অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ ও যমুনা সেতু সংযোগ সড়কে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দিবাগত রাতে একাধিক গাড়ি বিকল হওয়ায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়‌কের ২৫ কিলোমিটারে থেমে থেমে যানবাহন চলছে। মাঝরাত থেকে যমুনা সেতুর টোল প্লাজা থেকে ঘারিন্দা পর্যন্ত এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। 

এতে ঈদে ঘরমুখো উত্তরাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের কষ্ট পাচ্ছে।

ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী বাসের যাত্রী সুলতান বলেন, ‘‘যেখানে ৫ ঘণ্টায় বাড়ি যেতে পারি। আজকে ১৩ ঘণ্টাও টাঙ্গাইল সদর উপজেলা ছাড়তে পারলাম না। গরমে বাসে বসে কষ্ট পেতে হচ্ছে।’’

আরো পড়ুন:

রেলওয়ে উপদেষ্টা
ভোগান্তির বিষয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়নি

সড়কে পরিবহন সংকট, ভোগান্তিতে ঘরমুখো মানুষ

পাবনাগামী বাসের যাত্রী রাসেল মিয়া বলেন, ‘‘৪০০ টাকার ভাড়া ১ হাজার টাকা দিয়ে যাচ্ছি। তারপর পথে যানজটে কষ্ট হচ্ছে।’’

বাসের নারী যাত্রী রুমা বেগম বলেন, ‘‘সব জায়গায় নারীদের ভোগান্তি বেশি। যানজটে শিশু সন্তান নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। যানজটে আছি প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে। এর আগে গাজীপুর, চন্দ্রায়ও যানজটে ছিলাম।’’

শুক্রবার (৬ জুন) সকালে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ওসি মো.

শরিফ জানান, যানবাহনের চালকদের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজট নিরসনে মহাসড়‌কে পুলিশ কাজ করছে। দ্রুত যান চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে জানান তিনি।
 

ঢাকা/কাওছার/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন য নজট

এছাড়াও পড়ুন:

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ধসে ১০ শ্রমিক আহত

ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ধসে অন্তত ১০ শ্রমিক আহত হয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ‘বিদ্রোহী’ ছাত্রাবাসের পাশে একটি ১০ তলা ছাত্রাবাস নির্মিত হচ্ছে। নির্মাণাধীন ছাত্রাবাসের নিচতলায় একটি বারান্দার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। আজ সকাল থেকে ঢালাইয়ের কাজ চলতে থাকে। কিন্তু বিকেল সোয়া চারটার দিকে বিকট শব্দে ধসে পড়ে পুরো ছাদ। এ সময় সেখানে কাজ করা অন্তত ১০ শ্রমিক আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে একজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) এস এম জিয়াউল বারী বলেন, আহত অবস্থায় ১০ শ্রমিককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। তাঁদের মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, আজ দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল। ছাদ ঢালাই দেওয়ার জন্য খুঁটিগুলো ছিল দুর্বল। অনেক স্থানে লোহার পাইপের পরিবর্তে খুঁটি হিসেবে বাঁশ ও পাটের দড়ি ব্যবহার করা হয়। দুর্বল কাঠামোর কারণেই ছাদ ধসে যেতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মাহবুবুর রহমান বলেন, ১০ তলা ভবনের নিচে বারান্দার অংশের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। নির্মাণকাজ করছিল সিএসআই নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ছাদ ধসে কয়েকজন শ্রমিক আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কী কারণে ধসে পড়ল, কারও গাফিলতি আছে কি না, তা তদন্তে দেখা হবে। তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ