যবিপ্রবিতে ফিনটেক শিল্প নিয়ে জাতীয় সম্মেলন
Published: 17th, June 2025 GMT
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ফিনটেক শিল্পে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, উদ্ভাবন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও নিরাপত্তা শীর্ষক জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আর্থিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নতুন উদ্ভাবনী ধারণা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রসার ঘটানো, সাইবার নিরাপত্তা জোরদারের উদ্যোগ ও ব্যাংকিং সেবায় ডিজিটাল লেনদেনের প্রয়োগসহ নানা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে এ আয়োজন করা হয়।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকাল ১০টায় যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় গ্যালারিতে “ন্যাশনাল সিম্পোজিয়াম অন ব্লেসিং অব টেকনোলজিক্যাল অ্যাডভ্যান্সমেন্ট ইন দ্যা ফিনটেক ইন্ড্রাস্ট্রি: আনলোকিং ইনোভেশন, ইনক্লুশন অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি” শিরোনামে সম্মেলনটির আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং (এফবি) বিভাগ।
আরো পড়ুন:
ডাকসু রোডম্যাপসহ ৭ দাবিতে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন
রাকসুর তফসিল ঘোষণাসহ ৯ দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.
তিনি আরো বলেন, “উন্নত বাংলাদেশ গঠনে উদ্যোক্তাদের অবদান রাখতে হবে। সফল উদ্যোক্তা গড়ে তোলার জন্য এই বিভাগকে এগিয়ে আসতে হবে। এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হতে পারলে তারা দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।”
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, “তোমাদের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা বড় হতে হবে এবং সেই স্বপ্ন পূরণে পরিশ্রমী হতে হবে। তাহলেই তোমরা তোমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে। যতক্ষণ স্বপ্ন পূরণ না হবে, ততক্ষণ পরিশ্রম করে যাও; দেখবে সফল তোমরা হবেই। তোমাদের সফলতার মাধ্যমে তোমরা এই জাতিকে সঠিক পথ দেখাবে।”
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন ও ব্যাবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ কামাল হোসেন।
সেমিনারে প্রধান বক্তা ও ট্রেইনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এশিয়া ব্যাংকের আইসিটি ডিভিশনের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. বোরহানুল ইসলাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এইচ. এম. মোশারফ হোসেন।
সম্মেলনের আহ্বায়ক ও এফবি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে এবং এফবি বিভাগের শিক্ষার্থী জাকারিয়া হাবীব জিম ও জান্নাতুল ফেরদৌস জুলির সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন, এফবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ. এইচ. এম. শাহরিয়ার, প্রভাষক আল আমিন বিশ্বাস, নিশাত রুমালী, মো. শাহানুর রহমান প্রমুখ।
সম্মেলনের প্রথম পর্ব শেষে শুরু হয় পোস্টার প্রেজেন্টেশন। এফবি বিভাগের শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করেন। পরে অংশগ্রহণকারীদের সনদ প্রদান ও পোস্টার প্রেজেন্টেশনে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কমলার বইয়ে ‘পর্দার অন্তরালের গল্প’
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের অভিজ্ঞতা নিয়ে বই লিখেছেন সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। স্মৃতিচারণামূলক বইটির তিনি নাম দিয়েছেন ‘হান্ড্রেড অ্যান্ড সেভেন ডেজ’ বা ‘১০৭ দিন’। বইটিতে গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ‘পর্দার অন্তরালের গল্প খোলামেলাভাবে তুলে ধরেছেন’ কমলা।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার কমলা হ্যারিস নিজেই নতুন বইয়ের কথা জানান। বইটির প্রকাশক বিশ্বখ্যাত মার্কিন প্রকাশনা সংস্থা সাইমন অ্যান্ড শুস্টার। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর বইটি বাজারে আসবে বলে জানিয়েছেন বিগত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস।
বইটি হাতে নিয়ে করা একটি ভিডিও বার্তা নিজের ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন কমলা হ্যারিস। সেখানে বলেন, ‘মাত্র এক বছরের কিছুটা বেশি সময় আগে আমি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য নিজের নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছিলাম। ১০৭ দিন আমি পুরো দেশ ভ্রমণ করি। আমাদের ভবিষ্যতের জন্য লড়াই করি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আধুনিক ইতিহাসে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত নির্বাচনী প্রচার ছিল এটি।’
কমলা হ্যারিস যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ও একমাত্র নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট। ২০২৪ সালের ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হেরে যান তিনি। এরপর জনপরিসরে কার্যত তাঁকে তেমন একটা দেখা যায়নি। এর মধ্যে কমলা এই বইয়ের ঘোষণা দিলেন।
অনেকটা নাটকীয়ভাবে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হয়েছিলেন কমলা হ্যারিস। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আবারও ডেমোক্র্যাটদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ৮২ বছর বয়সী বাইডেনের শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে দলের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হয়। অনেক ডেমোক্র্যাট নেতা এর সমালোচনা শুরু করেন। এর মধ্যে গত বছরের জুলাইয়ে বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াই থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলে প্রার্থী হন কমলা।
ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নির্বাচিত সাবেক মার্কিন সিনেটর কমলা ভিডিও বার্তায় জানান, নির্বাচন নিয়ে বইটিতে ‘খোলামেলাভাবে’ লিখেছেন তিনি। আরও বলেছেন, বইটি পড়লে বিগত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের ‘পর্দার অন্তরালের অনেক বিষয়’ সম্পর্কে জানতে পারবেন পাঠকেরা।
কমলা হ্যারিস তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছেন, ‘প্রচার নিয়ে বিশ্ব যা দেখেছে, সেটা ছিল কেবল গল্পের একটি অংশ মাত্র। এই বই আমাদের সেই নির্বাচনী লড়াই ফিরে দেখা নিয়ে নয়। আমার সেই সময়ের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার খোলামেলা বিবরণ তুলে ধরেছি এখানে। আমি বিশ্বাস করি, আমি সেই সময় যা দেখেছি, যা শিখেছি ও সামনে এগিয়ে যেতে যা প্রয়োজন সেসব অন্য সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়ার একটা মূল্য রয়েছে। এই বইটি লেখার সময় আমার মনে একটি সত্য বারবার ফিরে এসেছে। আর সেই সত্যটা হলো—কখনো কখনো লড়াইয়ের জন্য সময় প্রয়োজন।’
বইয়ের আগে আরও একটি ঘোষণা দেন কমলা। গত বুধবার তিনি জানান, আগামী বছর ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর নির্বাচনে অংশ নেবেন না। তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ২০২৮–এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলা হ্যারিসের আবার প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা ‘উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না’।