মর্যাদাপূর্ণ ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে নিজের প্রথম ম্যাচেই প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিলো ইতালিয়ান জায়ান্ট জুভেন্টাস। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্লাব আল আইনের বিপক্ষে একপেশে লড়াইয়ে ৫-০ গোলের বড় জয় তুলে নিয়েছে ইগোর টুডোরের শিষ্যরা।

মাঠের লড়াইতে শুধু স্কোরলাইন নয়, খেলার গতিও ছিল পুরোপুরি জুভেন্টাসের নিয়ন্ত্রণে। ম্যাচজুড়ে আক্রমণ আর বল দখলে আধিপত্য ধরে রেখে একের পর এক সুযোগ তৈরি করেছে তারা, যার বেশির ভাগই রূপ নিয়েছে গোল উৎসবে।

খেলার শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া ছিল জুভেন্টাস। সেটার ফলও পেয়ে যায় দ্রুত। ১১ মিনিটে প্রথমবার জালের দেখা পায় তারা। ফরাসি স্ট্রাইকার রান্দাল কোলো মুয়ানি দারুণ এক ফিনিশিংয়ে দলকে এগিয়ে দেন।

আরো পড়ুন:

ক্লাব বিশ্বকাপে দুর্দান্ত সূচনা চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটির

ক্লাব বিশ্বকাপে রাতে মাঠে নামছে রিয়াল মাদ্রিদ

এরপর গোল যেন আসতেই থাকল। ২১ মিনিটে তরুণ তারকা কনসেসাও ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। আর ৩১ মিনিটে ইল্ডিজ গোল করে স্কোরলাইন দাঁড় করান ৩-০ তে।

প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে যোগ করা সময়ে কোলো মুয়ানি নিজের দ্বিতীয় গোল করে আরও একবার আল আইনের রক্ষণকে ছিন্নভিন্ন করেন। বিরতির আগেই ম্যাচের রঙ একতরফা হয়ে যায়।

বিরতির পরও জুভেন্টাস থেমে যায়নি। তারা বারবার আক্রমণে উঠেছে। আক্রমণ রচনা করেছে। তবে গোল পেয়েছে কেবল একবার। ৫৮ মিনিটে আবারও কনসেসাও স্কোরশিটে নাম লেখান নিজের দ্বিতীয় গোল দিয়ে। বাকি সময়টায় গোল না হলেও আল আইনের জন্য ম্যাচটা ছিল নিঃশ্বাসহীন এক লড়াই।

পুরো ম্যাচজুড়েই আল আইনের খেলোয়াড়রা ছন্দহীন ও নিরুত্তাপ ছিলেন। আক্রমণ বলতে গেলে ছিলই না। গোলের কোনো স্পষ্ট সুযোগ তৈরিতে ব্যর্থ হন তারা। প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ কখনোই বড় কোনো পরীক্ষার মুখে পড়েনি।

গ্রুপ ‘এইচ’-এর অপর ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রিয়ার সালজবার্গ ও মেক্সিকোর সিএফ পাচুকা। তুলনামূলকভাবে এই ম্যাচে লড়াই ছিল জমাট। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সালজবার্গ।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ক ল ব ব শ বক প আল আইন র

এছাড়াও পড়ুন:

২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির

জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর

দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”

তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ