দেশের অন্যতম ইলেকট্রনিকস পণ্য উৎপাদনকারী ও বাজারজাতকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান মিনিস্টার–মাইওয়ান গ্রুপের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপিত হয়েছে গত রোববার।

এ উপলক্ষে রাজধানীর গুলশানে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন মিনিস্টার–মাইওয়ান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলরুবা তনু, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.

হুমায়ুন কবীর, নির্বাহী পরিচালক মো. ইসহাক জোয়াদ্দারসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এ ছাড়া মিনিস্টার–মাইওয়ান গ্রুপের ফ্যাক্টরি, শোরুম, ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলসহ দেশব্যাপী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপিত হয়।

এ সময় ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলরুবা তনু বলেন, ‘দেশের মানুষের আস্থা ও ভালোবাসায় মিনিস্টার–মাইওয়ান গ্রুপ আজকের অবস্থানে পৌঁছেছে। দেশের মানুষের এই আস্থা ও ভালোবাসাকে পুঁজি করে আমরা এগিয়ে যেতে চাই।’ তিনি মিনিস্টার–মাইওয়ান গ্রুপের দীর্ঘ পথযাত্রায় পাশে থাকার জন্য সব কর্মকর্তা–কর্মচারী, ডিলার, গ্রাহক ও শুভানুধ্যায়ীদের ধন্যবাদ জানান।

রাজধানীর গুলশানে মিনিস্টার–মাইওয়ান গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম ন স ট র ম ইওয় ন গ র প র

এছাড়াও পড়ুন:

ডলারের দামের আঁচ দা, বঁটির বাজারে

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের দা, বঁটি ও ছুরির দোকান থেকে গত মঙ্গলবার বড় আকারের একটি চাকু কেনেন আবদুল মজিদ নামের এক ব্যক্তি। জানতে চাইলে তিনি বললেন, চাকুটি বিক্রেতা ৯০০ টাকা নিয়েছে। বছর দুয়েক আগে তিনি একই আকারের একটি চাকু কিনেছিলেন ৭০০ টাকায়।

পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে দা, বঁটি, চাপাতি ও ছুরির বিক্রি বেড়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, বেচাকেনা মোটামুটি ভালো। তবে দাম বেশি। লোহার দাম বেড়ে যাওয়ায় তাঁদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

লোহার মূল্যবৃদ্ধির কারণ ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের শুরুতে যে ডলার ৮৬ টাকা ছিল, এখন তা ১২৩ টাকা। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় পুরোনো জাহাজ আমদানিতে খরচ বেশি পড়ছে। অন্যদিকে চীনে তৈরি ছুরি ও চাপাতি আমদানিতে সরাসরি বাড়তি ব্যয় হয় ডলারের দামের কারণে।

দেশে লোহার বড় একটি উৎস পুরোনো জাহাজ। চট্টগ্রামে এসব জাহাজ ভাঙা হয়। পরে তা গলিয়ে বিভিন্ন কারখানায় কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

পুরোনো লোহার বাজারে কেজিপ্রতি দর এখন ১০০ থেকে ১১০ টাকা। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, পাকা লোহার কেজি এখন ১৫০ টাকার আশপাশে। পাকা লোহা মূলত স্প্রিং গলিয়ে তৈরি করা হয়।

পুরোনো লোহার দর আগে কত ছিল, তার আনুষ্ঠানিক কোনো হিসাব নেই। তবে রডের দামের হিসাব পাওয়া যায় সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) কাছ থেকে। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন ৬০ গ্রেডের রডের টনপ্রতি দর ৮৭ থেকে ৯০ হাজার টাকা। ২০২১ সালে যা ছিল ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা। ২০২৪ সালে রডের টনপ্রতি দর ১ লাখ টাকার কাছাকাছি উঠেছিল।

লোহার উৎস যা-ই হোক, এর একটি নির্দেশক মূল্য আছে। রডের দামের সঙ্গে তা ওঠানামা করে।

দোকানিরা জানান, তিন বছর আগেও বড় আকারের একটি বঁটি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি করা যেত। এখন এখন সেটা ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা। ভারী একটি চাপাতি কিনতে এখন এক হাজার মতো লাগে। অবশ্য দাম নির্ভর করে পণ্যের ওজন ও গুণগত মানের ওপর।

কারওয়ান বাজারে ২৮ বছর ধরে দা, বঁটি, ছুরি তৈরি ও বিক্রির ব্যবসা করেন মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, লোহার দাম বেড়েছে। কেনা দাম বেশি হলে তাঁদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। তবে ক্রেতারা দামাদামি করেই কিনছেন।

বিক্রেতাদের দাবি, শুধু কাঁচামালের দাম নয়, তাঁদের জীবনযাত্রার খরচও বেড়েছে। এ কারণে একই পণ্যে আগের চেয়ে বেশি লাভে বিক্রি করতে হচ্ছে।

রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় দা, বঁটি ও ছুরি বিক্রি করেন এক বিক্রেতা, যিনি নাম বলতে চাননি। তিনি বলেন, আগে দিনে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা লাভ করতে পারলে চলে যেত। এখন ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা না হলে হয় না। বিক্রি তো বাড়েনি। বরং দোকান এখন বেশি। এ কারণে সমপরিমাণ পণ্য থেকে তাঁকে বেশি লাভ করতে হচ্ছে।

কিছু ছুরি, চাপাতি, কুড়াল ইত্যাদি সরাসরি বিদেশ থেকে আমদানি হয়। কারওয়ান বাজারের আকমল হোসেন নামের এক বিক্রেতা বলেন, তাঁরা কিছু চাইনিজ কুড়াল বিক্রি করেন। এসব কুড়াল ৩ বছর আগে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি করা যেত। এখন সেটা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ