‘এত বড় আন্দোলনের সঙ্গে থাকতে পারাটা আমার জন্য বিরাট পাওয়া’
Published: 5th, August 2025 GMT
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যত্থানের মুখে দেশ ছাড়েন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ আন্দোলনের শুরু থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন নির্মাতা আশফাক নিপুন। কখনো ফেসবুকে, কখনো দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজের ব্যানারে রাজপথে দাঁড়িয়েছেন।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি। এ উপলক্ষে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন নিপুন। এই গণ-অভ্যুত্থানে যুক্ত হতে পারাকে বড় প্রাপ্তি বলে মনে করেন তিনি। তার ভাষায়, “বিশ্বের অনেক বড় বড় শিল্পী আছেন, যারা একজীবনে রাষ্ট্র, সমাজ, রাজনীতি নিয়ে এত বড় গণ–অভ্যুত্থানের অংশ হতে পারেননি। সেখানে বাংলাদেশের মতো একটা জায়গায় একজন ক্ষুদ্র শিল্পী হিসেবে এত বড় মুভমেন্টের (আন্দোলন) সঙ্গে থাকতে পারলাম, এটা আমার জন্য বিরাট পাওয়া।”
এ আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে এই নির্মাতা বলেন, “বহু বছর ধরেই আমার আন্দোলন চলছে, ১৫ বছর ধরেই চলছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আগেও বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলন করেছি। সাংবাদিক কাজল গুম, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল, কিশোর–মুশতাকের ওপর অত্যাচার থেকে খাদিজাকে গ্রেপ্তার—সব ক্ষেত্রেই রাস্তায় সরব ছিলাম। বিবেক থেকে আন্দোলনে নামার তাড়নাটা আসে, এটা আর কোনো কিছু না। গত ১৫ বছরে হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাটা আমার কাছে দরকার মনে হয়েছে।”
আরো পড়ুন:
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে বন্ধ থাকবে স্টার সিনেপ্লেক্স
মেয়েকে অবহেলার গুঞ্জনে ক্ষুব্ধ পরীমণির কড়া জবাব
সরকারের দমনপীড়ন উপেক্ষা করার সাহস কোথায় পেয়েছিলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নিপুন বলেন, “আন্দোলনের সময়ে এলিটাকে (স্ত্রী এলিটা করিম) ফোন দিয়ে, প্রযোজকদের ফোন দিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, আমাকে কীভাবে থামানো যায়! আমাকে (তুলে) নেওয়ার জন্য পরিকল্পনাও করছিল। আমার জন্য জুলাইটা অন্য ধরনের সেলিব্রেশন। কারণ গত ১৫ বছর বিভিন্ন ইস্যুতে আমি দাঁড়িয়েছিলাম। তখন আমি ছিলাম একা। মহানগর বানানোর পর গোয়েন্দারা এসে আমাকে তুলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। বাসায় পুলিশ আসা, লুকিয়ে থাকা—এগুলো আমাকে এত দিন একা ফেস করতে হয়েছে। জুলাইয়ে আমার মনে হয়েছে, এখন আমি আর একা না। কোটি কোটি মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। এটা একটা কালেক্টিভ (সম্মিলিত) সাহস ছিল।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
১৬ বছরের আন্দোলনের ফসল জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান: আমানউল্লাহ
বিএনপির ১৬ বছরের আন্দোলনের ফসল জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান বলে মন্তব্য করেছেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান।
তিনি বলেন, “তারেক রহমানের নির্দেশে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। ৫ আগস্ট সেই আন্দোলনের জয় হয়েছে।”
শনিবার (২ অগাস্ট) বিকেলে কেরাণীগঞ্জের নাজিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
টাঙ্গাইলে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপির ৩ নেতা বহিষ্কার
জলাবদ্ধতা নিরসনে গৌরীপুরে বিএনপির উদ্যোগে খাল পুনঃখনন
আমানউল্লাহ আমান বলেন, “আল্লাহ দিনকে রাত, রাতকে দিন এবং মৃতকে জীবিত আবার জীবিতকে মৃত করেন। মানে, আল্লাহ চাইলে সব পারেন। বিগত ১৬ বছরে আমি ১১বার জেলে গিয়েছি। আমার কেরাণীগঞ্জের অনেক নেতাকর্মী বিনা দোষে কারাবরণ করেছেন। অনেক অত্যাচার সহ্য করেছি। দুঃসময় যারা বিএনপির সঙ্গে ছিলেন তারাই প্রকৃত বন্ধু।”
নাজিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ডা. আলী নূর পলাশের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন- কলাতিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. লিয়াকত আলী, কেরাণীগঞ্জ মডেল থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন জাকির, কলাতিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এনামুল হক চাঁন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক দাউদ শিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা।
ঢাকা/শিপন/মাসুদ