কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা পর্যটক এক্সপ্রেসের ধাক্কায় চট্টগ্রামে তিনজন নিহত হয়েছেন। ট্রেনের ধাক্কায় কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুর পূর্ব প্রান্তে বোয়ালখালী উপজেলায় এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৪ জন।

দুর্ঘটনার বিষয়ে জানালিহাট স্টেশনের দায়িত্বরত স্টেশন মাস্টার মো.

নেজাম উদ্দিন সমকালকে বলেন,  সেতুর ওপর সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ছিল। সেখানে একটি গাড়ি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এ কারণে সব গাড়ি সেতু থেকে নামতে পারেনি। এসময় ট্রেনটি সজোরে গাড়িগুলোকে ধাক্কা দেয়। এতে শিশুসহ তিনজন নিহত হয়। আহত হন অন্তত ৪ জন। সবাইকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ট্রেনচালক সংকেত অমান্য করেছেন কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে নেজাম উদ্দিন বলেন, ‘নিয়ম হলো ট্রেন পূর্ব প্রান্তে এসে দাঁড়াবে। এরপর লাইনম্যানের সংকেত নিয়ে সেতুতে উঠবে। কিন্তু ট্রেনচালক এ নিয়ম না মেনে দ্রুতগতিতে সেতুতে উঠে যান। একই সময় উল্টো দিক থেকে গাড়ি আসছিল। এ কারণে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে।’

চান্দগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ আফতাব উদ্দিন সমকালকে জানান, আহত কয়েকজনকে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেখানে গুরুতর আহতও আছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা লোকমান হোসেন জানান, লাল বাতির সিগন্যাল অমান্য করে ট্রেনটি দ্রুতগতিতে এসে বেশ কয়েকটি অটোরিকশা, মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। সব যানবাহন একেবারে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। এসময় একটি শিশুকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পরে শুনেছি সে মারা গেছে।

এদিকে রাত আড়াইটার দিকে চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে জানানো হয়, দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিন জন নিহত হওয়ার তথ্য জানা গেছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ট র ন দ র ঘটন ন হত দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

জলাবদ্ধতাসহ রাস্তাঘাটের সমস্যা সমাধানে ডিসি এবং ইউএনওর কাছে আবেদন

সদর উপজেলার ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার জলাবদ্ধতা ও রাস্তা ঘাটের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার কাছে আবেদন করা হয়েছে।

বুধবার (৪ জুন) দুপুরে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ উন্নয়ন ফোরামের নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসকের সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করে এই আবেদন করেন। 

এসময় ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার জলাবদ্ধতা ও রাস্তা ঘাটের উন্নয়নের বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধান সম্বলিত একটি আবেদন জমা দেয়া হয়। একই সাথে ডুকুমেন্ট আকারে ভিডিও ফুটেজ সহ দেয়া হয়।

একই সাথে জেলা প্রশাসকের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা করা হয়। এর আগে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরীর সাথে সাক্ষাৎ করেন। 

ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার বলেন, ফতুল্লার এলাকার মানুষজন সবসময় জলাবদ্ধ থাকে। এ বিষয়ে আমরা জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী অভিসারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।

পরবর্তীতে এলজিআরডি দপ্তরেও যাবো। পাশাপাশি আমরা ফতুল্লা এলাকার বেশ কয়েকটি শ্রমজীবী মানুষের জন্য ভ্যানের ব্যবস্থা করেছি। বর্ষা মৌসুমে এটা চলবে। খাল পরিস্কার করার ক্ষেত্রে সরকারি উদ্যোগ কে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে। 

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আমরা অতি শ্রীঘ্রই খাল খনন কাজ শুরু করবো। এ ব্যাপারে আমি সকলের সহযোগিতা চাই।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ, নারায়ণগঞ্জ মহানগরী আমির মাওলানা আবদুল জব্বার, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আবু সাঈদ মুন্না, মহানগরী জামায়াতের কর্ম পরিষদ সদস্য, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক  হাফেজ আবদুল মোমিন, গোলাম সারোয়ার সাঈদ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছোট্ট সন্তানের লাশ নিয়ে বাবার বিলাপ, ‘ও আমার আয়েশা তুই কোথায় গেলিরে’
  • জলাবদ্ধতাসহ রাস্তাঘাটের সমস্যা সমাধানে ডিসি এবং ইউএনওর কাছে আবেদন
  • ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের ঈদ সামগ্রী বিতরণ
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই ট্রাক উল্টে একের পর এক বিস্ফোরণ
  • ভাঙ্গায় বাস-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৫