এএফসি এশিয়ান কাপ খেলতে হলে গ্রুপসেরা হতে হবে—সমীকরণ একটাই। কয়েক দিন আগে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল বলেছিলেন, হামজারা গ্রুপসেরা হয়েই ২০২৭ সালের এএফসি এশিয়ান কাপে খেলবেন। কিন্তু বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা সভাপতির মতো জোর গলায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা বলতে পারলেন না।

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করায় এক পয়েন্ট পেয়েছে বাংলাদেশ। আগামীকাল ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে দ্বিতীয় ম্যাচ। সেই ম্যাচের আগে রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন কাবরেরা।

এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জন করা খুবই চ্যালেঞ্জিং। কারণ, সেখানে প্রতিটি গ্রুপ থেকে কেবল একটি দল যাবে। ভারতের সঙ্গে আমরা দারুণ ফুটবল খেলেছিলাম। কিন্তু এই গ্রুপে সেরা হওয়ার জন্য আমাদের আরও কিছু জায়গায় উন্নতি দরকার।হাভিয়ের কাবেরার, কোচ, বাংলাদেশ

মূল ম্যাচের আগে ৪ জুন ভুটানের সঙ্গে জয় দিয়ে প্রস্তুতি সেরেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে সিঙ্গাপুর মালদ্বীপকে হারিয়ে বাংলাদেশ ম্যাচের প্রস্তুতি সেরেছে। কাবরেরা বাংলাদেশের প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্ট, ‘আমাদের প্রস্তুতিটা ভালো হয়েছে। যদিও কম সময় পেয়েছি, তবু মন্দ নয়। আমরা ভুটানের সঙ্গে একটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি, যেটা আমাদের মনোবল বাড়িয়েছে। এখন চূড়ান্ত লড়াইয়ে নামার অপেক্ষা। সবাই সেই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।’

ভুটানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রস ত ত ক বর র

এছাড়াও পড়ুন:

অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ 

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে। 

আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। 

‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়। 

পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল। 

ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র‌্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র‌্যাঙ্কিং ৫৫)। র‌্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না। 

প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।

এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ। 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ