বলিউডে নয়া তাণ্ডব: ১১ দিনে আয় ৫২৭ কোটি টাকা
Published: 29th, July 2025 GMT
মোহিত সুরি নির্মিত রোমান্টিক সিনেমা ‘সাইয়ারা’। সিনেমাটিতে জুটি বেঁধেছেন নবাগত আহান পান্ডে ও অনীত পড্ডা। গত ১৮ জুলাই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। মুক্তির আগেই আলোচনা তৈরি করেছিল আর মুক্তির পর রীতিমতো সাড়া ফেলেছে। শুরুতে ৮০০ পর্দায় মুক্তি পেলেও সিনেমাটি এখন ২ হাজার পর্দায় প্রদর্শিত হচ্ছে।
নতুন মুখ আহান পান্ডে অভিষেক সিনেমাতেই বাজিমাত করেছেন। অনীত পড্ডা একেবারে নতুন না হলেও মূলধারার সিনেমায় এটাই তার বড় সুযোগ। এর আগে কাজলের সঙ্গে ‘সালাম ভেঙ্কি’ ও ‘বিগ গার্লস ডোন্ট ক্রাই’ সিরিজে অভিনয় করেছেন তিনি।
সিনেমাটি মুক্তির পর থেকে দর্শক-সমালোচকদের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে। এটি প্রযোজনা করেছে যশরাজ ফিল্মস। ৪৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৩ কোটি ২০ লাখ টাকা) বাজেটের ‘সাইয়ারা’ বক্স অফিসে কতটা সাড়া ফেলেছে?
স্যাকনিল্কের তথ্য অনুসারে, মুক্তির প্রথম দিনে ‘সাইয়ারা’ আয় করে ২১.
সপ্তম দিনে আয় করে ১৯ কোটি রুপি, অষ্টম দিনে আয় করে ১৮ কোটি রুপি, নবম দিনে আয় করে ২৬.৫ কোটি রুপি, দশম দিনে ৩০ কোটি রুপি, এগারোতম দিনে আয় করে ৯.৫ কোটি রুপি। ১১ দিনে ভারতে সিনেমাটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ২৯৬.৭ কোটি রুপি (গ্রস)। বিদেশে আয় করেছে ৭৭ কোটি রুপি। বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ৩৭৩.৭ কোটি রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫২৭ কোটি ৪১ লাখ টাকার বেশি।
২০২৫ সালে বেশ কিছু হিন্দি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। প্রথম দিনে সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমার তালিকায় ‘সাইয়ারা’ চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। এর আগে আছে রয়েছে ভিকি কৌশলের ‘ছাভা’, সালমান খানের ‘সিকান্দার’ আর অক্ষয় কুমারের ‘হাউজফুল ৫’ সিনেমা।
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিজিবিতে চাকরি পেলেন ফেলানীর ছোট ভাই
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত ফেলানী খাতুনের ছোট ভাই আরফান হোসেন (২১) বিজিবির সিপাহি পদে চাকরি পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাটে ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম তার হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন। এ সময় আরফান হোসেনের বাবা মো. নুরুল ইসলামও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
কক্সবাজারে ৮০ শতাংশ মাদক আসে সাগরপথে: বিজিবি
এর আগে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৫ বিজিবি আয়োজিত সিপাহি নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হন আরফান হোসেন।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন, ‘‘বিজিবি সর্বদা ফেলানীর পরিবারের পাশে আছে। ফেলানীর ছোট ভাই বিজিবি নিয়োগ পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণকেন্দ্রে গিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ শুরু করবেন। আমরা আশা করি, প্রশিক্ষণ শেষ করে তিনি একজন যোগ্য বিজিবি সদস্য হিসেবে দেশমাতৃকার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবেন।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘সীমান্তে ফেলানী হত্যার মতো নৃশংস ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে আর না ঘটে, সে বিষয়ে বিজিবি সর্বদা সীমান্তে অত্যন্ত সতর্ক ও সচেষ্ট রয়েছে।’’
আরফান হোসেন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের কলোনটারী গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা নুর ইসলাম দিনমজুর ও মা জাহানারা বেগম গৃহিণী। পরিবারের অন্য দুই ভাইয়ের মধ্যে জাহান উদ্দিন স্নাতক পড়ছেন এবং আক্কাস আলী পড়ছেন এইচএসসিতে। দুই বোন মালেকা খাতুন ও কাজলী আক্তারের বিয়ে হয়েছে।
আরফান হোসেন বলেন, ‘‘ফেলানী হত্যার পর সারা দেশের মানুষ যেভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছিল, তখন থেকে ইচ্ছে ছিল; বিজিবিতে চাকরি করব। আজ সেই স্বপ্ন পূর্ণ হলো। আমি দেশের মানুষের জন্য কাজ করব।’’
ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম বলেন, ‘‘ভারত থেকে ফেরার পথে আমার নাবালিকা মেয়েকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করে কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখে বিএসএফ। সেই দৃশ্য আজও ভুলতে পারিনি। তবে, দেশবাসী আর বিজিবি সব সময় আমাদের পাশে ছিল। আজ আমার ছেলে মেধা ও যোগ্যতায় বিজিবিতে সুযোগ পেয়েছে। এটা আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি।’’
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোরে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় কিশোরী ফেলানী। তার নিথর দেহ কাঁটাতারের বেড়ায় দীর্ঘ সাড়ে চার ঘণ্টা ঝুলে ছিল। সেই ছবি ছড়িয়ে পড়লে দেশ-বিদেশে নিন্দার ঝড় উঠে।
ঢাকা/সৈকত/রাজীব