চাচাত ভাইয়ের স্ত্রী সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলায় সন্ত্রাসী হামলা
Published: 11th, June 2025 GMT
বন্দরে চাচাত ভাইয়ের স্ত্রী সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার জের ধরে সন্ত্রাসী হামলায় ২ নারীসহ ৪ জন রক্তাক্ত জখম হয়েছে। ওই সময় হামলাকারিরা দুটি বসত ঘরে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে ৮০ হাজার টাকা ক্ষতিসাধনসহ স্ট্রীল আলমারিতে রক্ষিত গরু বিক্রির নগদ ২ লাখ ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
সন্ত্রাসী হামলায় আহতরা হলো মাসুদা বেগম (৪২) লুৎফা বেগম (৪৫) আজিজুল হক (৬৫) ও অনি (২৮)। স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছে।
এ ঘটনায় আহত অনি বাদী হয়ে বুধবার (১১ জুন) দুপুরে হামলাকারি হালিম, সেলিম, আব্দুল কুদ্দুস, ডালিম, মুক্তার, পারুল বেগম ও জেয়াসমিনের নাম উল্লেখ্য করে আরো ৭/৮ জনকে আসামী করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১০ জুন) রাত পৌনে ১০টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর সাবদী এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর সাবদী এলাকার আবু সাত্তার মিয়ার ছেলে অভিযোগের বাদী অনি মিয়ার বড় ভাই সনি দীর্ঘ দিন ধরে প্রবাসে জীবন যাপন করে আসছে। এ সুবাদে গত ৬ মাস পূর্বে অভিযোগের বাদী অনি বড় ভাই প্রবাসী সনি সাথে তারেই চাচাত ভাইয়ের স্ত্রী সুমাইয়া বেগমের সাথে ফোনে একদিন কথা হয়।
এ ঘটনার জের ধরে গত মঙ্গলবার রাতে বন্দর উপজেলার উত্তর সাবদী এলাকার আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার হুকুমে তার তিন সন্ত্রাসী ছেলে হালিম, সেলিম ও ডালিম এবং জামাতা মুক্তার তার স্ত্রী জেয়াসমিন ও পুতুল মিয়ার স্ত্রী পারুল বেগমসহ অজ্ঞাত নামা ৭/৮ জন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশিয় অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রবাসী সনি বসত বাড়িতে অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায়।
ওই সময় হামলাকারিরা বাড়ি ঘর ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে ৮০ হাজার টাকা ক্ষতি সাধনসহ স্ট্রীল আলমারি ভেঙ্গে গরু বিক্রির নগদ ২ লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। ওই সময় হামলাকারিরাদের বাধা দিতে গিয়ে উল্লেখিত ২ নারীসহ ৪ জন রক্তাক্ত জখম হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ৩ পুলিশ নিহত
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে বন্দুক হামলায় তিন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরো দুই পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ২টার কিছু পর এক পারিবারিক বিরোধের তদন্তে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে পুলিশ। খবর বিবিসির।
আরো পড়ুন:
শেরপুরে পুলিশের উপর হামলা: থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪
ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ ও থানায় হামলা, ভাঙচুর-আগুন
পেনসিলভানিয়া স্টেট পুলিশের কমিশনার কর্নেল ক্রিস্টোফার প্যারিস জানান, অভিযুক্ত বন্দুকধারী পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে।
গুলির ঘটনার পর ইয়র্ক কাউন্টির নর্থ কোডোরাস টাউনশিপের স্প্রিং গ্রোভ এলাকার একটি স্কুল জেলা সাময়িকভাবে ‘শেল্টার ইন প্লেস’ ঘোষণা করে। তবে পরে জানানো হয়, স্কুল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জনসাধারণের জন্য বর্তমানে কোনো সক্রিয় হুমকি নেই। এ ঘটনা ঘটে ফিলাডেলফিয়া থেকে প্রায় ১০০ মাইল (১৬০ কিমি) পূর্বে অবস্থিত ইয়র্ক কাউন্টির এক গ্রামীণ এলাকায়।
তারা বলছে, আগের দিন শুরু হওয়া একটি তদন্তের অংশ হিসেবে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন। তবে তদন্ত চলমান থাকায় বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হয়নি।
পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জোশ শাপিরো বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বলেন, “আমরা তিনজন মহামূল্যবান প্রাণ হারালাম, যারা এই দেশকে সেবা দিয়েছেন। এই ধরনের সহিংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সমাজ হিসেবে আমাদের আরো ভালো করতে হবে।”
নিহত তিন কর্মকর্তার সম্মানে গভর্নর শাপিরো রাজ্যের সব সরকারি ভবন ও স্থাপনায় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দেন।
ঢাকা/ইভা