এক্সের কমিউনিটি নোটসে পরিবর্তন আসছে
Published: 26th, July 2025 GMT
নিজেদের কমিউনিটি নোটসে নতুন সুবিধা যুক্ত করছে এক্স (সাবেক টুইটার)। সুবিধাটি চালু হলে ভিন্নমতাবলম্বীদের পছন্দের পোস্টগুলোও অন্য ব্যবহারকারীরা দেখতে পারবেন। এক্স জানিয়েছে, বর্তমানে নির্বাচিত ব্যবহারকারীরা পরীক্ষামূলকভাবে সুবিধাটি ব্যবহার করতে পারছেন। ভবিষ্যতে ধাপে ধাপে সুবিধাটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে। একই সঙ্গে এক্সের অ্যালগরিদমও উন্নত করা হচ্ছে।
এক্সের তথ্যমতে, নতুন এ সুবিধার লক্ষ্য হলো এমন পোস্টগুলো সামনে আনা, যেগুলো বিভিন্ন শ্রেণি–পেশা ও মতাদর্শের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। এ জন্য বিতর্কিত বিভিন্ন পোস্টে রেটিং দেওয়ার সুযোগ পাবেন কমিউনিটি নোটসের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা। নতুন এই সুবিধা ভিন্ন মতামত, তথ্য বা ভাবনা খুঁজে বের করতে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুনএক্সে এআই ভিডিও তৈরি করে দেবে পারপ্লেক্সিটি চ্যাটবট২৫ জুন ২০২৫কমিউনিটি নোটসের পক্ষ থেকে এক্সে প্রকাশিত এক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘আজ থেকে পরীক্ষামূলক গ্রুপের ব্যবহারকারীদের রেটিং অন্যদের কাছেও দৃশ্যমান হবে। যেসব পোস্ট একটি নির্দিষ্টসংখ্যক ইতিবাচক রেটিং পাবে, সে পোস্টে একটি বিশেষ বার্তা দেখা যাবে। বার্তায় উল্লেখ থাকবে, পোস্টটি ভিন্নমতাবলম্বীদের কাছেও গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।’
আরও পড়ুনএক্সে চালু হচ্ছে বার্তা আদান–প্রদানের নতুন সুবিধা ‘এক্সচ্যাট’০২ জুন ২০২৫প্রসঙ্গত, কমিউনিটি নোটস মূলত ব্যবহারকারীদের সহযোগিতায় ভুয়া বা বিভ্রান্তিকর তথ্য যাচাই ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে পোস্টে থাকা তথ্যের সত্যতা যাচাই করে মতামত যুক্ত করতে পারেন নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীরা। নতুন এই উদ্যোগের মাধ্যমে তথ্য যাচাইয়ের পাশাপাশি ভিন্নমতাবলম্বীদের পছন্দের পোস্টগুলোও অন্য ব্যবহারকারীদের কাছে প্রদর্শনের সুপারিশ করতে পারবেন তাঁরা।
সূত্র: ম্যাশেবল
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র
এছাড়াও পড়ুন:
সব দলের সঙ্গে আলোচনা না করে নির্বাচন দিলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না: এনসিপি
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে সরকারকে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দিকে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা না করে সরকার নির্বাচনের দিকে যদি অগ্রসর হয়, সেটা যে গ্রহণযোগ্য হবে না।
রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার ১৯তম দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এনসিপির সদস্যসচিব এ কথাগুলো বলেন।
রাজনৈতিক দলগুলো যদি দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে সামগ্রিক রাষ্ট্রীয় স্বার্থ এবং বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে যায়, তাহলে জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদ প্রণয়ন করা সম্ভব বলেও মনে করেন আখতার হোসেন। তিনি বলেন, ‘সে ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আমরা মনে করি।’
এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে, এ রকম একটা টাইমলাইন অনেক আগেই বলছে। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে বিচার-সংস্কারকে দৃশ্যমান পর্যায়ে উন্নীত করা, জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করা, নির্বাচনের জন্য মাঠ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং একই সঙ্গে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে নির্বাচনের ঘোষণার দিকে যেতে হবে। অবশ্যই জুলাই সনদ এবং জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের পরে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা যেতে পারে।’
আখতার হোসেন বলেন, ‘এর আগে প্রধান উপদেষ্টা লন্ডনে বসে যখন একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন, তখন আমরা তার প্রতিবাদ করেছিলাম। যদি সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা না করে সরকার নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হয়, সেটা যে গ্রহণযোগ্য হবে না, তা বলার অবকাশ রাখে না।’
এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, ‘যাঁরা বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, যাঁরা বাংলাদেশের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেছেন, এই ফ্যাসিবাদবিরোধী পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই যদি সরকার নির্বাচনের মতো বিষয়কে খোলাসা ও সুনির্দিষ্ট করতে শুরু করে, তাহলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার বিষয়টি আমরা পুনর্বিবেচনা করব।’
রোববারের আলোচনায় অংশ নেয় বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল।
আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, মো. আইয়ুব মিয়া। সঞ্চালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দার।