বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন বলেছেন, ‘নগর ভবনে কোনো অনির্বাচিত উপদেষ্টা বা প্রশাসক বসতে পারবেন না। প্রয়োজনে বিগত কাউন্সিলর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের সমন্বয়ে ‘বিপ্লবী নগর কাউন্সিল‘ গঠন করে নগরীর কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’

শুক্রবার পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাতের জন্য প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ইশরাক বলেন, ‘এখানে আমি নির্বাচিত এবং সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মেয়র হিসেবেই এসেছি। এটা আমার দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। শুধু তাই নয়, আগামীকাল যারা পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিত থাকবেন, তাদের সঙ্গেও আমি মাঠে থাকব।’

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ প্রসঙ্গে ইশরাক অভিযোগ করেন, এই পরিষদ তাদের নিরপেক্ষতা হারিয়েছে এবং তাদের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। 

তিনি বলেন, ‘যদি উপদেষ্টাদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণের ইচ্ছা থাকে, তবে তাদের উচিত পদত্যাগ করে সরাসরি রাজনীতিতে নামা।’

স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় কাঙ্ক্ষিত সংস্কার হয়নি। এ নিয়ে কেউ কথা বলছে না। আমরা এ বিষয়ে প্রয়োজনে আন্দোলনে যাব।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইশর ক হ স ন উপদ ষ ট ইশর ক

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁদার দাবিতে পিটিয়ে হত্যা, দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদার দাবিতে সিরাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় দুই ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মোমিনুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা অনুপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পাপ্পু (৪০) ও তার ভাই শুক্কুর (৩৭)। তারা উভয় সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি বাতানপাড়া এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে।

আরো পড়ুন:

ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিটের ভূমি অধিগ্রহণে জালিয়াতি, মামলার অনুমোদন

ফেনীতে ছাত্র হত্যা: শেখ হাসিনাসহ ২২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান বলেন, ‘‘সৌদি প্রবাসী জাকির হোসেনের নির্মাণাধীন ভবনের কাজের তদারকি করতেন সিরাজুল ইসলাম। সে সময় শুক্কুর ও তার ভাই পাপ্পুসহ কয়েকজন সিরাজুলের কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় ২০১৫ সালের ২৩ জুলাই তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেছেন।’’

ঢাকা/অনিক/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ