সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক ছুরিকাহত
Published: 25th, July 2025 GMT
সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সংগঠক দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট নগরের মদিনা মার্কেট এলাকার বিদ্যানিকেতন বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহত তৌফিক ওমর (২২) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেট মহানগর শাখার সংগঠক। তিনি সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তানভীর সিলেট নগরের মোহাম্মদীয়া আবাসিক এলাকার বাসিন্দা হারুনুর রশীদের ছেলে।
পুলিশ ও আহত তৌফিকের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তানভীর বাসা থেকে বের হন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে মদিনা মার্কেট এলাকায় ছিলেন। এ সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত এসে তাঁকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় বাসিন্দা ও তাঁর বন্ধুরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। দুর্বৃত্তরা তাঁর বাঁ হাঁটুর ওপরে দুটি ছুরিকাঘাত করে।
তানভীরের বাবা হারুনুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে তিনি হাসপাতালে ছুটে যান। ছেলেকে কয়েকজন মিলে ছুরিকাঘাত করেছে বলে তাঁর বন্ধুদের কাছ থেকে জানতে পেরেছেন। তবে কারা কেন এমন হামলা চালিয়েছে, তা তিনি জানেন না।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, কে বা কারা এবং কী কারণে হামলা চালিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আহতের অবস্থা এখন আশঙ্কামুক্ত।
এদিকে আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ আয়োজন ঘিরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বাড়তি তৎপরতা দেখা গেছে। এরই মধ্যে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা সিলেটে অবস্থান করছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ
জুলাই সনদের দাবিতে ঢাকার শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন জুলাই যোদ্ধারা।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে শাহবাগ মোড়ে শুরু হওয়া অবস্থান কর্মসূচিতে ধাপে ধাপে জড়ো হয়েছেন শতাধিক আন্দোলনকারী। ফলে শাহবাগ মোড়ের উভয়মুখেই যান চলাচল বন্ধ রয়েছে, আশপাশের রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে যানজট।
জুলাই যোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সংগঠনের সমন্বয়ক মাজহারুল ইসলাম আপন। শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ও শাহবাগ থানার মুখে, এমনকি আশপাশের মোড়গুলোতেও আন্দোলনকারীদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
রেজমিনে দেখা যায়, শাহবাগ মোড়ের একাংশ জুড়ে ব্যানার, পোস্টার ও জাতীয় পতাকা নিয়ে অবস্থান করছেন আন্দোলনকারীরা। পাশেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে।
আন্দোলনকারীরা ‘জুলাই সনদ’ নামে একটি প্রস্তাবিত ঘোষণাপত্র প্রকাশ করেছেন, যেখানে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থনে নিহতদের ‘জুলাই শহীদ (জাতীয় বীর)’ এবং আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা (বীর)’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের জন্য আজীবন সম্মান, চিকিৎসা, শিক্ষা, পুনর্বাসন, কর্মসংস্থান এবং সম্মানজনক ভাতা নিশ্চিত করার দাবি রয়েছে।
এর দ্বিতীয় ধারায় বলা হয়েছে, শহীদ পরিবার ও আহতদের কল্যাণ রাষ্ট্রের ‘অবিচ্ছেদ্য কর্তব্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। এদের প্রতি অবহেলা বা অধিকার হরণকে রাষ্ট্রদ্রোহ বা বিশেষ অপরাধ হিসেবে গণ্য করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও তোলা হয়েছে।
জুলাই যোদ্ধাদের ভাষ্য, এখনো জুলাই সনদ না হওয়ায় আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা বাধ্য হয়েই আন্দোলনে নেমেছেন। বারবার এই দাবি জানানো হলেও কোনো অগ্রগতি হয়নি।
তারা বলছেন, জুলাই সনদ আমাদের দাবি নয়, এটি আমাদের অধিকার। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। জুলাই সনদ নিয়ে আশ্বাস পূরণ না হলে শাহবাগে অস্থায়ী মঞ্চ তেরি করে অবস্থান করবেন বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তারা।
ঢাকা/রায়হান/ইভা