প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেছেন, দেশে সংকট হলেই শুধু প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোকে ডাকেন এবং দেখান যে সবাই একমত। এর পর থেকে সরকার রাজনৈতিক দলের পরামর্শ গ্রহণ না করলে প্রধান উপদেষ্টার এমন আহ্বানে সাড়া দেবেন না তাঁরা।

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণহানির পরদিন সেখানে ছাত্রবিক্ষোভ এবং সচিবালয়ে ঢুকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ-ভাঙচুর ও সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রাতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ চারটি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে গোপালগঞ্জের সাম্প্রতিক সহিংসতা নিয়েও আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দলগুলোর ঐক্য আরও দৃশ্যমান করার আহ্বান জানান। অপর দিকে দলগুলোর পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারকে আরও শক্ত অবস্থান নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

এরপর আজ বিকেলে ১৩টি দল ও জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধান উপদেষ্টা। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ওই বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন।

বৈঠকে গোপালগঞ্জ ও মাইলস্টোনের ঘটনা নিয়ে কথা বলেছেন জানিয়ে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক বলেন, গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচির আগে কেন উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া হলো, সে প্রশ্ন বৈঠকে তুলেছেন। তিনি বলেছেন, অনেকে মনে করে এনসিপি প্রধান উপদেষ্টার প্রশ্রয়ে আছে। সচিবালয়ে বিক্ষোভের ঘটনায় পুলিশি হামলার ঘটনা কেন ঘটল, সেই প্রশ্নও বৈঠকে তুলেছেন।

রুহিন হোসেন বলেন, তাঁরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছেন, জনগণকে সুশাসন দিতে না পারলে জনগণের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হবে। কেউ কেউ বলতে পারে, ‘আগের সময়েই ভালো ছিলাম।’ সুতরাং অন্তর্বর্তী সরকারকে এমনভাবে কাজ করতে হবে, যেন এ ধরনের কথা কেউ না বলতে পারে।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে পতিত স্বৈরাচার ও আধিপত্যবাদের বিষয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান রুহিন হোসেন। তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার ফিরে আসতে চাইলে সবাই মিলে প্রতিহত করতে হবে। তাঁদের কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বল ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে অঝোরে বৃষ্টি, রাস্তায় পানি, আশঙ্কা পাহাড়ধসের

চট্টগ্রাম নগরে আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে নগরের কয়েকটি এলাকায় পানি জমে গেছে। ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ভোর পাঁচটার দিকে চট্টগ্রামে বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল ৯টা নাগাদ বৃষ্টির তীব্রতা বেড়ে যায়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৃষ্টি ঝরছে।

টানা বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম নগরের সড়কগুলোয় যানবাহনের সংখ্যা বেশ কম দেখা গেছে। ব্যস্ততম মোড়গুলোয় যাত্রীর অপেক্ষায় থাকা সিএনজিচালিত অটোরিকশা আর রিকশাও ছিল কম। এতে ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামী মানুষজন। এ ছাড়া সন্তানদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়ে যেতে যেসব অভিভাবক বাইরে বের হয়েছেন, তাঁদেরও দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা যায়। দীর্ঘ সময় পর যানবাহন পেলেও অনেকে বাড়তি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে ছোটেন।

আবহাওয়ায় অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের পতেঙ্গা কার্যালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা) চট্টগ্রামে ৫৭ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়েছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় আরও দুই থেকে তিন দিন বৃষ্টি হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামে পাহাড় ও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সড়কে পানি জমেছে। এ কে খান সি–গেট এলাকা, চট্টগ্রাম, ৩১ জুলাই, সকাল সাড়ে ১০টায় তোলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ