২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়ে ইতিহাস গড়েছে এশিয়ার দুই দেশ উজবেকিস্তান ও জর্ডান। এই প্রথমবারের মতো পুরুষদের বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছে তারা।

বৃহস্পতিবার এশিয়ান অঞ্চলের বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে উজবেকিস্তান। এই ড্রয়ের ফলে ‘এ’ গ্রুপে দ্বিতীয় স্থান ধরে রেখে এক ম্যাচ হাতে রেখেই বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয় দেশটি। 

এদিকে ইরাককে ২-০ গোলে হারিয়ে নতুন সংস্করণের বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করে দক্ষিণ কোরিয়া। এই নিয়ে টানা ১১ বার বিশ্বকাপের মূল পর্বে উঠল ২০০২ আসরে বিস্ময় জাগিয়ে সেমিফাইনাল খেলা দেশটি। তাদের এই জয়ের সৌজন্যে দিনের আরেক ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জয়ী জর্ডানেরও বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত হয়ে যায়।

স্বাগতিক তিন দল ছাড়া আগামী বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করা সাতটি দল হলো- জাপান, নিউ জিল্যান্ড, ইরান, আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও জর্ডান। স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোসহ মোট ৪৮ দল অংশ নেবে এবারের বিশ্বকাপে, এটি ফিফার ইতিহাসে প্রথমবার।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উজব ক স ত ন র ব শ বক প

এছাড়াও পড়ুন:

কোহলিদের উৎসবে ১১ জনের মৃত্যু: দায় কার—ফ্র্যাঞ্চাইজি না রাজ্য সরকারের

ক্রীড়াঙ্গনে অভাগাদের অপেক্ষা ফুরানোর মৌসুম হিসেবেই শুধু এটিকে মনে রাখতেন সবাই। কিন্তু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু সমর্থকদের হুড়োহুড়ির কারণে ভারতীয় ক্রিকেটে এটিকে ট্র্যাজেডির মৌসুম হিসেবেও মনে রাখা হবে।

১৮ বছরের আইপিএল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতেছে বিরাট কোহলির দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। পরশু রাতে আহমেদাবাদের ফাইনালে পাঞ্জাব কিংসকে ৬ রানে হারিয়ে কাল ট্রফি নিয়ে বেঙ্গালুরুতে ফিরেছে চ্যাম্পিয়ন দল। বিধান সৌধ থেকে ‘ভিক্টরি প্যারেড’ করতে করতেই নিজেদের মাঠ এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে পৌঁছান কোহলি-পতিদার-ক্রুনালরা।

শিরোপাজয়ী দলের আগমন ঘিরে বেঙ্গালুরুর সমর্থকদের মধ্যে বাড়তি উন্মাদনা কাজ করবে, তা জানাই ছিল। আট থেকে আশি—সব বয়সী মানুষ কাল রাস্তায় নেমে এসেছিলে। কিন্তু উন্মাদনা লাগাম ছাড়িয়ে যাওয়াতেই বেঁধেছে বিপত্তি।

পদদলিত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন, আহত হয়েছেন ৩৩ জন। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া হতাহতের এই সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন। যদিও ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, আহতের সংখ্যা ৫০–এর বেশি।

মর্মান্তিক এই ঘটনায় ভারতের সর্বমহল থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হলেও পর্যাপ্ত প্রস্তুতির অভাব ও পরিস্থিতি সামাল দিতে গাফিলতির অভিযোগ এনে কর্ণাটক সরকারকেই দায়ী করা হচ্ছে। তবে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী পেসার মদন লাল মনে করেন, শুধু রাজ্য সরকার নয়; দায় নিতে হবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মালিকপক্ষকেও।

ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মদন লালের অভিযোগ দুটি—কয়েক দিন অপেক্ষা না করে ট্রফি জয়ের পরদিনই এত বড় আয়োজন করা এবং পদদলিত হয়ে হতাহতের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরও স্টেডিয়ামের ভেতর উদ্‌যাপন চালিয়ে যাওয়া।

বার্তা সংস্থা পিটিআইকে মদন লাল বলেছেন, ‘এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে ১১ জন প্রাণ হারিয়েছে। এই ট্র্যাজেডি কোনোভাবেই ঘটা উচিত ছিল না। এটি পুরোপুরি এড়ানো যেত। মঙ্গলবার রাতে আপনি আহমেদাবাদে উদ্‌যাপন করলেন। তাহলে বেঙ্গালুরুতে উদ্‌যাপন করার জন্য এত তাড়াহুড়ো কেন? উদ্‌যাপন দুই-তিন দিন পরেও হতে পারত। আরসিবি সমর্থকেরা তখনো পূর্ণ উদ্যমে উপস্থিত থাকতে পারত।’

ভারতের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এত জনসমাগম দেখে স্থানীয় ট্রাফিক পুলিশ ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষকে ‘ভিক্টরি প্যারেডের’ অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানায়। মালিকপক্ষ নাকি আদেশ অমান্য করেই কর্ণাটকের আইনসভা বিধান সৌধ থেকে এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম পর্যন্ত প্যারেড করে। পরে পুলিশ এতে বাধা দেয়নি। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ লাঠিপেটা করতে বাধ্য হয়। সেই হুড়োহুড়িতেই পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটে।

মদন লাল তাই দায় দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট সবাইকেই, ‘কে দায়ী—আরসিবি না রাজ্য সরকার? যদি রাজ্য সরকার বাধা দিত, তাহলে প্যারেড এগিয়ে যেত না। তাই সরকার অবশ্যই দায়ী। কিন্তু আরসিবিও দোষী। বেঙ্গালুরুতে পৌঁছানোর মাত্র চার ঘণ্টা পরেই দলকে জনসাধারণের সঙ্গে উদ্‌যাপনের জন্য বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাদের এত তাড়া কীসের? আইপিএল দলগুলোর বিশাল ভক্ত রয়েছে। এখানে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক বড় ভুল করেছেন।’

বেঙ্গালুরু ট্র্যাজেডি নিয়ে বার্তা সংস্থা আইএএনএসকেও নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মদন লাল। সেখানে কথা বলতে গিয়ে তিনি বেঙ্গালুরুর মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন, ‘যখন বাইরে মানুষ মারা যাচ্ছিল, তখন তারা ভেতরে উৎসব করছিল। এটা সত্যিই মর্মান্তিক এবং হতাশাজনক। মৃতদের পরিবারের উচিত এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জন্য আরসিবি এবং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি রুপির মামলা করা।’

প্রথমবার আইপিএল শিরোপা জেতা কোহলিও হৃদয় বিদারক এই ঘটনায় হতবাক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। বলার মতো অবস্থা নেই। খুবই ভয় পেয়েছি।’

ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার লিখেছেন, ‘বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতি আমার হৃদয় আজ বেদনার্ত। সবার শান্তি ও শক্তি কামনা করছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিশ্বকাপে টিকিট পেল ১০ দেশ , বাকিরা আসবে কিভাবে
  • প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে উজবেকিস্তান–জর্ডান, আরও যারা বিশ্বকাপের টিকিট পেল
  • কোহলিদের উৎসবে ১১ জনের মৃত্যু: দায় কার—ফ্র্যাঞ্চাইজি না রাজ্য সরকারের
  • ঢাকায় টিকে আছে ১৩ লাখ গাছ
  • বিরাটদের পক্ষে বাজি ধরে ১.৩ মিলিয়ন ডলার জিতলেন র‌্যাপার ড্রেক
  • আইপিএল: কে কোন পুরস্কার পেলেন?