আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে অসামান্য সাফল্য পেয়েছেন রদ্রিগো দি পল। বিশ্বকাপের পাশাপাশি জিতেছেন দুটি কোপা আমেরিকা এবং ফিনালিসিমা। কিন্তু জাতীয় দলে এত কিছু জিতলেও ক্লাব ক্যারিয়ারের এখনো কিছু জেতা হয়নি রদ্রিগো দি পলের। কোনো ক্লাবের হয়েই ট্রফি জিততে পারেননি।

২০১২ সালে আর্জেন্টাইন ক্লাব রেসিংয়ে ক্লাব ক্যারিয়ার শুরু দি পলের। এরপর ভ্যালেন্সিয়া ও উদিনেস হয়ে যোগ দেন আতলেতিকো মাদ্রিদে। ২০২১ থেকে গত মৌসুম পর্যন্ত আতলেতিকোতেই ছিলেন এই মিডফিল্ডার। কিন্তু এই ১৩ বছরের ক্লাব ক্যারিয়ারে কোনো ট্রফি নেই দি পলের।

এবারের দলবদলে আতলেতিকো ছেড়ে ইন্টার মায়ামিতে এসেছেন এই আর্জেন্টাইন তারকা, যেখানে জাতীয় দলের সতীর্থ লিওনেল মেসির সঙ্গে বেঁধেছেন জুটিও। এরই মধ্যে মায়ামির হয়ে অভিষেক হয়েছে দি পলের।

আরও পড়ুননিষেধাজ্ঞা মেসির পিছু ছাড়ছে না, এবার নিষিদ্ধ হলেন তাঁর দেহরক্ষী৬ ঘণ্টা আগে

মায়ামিতে ৩১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে শিরোপা জেতা। দি পলের বিশ্বাস, মেসি যখন পাশে আছেন, এ আশাও পূরণ হবে তাঁর। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথাই বলেছেন সমর্থকদের কাছে মেসির ‘দেহরক্ষী’ নামে পরিচিতি পাওয়া দি পল।

জয়সূচক গোলের পর মেসির সঙ্গে গোল উদ্‌যাপন করতে এগিয়ে এলেন খেলা রদ্রিগো দি পল (বাঁয়ে).

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত

নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।

কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।

১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)

আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)

ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।

৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)

ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।

৪. ঋণের মেয়াদ

কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।

৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)

শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।

৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)

ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।

৭. প্রসেসিং ফি

আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।

৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)

বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।

৯. জামানত (কোলেটারাল)

ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।

১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও

আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ