বাংলাদেশের ক্রিকেট আর ঢাকাই সিনেমার মধ্যে একটা ভালো মিল আছে। ক্রিকেটে আছে ‘সাকিবিয়ান’ আর ‘তামিমিয়ান’। বাংলা সিনেমার দুনিয়ায় এক দশকের বেশি সময় ধরে আছে ‘শাকিবিয়ান’, এর মধ্যে নতুন করে যোগ হয়েছে ‘নিশোইয়ান’। বড় তারকার আলাদা ভক্ত-সমর্থক থাকতেই পারে। সাধারণ ভক্তদের আবেগের বশে মাঝেমধ্যে বাড়াবাড়িও হয়ে থাকে। কিন্তু দুই তারকার ভক্তদের মধ্যে বিনা কারণে যে ‘ভার্চ্যুয়াল যুদ্ধ’ বেধেছে, এর ব্যাখ্যা কী। অতীতে এটা অনেকবার হলেও রায়হান রাফীর ঈদের সিনেমা ‘তাণ্ডব’কে ঘিরে যা হচ্ছে, সেটা যেন সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুনশাকিবের ‘বরবাদ’ আরও ভালো হতে পারত কি০৮ এপ্রিল ২০২৫ঈদের সিনেমার দুই প্রতিদ্বন্দ্বী তারকার ভক্তদের মধ্যে অন্তর্জালে ‘ভার্চ্যুয়াল যুদ্ধ’-এর বিশদে যাওয়ার আগের পটভূমি একটু বলা যাক। গত ২৩ মে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র ছিল মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের ২৬তম আসর। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আফরান নিশো ও তাসনিয়া ফারিণ। অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্রে ২৫ বছর পূর্তির জন্য শাকিব খানকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়। তারকা জরিপে ‘তুফান’-এর জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কারও পান তিনি। তবে বড় চমক তখনো বাকি ছিল।
একপর্যায়ে শাকিব ও নিশোকে মঞ্চে দেখা যায় একসঙ্গে পারফর্ম করতে। অনুষ্ঠানে শাকিবের প্রশংসা করেন নিশো। ব্যস, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় দুই তারকার পারফরম্যান্স। অনেকে সাধুবাদ জানান। কেউ আবার তাঁদের এই ‘মধুর মিলন’ মানতে পারেননি। তাঁরা আবার মিম বানান, কেউ আবার নাচের কিছু খণ্ডিত অংশে প্রচার করে বলার চেষ্টা করেন, শাকিবের উপস্থিতি পছন্দ করেননি নিশো। তবে মোটাদাগে দুই তারকার পারফরম্যান্স প্রশংসিত হয়। কিন্তু ঝড়ের তখনো বাকি ছিল।
মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অনুষ্ঠানের শেষ পরিবেশনায় শাকিব খান ও প্রীতম হাসানের ‘লাগে উরাধুরা’ গান ও নৃত্যের সঙ্গে দুই উপস্থাপক আফরান নিশো ও তাসনিয়া ফারিণ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, এখন উজ্জীবিত হওয়ার সময়’
জাতীয় দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স সন্তোষজনক নয়। এ নিয়ে আলোচনার কমতি নেই। পাকিস্তানের বিপক্ষে ধবলধোলাই, তার আগে যুক্তরাষ্ট্র ও আরব আমিরাতের কাছে হারের ধাক্কা এখনও ভোলেনি সমর্থকরা। এমন সময়ে নতুন দায়িত্ব পাওয়া বিসিবি পরিচালক ও সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল জানালেন, সমালোচনার চেয়ে এখন জরুরি খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করা।
সমকালের সঙ্গে আলাপে বুলবুল বলেন, ‘পাকিস্তান সফর শেষে জাতীয় দল দেশে ফিরলে আমরা প্রথমে পারফরম্যান্স মূল্যায়নের কাজ করব। খেলোয়াড়দের ফিডব্যাক দেব, আলোচনা করব কোথায় কোথায় উন্নতির জায়গা রয়েছে। যেহেতু আমরা তিন ফরম্যাটেই খেলি, সব জায়গাতেই উন্নতির চেষ্টা থাকবে।’
জাতীয় দলের পারফরম্যান্সের ওঠানামা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একটি দলের পারফরম্যান্স কখনও উপরে ওঠে, কখনও নেমে যায়। আমাদের আগে জানতে হবে নিচে নামার কারণ কী। সেটা পরিষ্কারভাবে জানলে উন্নতির পথও সহজ হবে।’
২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর ২০২৬ সালে ভারত-শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে বিসিবির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? এমন প্রশ্নে বুলবুল জানালেন, ‘আমরা চেষ্টা করব অন্তত দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার। তবে সেটা সম্ভব হবে দল গোছানো গেলে। আপনি দেখেছেন, আমরা আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র এমনকি পাকিস্তানের কাছেও হেরেছি। এমন অবস্থায় দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এখন সময় উজ্জীবিত হওয়ার।’
তবে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির ভূমিকায় থেকে সরাসরি টিম ম্যানেজমেন্টে হস্তক্ষেপ করতে চান না বলেও জানিয়েছেন বুলবুল। বলেন, ‘আমি সভাপতির জায়গা থেকে সরাসরি হস্তক্ষেপ করব না। আমাদের ক্রিকেট অপারেশনসের প্রধান সহসভাপতি আছেন নাজমুল আবেদীন ফাহিম ভাই। তার মাধ্যমেই কাজ করতে চাই।’