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করেছেন, প্রাতিষ্ঠানিক নৈতিকতা ও নারীর অধিকারকে ক্ষুণ্ন করেছেন’। মাহমুদাবাদের লেখাকে তাঁরা ‘ছদ্ম-বুদ্ধিবৃত্তির ছদ্মবেশে লুকানো নারীবিদ্বেষ’ বলে বর্ণনা করেন।

এরপর সুপ্রিম কোর্ট তিনজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করেন। তাদের কাজ হবে, মাহমুদাবাদের পোস্টের ‘জটিলতাগুলো বোঝা এবং পোস্টে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে সেটা যথাযথভাবে বিচার–বিশ্লেষণ করা’।

সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশ এই ধারণাকে সামনে আনে যে, মাহমুদাবাদ যে কথাগুলো লিখেছেন তার প্রকৃত অর্থ গ্রহণ করা হবে না। আপাতভাবে নিরীহ মনে হলেও, নিশ্চয়ই এ লেখার গভীরে কোনো গোপন উদ্দেশ্য লুকিয়ে আছে!

আদালত নিজেই যখন তার ব্যাখ্যাধর্মী ভূমিকাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়, তখন জনমনে প্রশ্ন জাগতে বাধ্য। লেখাগুলো পড়ে বিশ্লেষণ করা আদালতের জন্য কি এতই কঠিন কাজ ছিল? আদালত কি নিজেই নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসতে চাইছে?

এখন বিশেষ তদন্ত দল আদালতের আগাম অনুমানের ছায়াতেই তদন্ত করবে। আদালত এরই মধ্যে মাহমুদাবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এ অবস্থায় মাহমুদাবাদ কীভাবে সুষ্ঠু তদন্তের আশা করতে পারেন?

এর মধ্যেই মাহমুদাবাদকে ঘিরে কুয়াশার জাল বিস্তার করা হচ্ছে। তাঁর পারিবারিক ইতিহাস, ধর্ম পরিচয়, পাকিস্তানের সঙ্গে পারিবারিক যোগসূত্র, বিদেশভ্রমণ—এ সবকিছু এখন তদন্তের বিষয়। তাঁর ফেসবুক পোস্টের ব্যাখ্যাও এই প্রেক্ষাপটেই এখন মূল্যায়ন করা হবে।

সংবাদমাধ্যমও জোরেশোরে মাহমুদাবাদকে ‘শত্রু’ বানাতে ব্যস্ত। মাহমুদাবাদের আসল বক্তব্য হারিয়ে যাচ্ছে অপপ্রচার আর গুজবের কুয়াশায়।

বিজেপির ছাত্রসংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ মাহমুদাবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে। অশোকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাহমুদাবাদকে বরখাস্তের আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের মতে, মাহমুদাবাদ ‘রাষ্ট্রবিরোধী পোস্ট’ দিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের মুখপাত্রও তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছে।

এই একই কৌশল আমরা আগেও দেখেছি। উমর খালিদ বা শারজিল ইমামের মতো প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীদের ‘দানব’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার সেই পরিকল্পিত ছক। এখানে সংবাদমাধ্যম, পুলিশ ও বিচারব্যবস্থা হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে।

অপূর্বানন্দ, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দি পড়ান। তিনি সাহিত্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক সমালোচনা লেখেন।

আল–জাজিরা থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে অনূদিত

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ষ ট রব ব যবস থ কর ছ ন অপম ন তদন ত অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুত, সচিব কমিটি উপদেষ্টা পরিষদে পাঠাবে

পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে অধ্যাদেশের খসড়াটি সচিব কমিটির মাধ্যমে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের জন্য যাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে উপদেষ্টাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি প্রস্তাবিত পুলিশ কমিশনের কাঠামো ও কার্যক্রমের খসড়া তৈরি করেছে।

খসড়ায় প্রস্তাব করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এই কমিশনের চেয়ারপারসন হবেন। সদস্য থাকবেন একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ; গ্রেড-২ পদমর্যাদার নিচে নন এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা; অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা; পুলিশ একাডেমির একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ; আইন, অপরাধবিজ্ঞান বিষয়ের একজন কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক; ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন একজন মানবাধিকারকর্মী।

আরও পড়ুনপুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে স্বাধীন কমিশন অপরিহার্য৮ ঘণ্টা আগেকমিশনের চেয়ারপারসন আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং সদস্যরা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমপদমর্যাদার হবেন।

কমিশনের চেয়ারপারসন আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং সদস্যরা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমপদমর্যাদার হবেন। সদস্যরা যোগদানের দিন থেকে চার বছর নিজ নিজ পদে থাকবেন। মেয়াদ শেষে কোনো সদস্য আবার নিয়োগের যোগ্য হবেন না।

অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, পুলিশ কমিশনের নির্দেশ বা সুপারিশ প্রতিপালনে বাধ্যবাধকতার বিষয়ে বলা হয়েছে—এই কমিশন যেকোনো কর্তৃপক্ষ বা সত্তাকে কোনো নির্দেশ দিলে উক্ত কর্তৃপক্ষ বা সত্তা অনধিক তিন মাসের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। তবে কমিশনের নির্দেশ বা সুপারিশ বাস্তবায়নে কোনো অসুবিধা হলে সে ক্ষেত্রে নির্দেশ বা সুপারিশ পাওয়ার অনধিক তিন মাসের মধ্যে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। কমিশন বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে যে নির্দেশ বা সুপারিশ পাঠাবে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেই নির্দেশ বা সুপারিশ কমিশন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করে কমিশনকে জানাতে হবে।

আরও পড়ুনকোনো দল নয়, পুলিশের আনুগত্য থাকবে আইন ও দেশের প্রতি৯ ঘণ্টা আগেপুলিশ কমিশন গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের পর জুলাই জাতীয় সনদেও এটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

এই কমিশনের সদস্য পদে নিয়োগের সুপারিশ প্রদানের জন্য সাত সদস্যের সমন্বয়ে একটি বাছাই কমিটি গঠন করা হবে। খসড়া অধ্যাদেশে প্রধান বিচারপতির মনোনীত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপারসন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির মনোনীত একজন সরকারদলীয় এবং একজন বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যকে বাছাই কমিটিতে রাখার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ন্যূনতম পাঁচ সদস্যের উপস্থিতিতে বাছাই কমিটির কোরাম হওয়া ও বাছাই কমিটির বাছাই প্রক্রিয়া শুরুর ৩০ দিনের মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে খসড়া প্রস্তাবে।

আরও পড়ুন‘আওয়ামী পুলিশ, বিএনপি পুলিশ’ তকমা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ কঠিন: সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা১৭ ঘণ্টা আগে

পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ খসড়ায় কমিশন প্রতিষ্ঠা, কার্যালয়, সদস্যদের নিয়োগ, মেয়াদ, কমিশনের সদস্য হওয়ার জন্য কারা অযোগ্য, সদস্যদের পদত্যাগ, অপসারণ, পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা বৃদ্ধি, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি, নাগরিকের অভিযোগ অনুসন্ধান-নিষ্পত্তি, পুলিশ সদস্যদের সংক্ষোভ নিরসন, পুলিশপ্রধান নিয়োগ, আইন-বিধি, নীতিমালা প্রণয়ন ও গবেষণা বিষয়েও প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

পুলিশ কমিশন গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের পর জুলাই জাতীয় সনদেও এটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

আরও পড়ুনমাঝেমধ্যে শুনতে হয়, ‘উনি কি আমাদের লোক’: আইজিপি১৭ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
  • যদি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে: এফ আর খান
  • বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি
  • ফতুল্লায় দুই ট্রাকের মাঝে পড়ে যুবকের মৃত্যু
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ মামলার আসামি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩
  • পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুত, সচিব কমিটি উপদেষ্টা পরিষদে পাঠাবে
  • নামতে গেলেই চালক বাস টান দিচ্ছিলেন, পরে লাফিয়ে নামেন
  • তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের বিজয়ী সামিয়া
  • আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স
  • নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের ৩১ বিভাগকে প্রস্তুতির নির্দেশ ইসির