বাস সংকট নিরসনের দাবিতে আটদিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। 

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় অস্থায়ী ছাত্রাবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন তারা। আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে বাস সংকট নিরসন করা না হলে ক্লাস বর্জনসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুশিয়ারি দেন তারা।

শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনের জন্য ইতোমধ্যে দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও ইউজিসির অনুমতি না পাওয়ার অজুহাতে তা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ফলে এখনো কোনো বাসের ব্যবস্থা হয়নি। প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে সিএনজি, বাসে চড়েই ক্লাসে আসতে হয় শিক্ষার্থীদের।

আরো পড়ুন:

৪৪তম বিসিএসে ক্যাডার হয়েছেন রাবির অন্তত ৬০ শিক্ষার্থী

বাঁচতে চান তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থী শ্রাবণী 

এতে একদিকে বাড়ছে সময় ও ব্যয়, অন্যদিকে হাফপাস নিয়ে প্রায়ই যানবাহন চালকদের সঙ্গে বিতর্কে জড়াতে হয় তাদের। অনেক সময় অপমানজনক আচরণেরও শিকার হন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, আমরা শুধু বাস চাচ্ছি না, আমাদের ন্যায্য অধিকার চাইছি। ক্লাসে পৌঁছাতে প্রতিদিন আমাদের নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়। অথচ পরিবহনের জন্য টাকা থাকলেও কর্তৃপক্ষ শুধু অনুমতির কথা বলে দায় এড়াচ্ছে। বাসের পাশাপাশি আমাদের মানসম্মত হল ও লাইব্রেরির ব্যবস্থাও করতে হবে৷ 

শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে বাসের ব্যবস্থা করা না হলে ক্লাস বর্জনসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এর দায়ভার সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন, জাকারিয়া নাইম, জি এম তাইমুম, সুরভী চৌধুরী, সোহানুর রহমান ও তাকবিল হাসান৷ এসময় উপস্থিত ছিলেন, মিনহাজুল মিনাল, সাব্বির হোসেন, তনুশ্রী দেব, সুদিপ্তা চৌধুরী, আশরাফ হোসেন, লাবন্য মন্ডল, আদিবা জামান নাফি, আব্দুর রহমান নিশাদ, রুবাইয়া বর্ষা, তাসমিম অধরা,পূজা রয়, তাসনিম জাহান, সাফিন আহমেদ, নাহিয়ানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা/মনোয়ার/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বেতন বাড়ানোসহ তিন দফা দাবিতে পরীক্ষা বর্জনের হুমকি প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের

সহকারী শিক্ষক পদটি শুরুর পদ ধরে এই পদে বেতন ১১তম গ্রেডে, শতভাগ পদোন্নতি বিভাগীয় প্রার্থীদের মধ্যে দেওয়া ও উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা নিরসনের দাবি জানিয়েছে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ। এসব দাবি পূরণে সরকারকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, দাবি পূরণ না হলে বার্ষিক পরীক্ষা ও বৃত্তি পরীক্ষা বর্জনসহ লাগাতার কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা।

আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের নেতারা এসব দাবি জানানোর পাশাপাশি নতুন কিছু কর্মসূচিও ঘোষণা দিয়েছেন।

কর্মর্সূচির মধ্যে রয়েছে ২৩ ও ২৪ নভেম্বর অর্ধদিবস কর্মবিরতি, ২৫ ও ২৬ নভেম্বর পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি, ২৭ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান ধর্মঘট। আর নভেম্বরের মধ্যে দাবি মেনে না নেওয়া হলে বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনসহ ১১ ডিসেম্বর থেকে লাগাতার অনশন কর্মসূচি পালন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিক্ষক নেতা শাহিনুর আল-আমীন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক নেতা আনোয়ারুল ইসলাম, নূরে আলম সিদ্দিকী রবিউল, অজিত পাল, তপন কুমার মণ্ডল, আনিসুর রহমান, শাহিনূর আক্তার, সাবেরা বেগম প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বেতন বাড়ানোসহ তিন দফা দাবিতে পরীক্ষা বর্জনের হুমকি প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের