ধর্ষণের দায়ে সৎ বাবার মৃত্যুদণ্ড, সম্পত্তি বিক্রি করে জরিমানা আদা
Published: 18th, June 2025 GMT
চার বছর আগে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে সৎ বাবা মো. মোতাহারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৮ জুন) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর এরশাদ আলম (জর্জ) জানিয়েছেন, মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি মোতাহারকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আসামির স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে জরিমানা আদায় করে ভিকটিমকে দেওয়ার জন্য ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার আগে মোতাহারকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়।
ভিকটিম তার মা ও সৎ বাবার সঙ্গে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বাস করত। পৃথক ঘরের ব্যবস্থা না থাকায় তারা একত্রে থাকত। মোতাহার ভিকটিমকে বিভিন্ন সময়ে কুপ্রস্তাব দিত। ২০২১ সালের ২০ জুন রাতে আসামি ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনার বিষয়ে কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেয় মোতাহার। এজন্য কাউকে কিছু জানায়নি ভিকটিম। ২২ সেপ্টেম্বর রাতে আবারও তাকে ধর্ষণ করা হয়। ভিকটিম পরদিন বিষয়টি তার মাকে জানায়। ঘটনা শুনে তার মা ও সৎ বাবা তাকে বাসা থেকে বের করে দেয়। ভিকটিম তার বাবার কাছে চলে যায়। ২৪ সেপ্টেম্বর ভিকটিম বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। সংশ্লিষ্ট থানার এসআই আবুল হাসান মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ২৭ মে মোতাহারকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করা হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
ঢাকা/এম/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ত হ রক সৎ ব ব
এছাড়াও পড়ুন:
এভারকেয়ার হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করালেন খালেদা জিয়া
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বুধবার সন্ধ্যায় তিনি বারিধারার ওই হাসপাতালে যান। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে রাত ১২টার দিকে গুলশানের বাসায় ফেরেন তিনি।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শক্রমে ম্যাডামের কিছু পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বাসায় ওনাকে চিকিৎসা প্রদানে বোর্ড সিদ্ধান্ত নেওয়ায় উনি ফিরোজায় ফিরেছেন। বোর্ড আশা করেছে যে বাসায় চিকিৎসা সেবায় ওনার শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি হবে।’
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য ৮ জানুয়ারি লন্ডনে যান। সেখানে তিনি ১৭ দিন লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন। পরে লন্ডনে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন বিএনপি চেয়ারপাসন। লন্ডনে প্রায় চার মাস চিকিৎসা শেষে ৬ মে দেশে ফেরেন তিনি।
ঢাকায় আসার পর গুলশানের বাসভবনে থেকেই চিকিৎসা নেন খালেদা জিয়া। এভার কেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে একটি মেডিকেল বোর্ড তাঁকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। লন্ডনে যাওয়ার আগে সর্বশেষ গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।