কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঠিক কথাই বলেছেন, ভারতের অর্থনীতি মৃত।

আজ বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে রাহুল এই মন্তব্য করার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সেও একই কথা লেখেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই ভারতের অর্থনীতিকে মেরে ফেলেছেন।

গতকাল বুধবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ স্যোশালে ট্রাম্প লেখেন, ‘ভারত ও রাশিয়া—দুই দেশের অর্থনীতিই মৃত। দুই দেশের মধ্যে কী বোঝাপড়া হয়েছে, তা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। তারা একই সঙ্গে মৃত অর্থনীতি নিয়ে রসাতলে যেতে পারে। ভারতের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য খুবই কম। ওদের শুল্কহার প্রচণ্ড চড়া। পৃথিবীর সর্বোচ্চ। রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য হয় না বললেই চলে। অতএব, ও নিয়ে না ভাবলেও চলবে।’

আজ সংসদ ভবন চত্বরে গণমাধ্যম রাহুলকে ট্রাম্পের ওই মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘ভারতের অর্থনীতি যে মৃত, তা সবাই জানেন। আপনারা জানেন না? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ছাড়া এই সত্য সবার জানা। আমি খুশি যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সত্যি কথাটা বলেছেন। গোটা পৃথিবী জানে ভারতের অর্থনীতি মৃত। আদানিকে সাহায্য করতে গিয়ে দেশের অর্থনীতির বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে বিজেপি।’

এরপর রাহুল একই কথা ‘এক্স’ মারফতও জানান। সেখানে তিনি লেখেন, ‘ভারতের অর্থনীতি মৃত। মোদি মেরে ফেলেছেন।’ এরপর পাঁচটি কারণ দেখিয়ে রাহুল ব্যাখ্যা করেন, কেন ও কী কারণে ভারতের অর্থনীতির পঞ্চত্বপ্রাপ্তি ঘটেছে—১.

আদানি-মোদি অংশীদারত্ব; ২. নোট বাতিল ও ত্রুটিযুক্ত জিএসটি; ৩. ভারতে যন্ত্রাংশ জোড়া লাগানো বা ‘অ্যাসেম্বল ইন ইন্ডিয়া’ নীতি; ৪. মধ্যম ও ক্ষুদ্র শিল্প ধ্বংস করে দেওয়া এবং ৫. কৃষকদের নাভিশ্বাস তুলে দেওয়া।

এই পাঁচ কারণ দেখানোর পর রাহুল লেখেন, ‘দেশের যুব সম্প্রদায়ের ভবিষ্যৎ মোদি তছনছ করে দিয়েছেন। কারণ, কোথাও কোনো চাকরি নেই।’

যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কনীতি নিয়ে রাহুল বলেন, ‘দেখে নেবেন, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য চুক্তি হবে। ট্রাম্পই সেই চুক্তির সংজ্ঞা ঠিক করবেন, মোদি স্রেফ তাঁর নির্দেশ মেনে নেবেন।’

রাহুল আরও বলেন, ‘মোদি স্রেফ এক ব্যক্তি বিশেষের জন্য কাজ করেন। শিল্পপতি গৌতম আদানি। দেশের অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও পররাষ্ট্রনীতি তিনি ধ্বংস করে দিয়েছেন।’

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নাজমুলই থাকছেন টেস্ট অধিনায়ক

গত জুনে টেস্ট অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন নাজমুল হোসেন। এরপর বাংলাদেশ আর টেস্ট খেলেনি। মাঝে নানা ঘটনাপ্রবাহের পর সিদ্ধান্ত পাল্টেছেন নাজমুল, টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যেতে রাজি হয়েছেন তিনি। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়েছে, ২০২৫-২০২৭ আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চক্রের শেষ পর্যন্ত টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন নাজমুল।

২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো টেস্ট দলের নেতৃত্ব পান নাজমুল। এখন পর্যন্ত তিনি ১৪টি টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর অধীনে বাংলাদেশ দল পাকিস্তানের বিপক্ষে ওদেরই মাঠে দুটি টেস্ট জিতেছে। সব মিলিয়ে নাজমুলের নেতৃত্বে ৪ টেস্টে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ, ড্র করেছে ১টি, হেরেছে ৯টি।

গত বছর তিন সংস্করণেই বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন নাজমুল। টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট হাতে সময় ভালো না যাওয়ায় এ বছরের শুরুতে সেই সংস্করণের নেতৃত্ব থেকে নিজেই সরে যান। এরপর গত জুনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে হুট করেই নাজমুলকে ওয়ানডে নেতৃত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার রেশ ধরে নাজমুল টেস্ট সংস্করণের অধিনায়কত্বও ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক নাজমুল হোসেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চট্টগ্রামে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যুবককে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা
  • ‘দূরে থেকেও আমরা কাছে, এটাই বাস্তব’
  • বিলাসবহুল প্রমোদতরিতে খুন, এরপর...
  • ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত
  • শাহরুখকে ‘কুৎসিত’ বলেছিলেন হেমা মালিনী, এরপর...
  • প্রথম দেখায় প্রেম নাকি ঝগড়া? আসছে ইয়াশ–তটিনীর ‘তোমার জন্য মন’
  • জেমিনিতে যুক্ত হলো গুগল স্লাইডস তৈরির সুবিধা, করবেন যেভাবে
  • নড়াইলে ৩ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ
  • রোহিতের পর কোহলির রেকর্ডও কাড়লেন বাবর, পাকিস্তানের সিরিজ জয়
  • নাজমুলই থাকছেন টেস্ট অধিনায়ক