গত জুনে টেস্ট অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন নাজমুল হোসেন। এরপর বাংলাদেশ আর টেস্ট খেলেনি। মাঝে নানা ঘটনাপ্রবাহের পর সিদ্ধান্ত পাল্টেছেন নাজমুল, টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যেতে রাজি হয়েছেন তিনি। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়েছে, ২০২৫-২০২৭ আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চক্রের শেষ পর্যন্ত টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন নাজমুল।
২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো টেস্ট দলের নেতৃত্ব পান নাজমুল। এখন পর্যন্ত তিনি ১৪টি টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর অধীনে বাংলাদেশ দল পাকিস্তানের বিপক্ষে ওদেরই মাঠে দুটি টেস্ট জিতেছে। সব মিলিয়ে নাজমুলের নেতৃত্বে ৪ টেস্টে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ, ড্র করেছে ১টি, হেরেছে ৯টি।
গত বছর তিন সংস্করণেই বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন নাজমুল। টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট হাতে সময় ভালো না যাওয়ায় এ বছরের শুরুতে সেই সংস্করণের নেতৃত্ব থেকে নিজেই সরে যান। এরপর গত জুনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে হুট করেই নাজমুলকে ওয়ানডে নেতৃত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার রেশ ধরে নাজমুল টেস্ট সংস্করণের অধিনায়কত্বও ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক নাজমুল হোসেন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ধবলধোলাই হয়ে লিটন বললেন, ‘একটা বিরতি দরকার’
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে তখন সব ক্রিকেটারই হাঁটা ধরেছেন ড্রেসিংরুমের দিকে। অধিনায়ক লিটন দাসের ব্যস্ততা তখনো শেষ হয়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ঘরের মাঠে ধবলধোলাই হওয়ার ক্লান্তি নিয়েই তাঁকে সংবাদ সম্মেলনে আসতে হয়েছে সেটির ব্যাখ্যা দিতে।
সিরিজজুড়েই বাংলাদেশ ব্যর্থ ছিল ব্যাটিংয়ে। আগের ম্যাচে ১৫০ রান তাড়া করে জিততে পারেনি তারা, কাল হেরেছে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৫১ রান করে। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে এ নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই লিটন টেনে আনেন ক্লান্তির কথা। এরপর জানান, একটা বিরতি খেলোয়াড়দের চাঙা করতে পারে নতুন করে।
লিটন বলেন, ‘এখানকার খেলোয়াড়েরা নিজেদের প্রমাণ করেছে। তারা জাতীয় দলে অনেক দিন ধরে খেলছে। একটা সিরিজ বাজে যেতে পারে। তবে যেই খেলোয়াড়েরা খেলেছে, সবাই নিজেদের প্রমাণ করেছে। দুয়েকজন সব সময় ভালো করে। আমার মনে হয় বিরতিটাও গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয়, তারা একটু ক্লান্ত আছে। বিরতির পরে আবার তারা চাঙা হয়ে আসবে এবং ভালো মতোই খেলবে।’
গত মাসের শুরুতে এশিয়া কাপের আগে মাসখানেকের ক্যাম্প করে বাংলাদেশ। এরপর এশিয়া কাপ খেলে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দেশে না ফিরেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে। আমিরাতে দেড় মাসের লম্বা সফর শেষে দেশে ফেরার তিন দিনের মধ্যেই ক্রিকেটাররা নামেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
সেই ক্লান্তির কথা তুলে ধরে লিটন বলেন, ‘অনেক সময় ক্রিকেটাররা অনেক ক্রিকেট খেলে ফেলে এবং অবসাদ চলে আসে। আপনি অনেক কিছু চেষ্টা করেন দেওয়ার জন্য, কিন্তু অনুকূলে থাকে না কোনো কোনো সময়। এই একটা সিরিজ তেমন হতে পারে। অনেক দিন ধরে ক্রিকেট খেলছে সবাই।’