চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার রৌফাবাদ এলাকার বাসায় এক নারীকে ১১ টুকরা করে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত একটার দিকে নগরের একটি ভবনের নবম তলায় এ ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে তাঁর স্বামীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনিই হত্যাকারী বলে সন্দেহ করছে পুলিশ।

নিহত ওই নারীর নাম ফাতেমা বেগম। তাঁর স্বামীর নাম মো.

সুমন।

পুলিশ বলছে, ওই নারীকে হত্যায় ছুরি ও চাপাতি ব্যবহার করা হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে টুকরা টুকরা করা হয়েছে। হাড় থেকে মাংস কেটে ফেলা হয়েছে। ১১টি টুকরা ঘরের মেঝেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যান খুনি।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, রাতে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান আরও বলেন, ১০ বছর আগে সুমনের সঙ্গে ফাতেমার বিয়ে হয়। তাঁদের আট বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। সুমন পেশায় পিকআপচালক। ঘটনার সময় বাসায় তাঁরা স্বামী-স্ত্রী ছিলেন। একমাত্র সন্তান ছিলেন আত্মীয়ের বাসায়।

পরিকল্পিতভাবে ঠান্ডা মাথায় স্ত্রীকে খুন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। দীর্ঘদিন ধরে ফাতেমা ও সুমনের মধ্যে ঝগড়া চলে আসছিল। নিহত ফাতেমার পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্ন। তাঁর পুরো শরীর ক্ষতবিক্ষত করার পর কেটে ১১ টুকরা করা হয়।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির

জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর

দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”

তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ