মঞ্চে দাঁড়ানো বলিউডের তারকা দম্পতি গুরমিত চৌধুরী ও দেবিনা ব্যানার্জি। লাল শাড়িতে বধূ সেজেছেন দেবিনা। অন্যদিকে বরের সাজে গুরমিত। মঞ্চে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন তারা। হঠাৎ স্ত্রী দেবিনার পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নেন গুরমিত। আর দেবিনাও হাস্যোজ্জ্বল মুখে স্বামীকে আশীর্বাদ করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা যায়।  

দ্য ফ্রি প্রেস জার্নাল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শুরু হতে যাচ্ছে টিভি রিয়েলিটি শো ‘পতি পত্নীতে আউর পাঙ্গা’। এ শোয়ে অংম নেবেন গুরমিত-দেবিনা। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) মুম্বাইয়ে এ শোয়ের লঞ্চিং অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানের মঞ্চে স্ত্রীর পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নেন গুরমিত। 

গুরমিত-দেবিনার এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর ভূয়সী প্রশংসা করছেন নেটিজেনরা। একজন লেখেন, “দারুণ মুহূর্ত।” কেউ কেউ গুরমিতকে সবুজ পতাকাধারী স্বামী বলে মন্তব্য করেছেন।  

আরো পড়ুন:

শাহরুখের স্বপ্নপূরণ: যারা পেলেন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার

সিনেমার গল্পকেও হার মানায় মীনা কুমারীর জীবন

টিভি অনুষ্ঠান ‘রামায়ণ’-এ প্রথম একসঙ্গে অভিনয় করেন দেবিনা-গুরমিত। এতে তারা রাম ও সীতা চরিত্রে অভিনয় করেন। এ দুটি চরিত্র তাদের ব্যাপক জনপ্রিয়তা এনে দেয়। এ সময়ে সম্পর্কে জড়ান তারা। দীর্ঘ ৬ বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর ২০১১ সালে বিয়ে করেন গুরমিত-দেবিনা। 

অনেক দিন ধরেই সন্তানের অপেক্ষায় ছিলেন এই তারকা দম্পতি। দীর্ঘ দিন বিভিন্ন ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েছেন তারা। সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩ এপ্রিল কন্যা সন্তানের মা হন দেবিনা। প্রথম সন্তানের বয়স সাড়ে ৪ মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই দ্বিতীয় সন্তান আগমনের খবর দিয়ে দারুণ কটাক্ষের শিকার হয়েছিলেন ভারতীয় টিভি সিরিয়ালের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। সব বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে ২০২২ সালের ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় সন্তানের মুখ দেখেন দেবিনা।

শুধু ছোট পর্দা নয়, ‘ওজাহ তুম হো’, ‘পল্টন’-এর মতো সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন গুরমিত। অন্যদিকে হিন্দি ভাষার ‘খামোশিয়ান’, ‘ইন্ডিয়ান বাবু’, তেলেগু ভাষার ‘সিক্স’সহ বেশ কিছু সিনেমায় কাজ করেছেন দেবিনা।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে 

বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে।

বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সম্প্রতি যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, সেসব দেশে পরবর্তী এক বছরে এফডিআই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালের পর এফডিআই কমেছে ১৯.৪৯ শতাংশ, চিলিতে ২০১৯ সালের পর কমেছে ১৫.৬৮ শতাংশ, সুদানে ২০২১ সালের পর ২৭.৬০ শতাংশ, ইউক্রেনে ২০১৪ সালের পর ৮১.২১ শতাংশ, মিশরে ২০১১ সালের পর ১০৭.৫৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৯৮ সালের পর ১৫১.৪৯ শতাংশ কমেছে। এই ধারাবাহিক হ্রাসের মধ্যে বাংলাদেশে এফডিআইর ১৯.১৩ শতাংশ বৃদ্ধির চিত্র বিশেষভাবে নজরকাড়া।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো—শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার অদ্ভুত ক্ষমতা। এই পরিসংখ্যান তার দারুন একটা প্রতিফলন। সাধারণত, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু আমরা উল্টা দেখছি। সঠিক নীতি নির্ধারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আন্তরিকতা এবং প্রাইভেট সেক্টরের অদম্য স্পৃহা কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সব সমস্যার সমাধান হয়নি, তবে সদিচ্ছার কোনো ত্রুটি ছিল না। শিগগিই সারা বছরের একটি আমলনামা (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করা হবে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধারা বজায় থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।

ঢাকা/নাজমুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে