যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ফিনটেক শিল্পে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, উদ্ভাবন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও নিরাপত্তা শীর্ষক জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আর্থিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নতুন উদ্ভাবনী ধারণা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রসার ঘটানো, সাইবার নিরাপত্তা জোরদারের উদ্যোগ ও ব্যাংকিং সেবায় ডিজিটাল লেনদেনের প্রয়োগসহ নানা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে এ আয়োজন করা হয়।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকাল ১০টায় যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় গ্যালারিতে “ন্যাশনাল সিম্পোজিয়াম অন ব্লেসিং অব টেকনোলজিক্যাল অ্যাডভ্যান্সমেন্ট ইন দ্যা ফিনটেক ইন্ড্রাস্ট্রি: আনলোকিং ইনোভেশন, ইনক্লুশন অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি” শিরোনামে সম্মেলনটির আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং (এফবি) বিভাগ।

আরো পড়ুন:

ডাকসু রোডম্যাপসহ ৭ দাবিতে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন

রাকসুর তফসিল ঘোষণাসহ ৯ দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মো. আব্দুল মজিদ। তিনি বলেন, “সম্মেলন এমন একটি ভালো উদ্যোগ, যেখান থেকে শিক্ষার্থীরা জ্ঞানের আদান-প্রদান, বিজ্ঞান বিষয়ক চিন্তাধারা ও ভালো বন্ধুত্ব অর্জন করতে পারে। এটা শিক্ষার্থীদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলে যা আগামীর উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

তিনি আরো বলেন, “উন্নত বাংলাদেশ গঠনে উদ্যোক্তাদের অবদান রাখতে হবে। সফল উদ্যোক্তা গড়ে তোলার জন্য এই বিভাগকে এগিয়ে আসতে হবে। এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হতে পারলে তারা দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।”

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, “তোমাদের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা বড় হতে হবে এবং সেই স্বপ্ন পূরণে পরিশ্রমী হতে হবে। তাহলেই তোমরা তোমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে। যতক্ষণ স্বপ্ন পূরণ না হবে, ততক্ষণ পরিশ্রম করে যাও; দেখবে সফল তোমরা হবেই। তোমাদের সফলতার মাধ্যমে তোমরা এই জাতিকে সঠিক পথ দেখাবে।”

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন ও ব্যাবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ কামাল হোসেন।

সেমিনারে প্রধান বক্তা ও ট্রেইনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এশিয়া ব্যাংকের আইসিটি ডিভিশনের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. বোরহানুল ইসলাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এইচ. এম. মোশারফ হোসেন।

সম্মেলনের আহ্বায়ক ও এফবি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে এবং এফবি বিভাগের শিক্ষার্থী জাকারিয়া হাবীব জিম ও জান্নাতুল ফেরদৌস জুলির সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন, এফবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ. এইচ. এম. শাহরিয়ার, প্রভাষক আল আমিন বিশ্বাস, নিশাত রুমালী, মো. শাহানুর রহমান প্রমুখ।

সম্মেলনের প্রথম পর্ব শেষে শুরু হয় পোস্টার প্রেজেন্টেশন। এফবি বিভাগের শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করেন। পরে অংশগ্রহণকারীদের সনদ প্রদান ও পোস্টার প্রেজেন্টেশনে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার

যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।

জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে। 

এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”

ঢাকা/রিটন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ