সাইপ্রাস, কানাডা ও ক্রোয়েশিয়া সফর শেষ হওয়ার আগেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কূটনৈতিক সাফল্য ও ব্যর্থতা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। সবকিছু ছাপিয়ে যদিও বড় হয়ে উঠেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ভূমিকা ও মনোভাব। ভারত–পাকিস্তান সংঘাত ঠেকানোর যে কৃতিত্ব নিরবচ্ছিন্নভাবে তিনি দাবি করে চলেছেন, নিশ্চিতভাবেই তা মোদির নবতম বিড়ম্বনা।

সেই বিড়ম্বনায় বোঝার ওপর শাকের আঁটি হয়ে উঠেছে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের আপ্যায়ন। মুনিরের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারার পর যেভাবে ট্রাম্প নিজেকে ‘সম্মানিত বোধ’ করেছেন বলে জানিয়েছেন, তা অবশ্যই মোদি সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতার বিজ্ঞাপন। ট্রাম্প স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন, ‘আন্তসীমান্ত সন্ত্রাস’ নিয়ে ভারতের নিরন্তর প্রচার তাঁর কাছে বিশ্বাসযোগ্য নয়। গ্রহণযোগ্যও নয়। পাকিস্তান ব্রাত্য তো নয়ই।

গতকাল বুধবার ভারতীয় গণমাধ্যমের সবচেয়ে আলোচিত খবর ছিল মোদি–ট্রাম্প ফোনে আলোচনা। ৩৫ মিনিটের সেই আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি গণমাধ্যমকে যা বলেছিলেন, মুহূর্তের মধ্যেই তা খণ্ডন করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই। ফলে আরেকবার সেই পুরোনো সমালোচনা দেশের রাজনীতিতে মাথাচাড়া দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, ভারত–পাকিস্তান দ্বন্দ্বে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপকে কেন্দ্র করে।

গতকাল বুধবার ভারতীয় গণমাধ্যমের সবচেয়ে আলোচিত খবর ছিল মোদি-ট্রাম্প ফোনে আলোচনা। ৩৫ মিনিটের সেই আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি গণমাধ্যমকে যা বলেছিলেন, মুহূর্তের মধ্যেই তা খণ্ডন করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই। ফলে আরেকবার সেই পুরোনো সমালোচনা দেশের রাজনীতিতে মাথাচাড়া দিয়েছে।

প্রথম দিন থেকেই ট্রাম্প দাবি করে আসছেন, চার দিনের মাথায় ভারত–পাকিস্তান সংঘাত তিনিই বন্ধ করেছেন। বারবার বলে চলেছেন, দুই দেশকেই তিনি সংঘাত থামাতে বলেছিলেন। দুই দেশকেই বাণিজ্য চুক্তির আশ্বাস দিয়েছিলেন। এত দিন ধরে ভারত সরকারের পক্ষে কেউ বলেননি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘অসত্য’ বলছেন।

বরং নরেন্দ্র মোদি দাবি করেছিলেন, ভারতীয় বাহিনীর আক্রমণ থেকে বাঁচতে পাকিস্তানই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল। সেই দাবির কথা এবার অন্যভাবে উপস্থাপিত হলো মোদি–ট্রাম্প ফোনে আলোচনার পর।

পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি গণমাধ্যমকে বলেন, ট্রাম্পকে মোদি বলেছেন পাকিস্তানের তাগিদে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা ছাড়াই ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছিল। তা ছাড়া এ কথাও ট্রাম্পকে বলে দেওয়া হয়, কাশ্মীর নিয়ে তৃতীয় কোনো পক্ষের মধ্যস্থতা ভারত কোনো দিন মানেনি, মানবেও না। এবং এই না–মানা নিয়ে দেশের সব পক্ষ একমত।

কিন্তু নরেন্দ্র মোদির দুর্ভাগ্য, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ট্রাম্প নিজেই আরেকবার জানিয়ে দিলেন, ভারত–পাকিস্তানের যুদ্ধ তিনিই থামিয়েছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘যুদ্ধ আমিই থামিয়েছি। আমি পাকিস্তানকে ভালোবাসি। আমি মনে করি, মোদি একজন দারুণ মানুষ। গত রাতে তাঁর সঙ্গে আমি কথা বলেছি। আমরা মোদির ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে চলেছি। আমিই কিন্তু ভারত–পাকিস্তানের যুদ্ধ থামিয়েছি।’

আরেকবার যুদ্ধ থামানোর কৃতিত্ব জাহির করাই শুধু নয়, মোদির বিড়ম্বনা আঠারো আনা বাড়িয়ে ট্রাম্প পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানান। কানাডা থেকে ফেরার পথে কিছু সময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাব মোদিকে ট্রাম্প দিয়েছিলেন। ক্রোয়েশিয়া সফর পূর্বনির্ধারিত থাকায় মোদির পক্ষে সেই প্রস্তাব গ্রহণ করা সম্ভবপর হয়নি।

আসিম মুনিরকে মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানানো সম্পর্কে ট্রাম্প অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের বলেন, ‘মুনিরকে আমন্ত্রণ জানিয়ে আমি সম্মানিত বোধ করছি। তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি, কারণ যুদ্ধ থামানোর জন্য আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানাতে চেয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী মোদি কিছুক্ষণ আগেই চলে গেছেন। আমরা ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে কথাবার্তা চালাচ্ছি। মোদি ও মুনির দুজনেই খুব স্মার্ট। যুদ্ধ না চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে দুজনেই একমত হয়েছিলেন।’

আরেকবার যুদ্ধ থামানোর কৃতিত্ব জাহির করাই শুধু নয়, মোদির বিড়ম্বনা আঠারো আনা বাড়িয়ে ট্রাম্প পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানান। কানাডা থেকে ফেরার পথে কিছু সময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাব মোদিকে ট্রাম্প দিয়েছিলেন।

ট্রাম্পের দাবি ও আচরণ ভারতের রাজনীতিতে সরকারবিরোধীদের হাতে তুলে দিয়েছে এক মোক্ষম অস্ত্র। সেই সুযোগ বিরোধীরা হাতছাড়া করেনি। মোদি সরকারকে সরাসরি দাঁড় করিয়েছে কাঠগড়ায়। সরব হয়েছে কূটনৈতিক ব্যর্থতা নিয়ে।

কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ ‘এক্স’ হ্যান্ডলে অভিযোগ তুলেছেন, ‘যে আসিম মুনিরের উসকানিমূলক কথাবার্তা পেহেলগাম–কাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত, সেই মানুষের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করছেন ট্রাম্প। উচ্ছন্নে গেছে ভারতের কূটনীতি। অথচ প্রধানমন্ত্রী নির্বাক!’

তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য সাকেত গোখলের মন্তব্য, ‘মোদি ও জয়শঙ্করের কূটনীতি কী অর্জন করল? ট্রাম্প নিয়ে প্রশ্ন উঠলে প্রধানমন্ত্রী মোদিই–বা কেন ভয় পেয়ে চুপ করে যান?’

ভারতের ‘কূটনৈতিক ব্যর্থতা’ নিয়ে বিরোধীদের তোলা প্রশ্নগুলো যে নিতান্তই অসংগত, জোরের সঙ্গে মোদি সরকার বা বিজেপি সেই দাবি করতে পারছে না। কারণ, এত চেষ্টা সত্ত্বেও পাকিস্তানকে ভারত একঘরে করতে পারেনি। তাদের ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্সের (এফএটিএফ) ধূসর তালিকাভুক্ত করতে তিন বছর ধরে চেষ্টা করেও ভারত ব্যর্থ।

২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এফএটিএফের ধূসর তালিকায় থেকে বেরিয়ে আসা পাকিস্তানকে আবার নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত করতে ভারত শুধু ব্যর্থই হয়নি—বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও এডিবি থেকে নতুন ঋণও পাকিস্তান আদায় করতে পেরেছে। ৫৯ জন সংসদ সদস্য ও সাবেক কূটনীতিবিদদের নিয়ে তৈরি ৭টি দল সংঘাত বন্ধের পর ৩৩টি দেশ সফর করলেও সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে একটি দেশও সরাসরি পাকিস্তানের বিরোধিতা করেনি। সবচেয়ে বড় কথা, ভারতের নিরন্তর প্রচার সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের চোখে ভারত ও পাকিস্তান সমান গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশই একই পঙ্‌ক্তিতে।

ভারতের ‘কূটনৈতিক ব্যর্থতা’ নিয়ে বিরোধীদের তোলা প্রশ্নগুলো যে নিতান্তই অসংগত, জোরের সঙ্গে মোদি সরকার বা বিজেপি সেই দাবি করতে পারছে না। কারণ, এত চেষ্টা সত্ত্বেও পাকিস্তানকে ভারত একঘরে করতে পারেনি। তাদের ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্সের (এফএটিএফ) ধূসর তালিকাভুক্ত করতে তিন বছর ধরে চেষ্টা করেও ভারত ব্যর্থ।

জেনারেল মুনিরকে তোয়াজ করার পেছনে ট্রাম্পের মননে নিশ্চিতই ইসরায়েল–ইরান যুদ্ধ কাজ করছে। এই যুদ্ধে সরাসরি ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র জড়াতে চাইলে পাকিস্তানকে তাদের প্রয়োজন। সেখানে ঘাঁটি গাড়ার দরকার পড়তে পারে। তবু প্রশ্ন উঠছে, ভারত–পাকিস্তান সংঘাত থামানোর কৃতিত্ব প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কেন বারবার দাবি করছেন? দাবি সত্য হলে কেনই–বা তা মেনে নিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির এত অনীহা?

উত্তরটা সহজ। ভারতের চিরায়ত নীতি কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ না মানা। সেই নীতিতে অটল থাকতে হলে ট্রাম্পের দাবি অস্বীকার করতে হয়। মোদি সরকার সেটাই করছে। কিন্তু তা করতে গিয়ে তাদের অনেক প্রশ্নের মুখেও পড়তে হচ্ছে। যে দল ১৯৭২ সালে সিমলা চুক্তির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছে, পাকিস্তানকে নতজানু করেও কেন ইন্দিরা গান্ধী পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর দখল না করে চুক্তি সই করলেন বলে তাঁকে সমালোচনা বিদ্ধ করে চলেছে, সেই দলের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কেন সুবিধাজনক অবস্থায় থেকেও যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হলেন?

ট্রাম্পের চাপ যদি না–ই থাকে, তাহলে কেন পাকিস্তানের দাবি তিনি মানতে গেলেন? এসব প্রশ্নের জবাব মোদি দেননি। পেহেলগাম–কাণ্ড ও পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত নিয়ে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকতে নারাজ বলে সরাসরি প্রশ্ন করার সুযোগও বিরোধীরা পাচ্ছে না।

মোদির ত্রিদেশীয় সফরের প্রাপ্তির ঘর অবশ্যই শূন্য নয়। কানাডার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে তিনি অনেকটাই সফল। প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির আমন্ত্রণ পেয়ে এবং তা গ্রহণ করে তলানিতে ঠেকা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক মোদি আবার স্বাভাবিক করে তুলতে চলেছেন। ২০ মাসের ‘সম্পর্কহীনতা’ কাটিয়ে দুই দেশই হাইকমিশনার নিয়োগে রাজি হয়েছে। এটাই হতে চলেছে প্রথম ধাপ।

আবার মার্ক কার্নি বুঝিয়ে দিয়েছেন, নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের তদন্তে ঢিলে না দিয়ে সম্পর্ক ভালো করার রাস্তায় এগোবেন। তদন্ত চলবে তার মতো, সম্পর্কও উন্নত করা হবে পারস্পরিক স্বার্থে। মোদিও সেই বিষয়ে সহমত।

তা সত্ত্বেও সমালোচনামুক্ত হতে পারছেন না নরেন্দ্র মোদি। নিঃসন্দেহে কূটনৈতিক দিক থেকে খুব একটা সুসময়ের মধ্য দিয়ে তিনি হাঁটছেন না।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র আস ম ম ন র র প রস ত ব র ক টন ত কর র প গণম ধ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

আল-আকসা মসজিদ চত্বরে প্রার্থনা ইসরায়েলি কট্টরপন্থী মন্ত্রীর

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইসরায়েলের কট্টরপন্থী নেতা ও জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গভির আল-আকসা মসজিদ চত্বরে প্রকাশ্য প্রার্থনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। গত রোববার কয়েক শ ইহুদি বসতিস্থাপনকারী তাঁর সঙ্গে প্রার্থনায় অংশ নেয়। তাঁরা কড়া পুলিশি পাহারায় উচ্চস্বরে ইহুদি রীতি অনুযায়ী প্রার্থনা করেন। এ সময় তাঁরা মুসলিমদের উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করেন।

মিডল ইস্ট আই এ ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও দেখেছে। ভিডিওতে শত শত বসতিস্থাপনকারীকে আল-আকসা মসজিদ চত্বরে অনুপ্রবেশ করতে দেখা গেছে। এ সময় কিছু লোককে নাচতে ও হৈহুল্লোড় করতে দেখা যায়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড মসজিদের পবিত্রতা লঙ্ঘন করে।

ইসরায়েলের দখলে থাকা পূর্ব জেরুজালেমের ওল্ড সিটিতে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনায় নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে মেনে আসা হচ্ছিল। যদিও ইহুদি গোষ্ঠীগুলো গত শতকে বারবার এই ভঙ্গুর ব্যবস্থাপনা লঙ্ঘন করেছে। শুধু তাই নয়, ইসলাম ধর্মের অন্যতম পবিত্র স্থানটির ওপর নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে তারা।

জেরুজালেমের ওল্ড সিটির বাসিন্দারা জানান, বেন গভির আসার আগে ও পরে পুরো এলাকাটিকে ‘একটি সামরিক ঘাঁটির’ মতো মনে হচ্ছিল। সেখানে অসংখ্য তল্লাশিচৌকি বসানো হয়। ইসরায়েলি সেনারা নিরাপত্তাব্যবস্থা ব্যাপকভাবে জোরদার করেছিল।
স্থানীয় বাসিন্দারা আরও জানান, বেন গভিরের পরিদর্শনের সময় ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনিদের মসজিদে প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। শুধু অল্পসংখ্যক স্থানীয় বাসিন্দাকে ওই স্থানে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়।

পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বেন গভির বলেন, ‘টেম্পল মাউন্ট ইহুদিদের জন্য। আমরা চিরদিন এখানে থাকব।’

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বেন গভির অন্তত ১১ বার আল-আকসা মসজিদ চত্বরে অনুপ্রবেশ করেন। এদিকে বেশ কয়েকজন কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিবিদ আল-আকসা ধ্বংস করে সেখানে একটি ইহুদি উপাসনালয় নির্মাণের পক্ষে মত দিয়েছেন। তাদের দাবি অনুযায়ী, সেখানে একসময় ইহুদি উপাসনালয় ছিল।

রোববার আল আকসা পরিদর্শনের সময় ডানপন্থী লিকুদ পার্টির আইনপ্রণেতা আমিত হালেভিও উপস্থিত ছিলেন। তিনি গাজায় পানি, খাদ্য ও জ্বালানির সব উৎস ধ্বংস করতে বারবার ইসরায়েল সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ