আমরা আসলে কেউ জায়গা ছাড়তে জানি না: জয়া
Published: 19th, June 2025 GMT
ঈদে একইসঙ্গে দুই সিনেমা নিয়ে পর্দায় হাজির হয়েছেন জয়া আহসান। ‘তাণ্ডব’ ও ‘উৎসব’ দুটি সিনেমা থেকেই পাচ্ছেন দারুণ সাড়া। ঈদের ছুটি কাটিয়ে ইতিমধ্যে অভিনেত্রী পাড়ি জমিয়েছেন কলকাতায়। সেখানে অংশ নিয়েছেন কৌশিক মুখার্জির ‘অর্ধাঙ্গিনী ২’ সিনেমার শুটিংয়ে। এছাড়াও সেখানে মুক্তি পেতে যাচ্ছে অভিনেত্রীর আরেক সিনেমা ‘ডিয়ার মা’।
ঢালিউড, বলিউড কিংবা টলিউড সব ইন্ডাস্ট্রিই পুরুষশাসিত। সমাজব্যবস্থার প্রভাব ইন্ডাস্ট্রিতেও পড়ে বলে জানান দুই বাংলার জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয়া আহসান বলেন, ‘যদিও এই সমাজব্যবস্থা কাম্য নয়। আমরা আমাদের কাজের মাধ্যমে যতটা এ বিষয়ে সরব হওয়া যায় চেষ্টা করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যাকে পিতৃতান্ত্রিক সমাজ বলি সেই সমাজকে কিন্তু অনেক নারীও সমর্থন করেন। তাঁরা পুরুষের চোখ দিয়ে সমাজকে দেখেন। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য।
এরপরই কথা প্রসঙ্গে উঠে আসে ছবিতে গল্প বলা কমে যাওয়া এবং অভিনেতার সংখ্যা কমে যাওয়া নিয়েও। সে বিষয়েও নিজের অভিমত ব্যক্ত করেছেন জয়া।
অভিনেত্রীর ভাষ্যে, একজন সংস্কৃতিকর্মী হিসাবে স্বীকার করতেই হয়, গল্প বলার জায়গা কমে গেছে। অভিনেতারা সংখ্যায় কমে গেছি। একই চেহারা বার বার দেখছেন দর্শক।
অভিনেতার সংখ্যা কেন কমে গেছে? এমন প্রশ্নে জয়ার উত্তর, আমরা আসলে কেউ জায়গা ছাড়তে জানি না। আমাদেরকেও জায়গা ছাড়তে হবে। শর্টকার্ট রাস্তায় গিয়ে শিওর শট খেলার চেষ্টা করছি আমরা। আমি যে ছবি দুটো প্রযোজনা করেছি সেখানে দু’জন নতুন অভিনেত্রী এনেছি। আমাদের আরও চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।’
সিনেমা প্রসঙ্গের বাইরে জয়া আহসান এসময় কথা বলেন বিয়ে-সম্পর্কদ। তিনি বলেন, ‘এখন তো কেউ রিলেশনশিপেই যায় না! সিচুয়েশনশিপ.
উল্লেখ্য, আগামী ১৮ জুলাই কলকাতায় মুক্তি পাবে জয়া আহসান অভিনীত ‘ডিয়ার মা’। অনিরুদ্ধ রায় পরিচালিত এই ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন শাশ্বত চ্যাটার্জি, ধৃতিমান চ্যাটার্জি, চন্দন রায়, অনুভা প্রমুখ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জয় আহস ন আম দ র আহস ন
এছাড়াও পড়ুন:
বিটিভি-বেতারের স্বায়ত্তশাসনে পাঁচ উপদেষ্টার সমন্বয়ে কমিটি গঠন
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বাংলাদেশ বেতারের স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিতে শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরারের নেতৃত্বে পাঁচ উপদেষ্টার সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।
এ কমিটি গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের পথরেখা তৈরিতে কাজ করবে। পাশাপাশি টেলিভিশন ও অন্যান্য গণমাধ্যমের গত ১৫ বছরের নীতিমালা পর্যালোচনা ও ভবিষ্যতের নীতি প্রণয়নে কাজ করবে।
শিক্ষা উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন এ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
গত মার্চে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়। এ কমিশনের প্রধান ছিলেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল আহমেদ।
প্রতিবেদনে বিটিভি, বাংলাদেশ বেতার এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) একীভূত করে একটি প্রতিষ্ঠান করার সুপারিশ করেছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। এ প্রতিষ্ঠানের নাম হতে পারে ‘বাংলাদেশ সম্প্রচার সংস্থা বা জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা’। এ প্রতিষ্ঠানের বার্তা বিভাগ হিসেবে বাসসকে একীভূত করতে বলেছে কমিশন। এ ক্ষেত্রে এ প্রতিষ্ঠানে তিনটি বিভাগ থাকবে। এগুলো হলো টেলিভিশন, বেতার ও বার্তা বিভাগ।