রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে হামলার ঘটনায় মামলা
Published: 11th, June 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছারি বাড়িতে হামলা ও অডিটোরিয়াম ভাঙচুরসহ মারপিটের ঘটনায় ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বুধবার (১১ জুন) দুপুরে কাছারি বাড়ির কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
এদিকে, ভাঙচুরের ঘটনায় আজ দুপুরে সংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের তিন সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আরো পড়ুন:
দেশবিরোধী প্রচারণার অভিযোগ: ৬ আসামি রিমান্ড শেষে কারাগারে
ভাইকে কুপিয়ে হত্যার ২৭ দিন পর আসামি গ্রেপ্তার
গত (৮ জুন) প্রবাসী শাহনেওয়াজ নামের এক ব্যক্তি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কাছারি বাড়ি পরিদর্শনে যান। সেখানে মোটরসাইকেল পার্কিং ফি নিয়ে গেটের এক কর্মচারীর সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। পরে ওই দর্শনার্থীকে অফিস কক্ষে আটকে রেখে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজনের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
গত (১০ জুন) এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিল থেকে একদল উত্তেজিত জনতা কাছারি বাড়ির অডিটোরিয়ামে ভাঙচুর চালায় এবং এক পরিচালককে মারধর করেন। এ ঘটনার পর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল ও শাহজাদপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুশফিকুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আজ সকালে অনির্দিষ্টকালের জন্য কাছাড়ি বাড়িতে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধের একটি নোটিশ টাঙিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। প্রবেশ নিষিদ্ধের নোটিশ দেখে কাছাড়ি বাড়িতে আগত দর্শনার্থীরা ফিরে যেতে দেখা যায়।
কাছারি বাড়ির কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমান বলেন, “অনিবার্য কারণবশত দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ থাকবে এবং পুরো বিষয়টি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের নজরদারিতে রয়েছে। ঈদের ছুটিতে এক দর্শনার্থীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনার পর অডিটোরিয়ামে হামলা, ভাঙচুর ও মারধরের পর কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
শাহজাদপুর থানার ওসি আসলাম আলী মামলা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কাছারি বাড়িতে হামলা চালিয়ে অডিটোরিয়াম ভাঙচুর ও স্টাফদের মারধরের ঘটনায় ১০ জনের নাম উল্লেখ ও নাম না জানা ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।”
শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.
ঢাকা/অদিত্য/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র রহম ন র ঘটন য় র একট
এছাড়াও পড়ুন:
গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলায় অপু গ্রেপ্তার
রাজধানীর গুলশানে সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির মামলায় এজাহারনামীয় আসামি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সদ্য বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ওয়ারী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির ঘটনায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে ওয়ারী থেকে ডিবির ওয়ারী বিভাগের সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছেন। তাকে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
গত ১৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে একটি চক্র রাজধানীর গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন জানে আলম অপু ওরফে কাজী গৌরব অপু এবং আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ। এ সময় শাম্মী আহমেদ দেশের বাইরে থাকায় তার স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরকে জিম্মি করে ভয় দেখানো হয়।
চক্রটি বাসায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করে প্রথম ধাপে ১০ লাখ টাকা আদায় করে নেয়। এর মধ্যে ৫ লাখ টাকা ভাগ পান অপু এবং বাকি ৫ লাখ পান রিয়াদ। চাঁদার দ্বিতীয় কিস্তি আনতে ২৬ জুলাই সন্ধ্যায় আবারও গুলশানের ওই বাসায় গেলে চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করে পুলিশ। তারা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ, ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সাকদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব এবং আমিনুল ইসলাম। তাদের সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বিভিন্ন পদে ছিলেন। গ্রেপ্তারের পরপরই তাদেরকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এদিকে, চাঁদাবাজির এ ঘটনায় গুলশান থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এজাহারনামীয় ছয় আসামি ও অজ্ঞাত ১০-১২ জন সমন্বয়ক পরিচয়ে ১৭ জুলাই সকালে আমার গুলশান-২ নম্বরের বাসায় আসে। যার মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার দাবি করে। তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দেখায়। একপর্যায়ে আমি বাধ্য হয়ে ১০ লাখ টাকা দিই। পরে ১৯ জুলাই রাতে রিয়াদ ও অপু আমার বাসায় এসে ধাক্কাধাক্কি করে, যা আমি পুলিশকে ফোন করে জানাই। এ সময় অভিযুক্তরা সেখান থেকে সটকে পড়ে।
এজাহারে আরো বলা হয়েছে, ২৬ জুলাই শনিবার বিকেলে রিয়াদের নেতৃত্বে আসামিরা আমার বাসার সামনে এসে আমাকে খুঁজতে থাকে। আমি বাসায় না থাকায় বাসার দারোয়ান আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। এ সময় আসামিরা তাদের দাবিকৃত আরো ৪০ লাখ টাকা না দিলে আমাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানো হবে বলে হুমকি দিতে থাকে।
ঢাকা/এমআর/রফিক