নিখোঁজ হওয়ার আট দিন পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানী ঢাকার সবুজবাগ থানার বাইকদিয়া এলাকা থেকে মাটি খুঁড়ে জাকির হোসেন (৫৫) নামের এক প্লাস্টিক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর সারা শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল।

পুলিশ বলেছে, সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটক করে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মাটি খুঁড়ে জাকিরের লাশ উদ্ধার করা হয়।

সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

ইয়াছিন আলী প্রথম আলোকে বলেন, প্লাস্টিক ব্যবসায়ী জাকির হোসেন সপরিবার সবুজবাগ থানার বাইকদিয়া এলাকায় থাকতেন। ৪ জুন জাকির নিখোঁজ হন। এরপর স্বজনেরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তাঁর সন্ধান পাননি। পরে ১০ জুন পরিবারের পক্ষ থেকে সবুজবাগ থানায় একটি অপহরণের মামলা করা হয়। গতকাল বুধবার রাতে ওই ঘটনায় সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ।

ওসি মো. ইয়াছিন আলী আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আটক ব্যক্তি জাকিরকে অপহরণ করার পর ছুরিকাঘাতে হত্যা করে লাশ মাটিচাপা দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে আটক ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে বাইকদিয়া এলাকায় মাটি খুঁড়ে জাকিরের লাশটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হচ্ছে।

হত্যাকাণ্ডের কারণ জানতে আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং এ ঘটনায় জড়িত অন্য ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি মো. ইয়াছিন আলী।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক যুবলীগ নেতাকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, যৌথ বাহিনীর অভিযানে উদ্ধার

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে জহির উদ্দিন মিন্টু (৪৯) নামে সাবেক এক যুবলীগ নেতাকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে অপহরণের শিকার ওই নেতাকে উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের স্লুইস গেট এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

এর আগে বুধবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের বইক্যারপাড়া এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।

অপহরণের শিকার জহির উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আবদুল কাদেরের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি বলে জানিয়েছেন বর্তমান ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন লিটন।

যুবলীগ নেতা জহিরের সঙ্গে তার ছোট ভাই মো. সোহেলকেও (৩৫) অপহরণ করা হয়। পরে তাকে বাড়ি থেকে মুক্তিপণের টাকা আনার জন্য ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা।

সোহেল বলেন, ‘আমার ভাই মিন্টু ডলু নদী থেকে বৈধ ইজারাকৃত জায়গা থেকে ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন করে ভিটা ও গর্ত ভরাটের কাজ করেন। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমার ভাইকে মোবাইল ফোনে কল করে এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি বালু ভরাটের কথা বলে এওচিয়া ইউনিয়নের বইক্যারপাড়া এলাকায় ভাইকে যেতে বলে। সে অনুযায়ী, আমি ও আমার ভাই মোটরসাইকেলে অপহরণকারীদের বলা জায়গায় গেলে তারা আমাদের মারধর শুরু করে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘একপর্যায়ে তারা আমাদের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। দাবির টাকা দিতে আমার এক প্রতিবেশীর মোবাইল ফোনে কথা বলি। এ টাকা না দিলে তারা আমাদের হত্যার ভয় দেখায়। একপর্যায়ে তারা আমাকে ছেড়ে দিয়ে ভাইকে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। অপহরণকারী দলের সদস্য সংখ্যা ৭-৮ জন হবে। তারা সবাই অস্ত্রধারী। তবে তাদেরকে আমরা চিনতে পারিনি। পরে মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশকে ঘটনাটি জানাই। বিষয়টি জানতে পেরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে কাঞ্চনা ইউনিয়নের স্লুইস গেইট এলাকা থেকে আজ ভোরে আমার ভাইকে উদ্ধার করে।’

সাতকানিয়া সেনাবাহিনী ক্যাম্পে দায়িত্বরত ক্যাপ্টেন পারভেজ বলেন, অপহরণকারীরা ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল। মু্ক্তিপণ দেওয়ার আগেই সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে জহির উদ্দিন মিন্টুকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলমান রয়েছে।

সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. তফিকুল আলম বলেন, অপহরণের বিষয়ে পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরপরই যৌথ বাহিনী অভিযান শুরু করে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ সাড়ে ৮ ঘণ্টার অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুবিচার মিলবে কত বছরে
  • বন্দরে দুই যুবককে অপহরণের ঘটনায় ৩ অপহরণকারী গ্রেপ্তার
  • চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বালু ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, যৌথ বাহিনীর অভিযানে উদ্ধার
  • সাবেক যুবলীগ নেতাকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, যৌথ বাহিনীর অভিযানে উদ্ধার
  • গাজীপুরে ছাত্রলীগ নেতাকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ