ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবর্ষ স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তির পরও দুটি ইউনিটের কিছু আসন শূন্য রয়েছে। ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের এসব আসনে বিশেষ মাইগ্রেশনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এরপর শূন্য আসনে নতুন করে মেধাক্রমে থাকা শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি–সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিশেষ মাইগ্রেশন–সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিট এবং কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের কিছু শূন্য আসন পূরণ করার উদ্দেশ্যে বিশেষ মাইগ্রেশনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। যেসব শিক্ষার্থীর অটো মাইগ্রেশন চালু রয়েছে, তাঁরা বিশেষ মাইগ্রেশনে বিবেচিত হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

৪ থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে ৫০ টাকা ফি জমা দিয়ে বিশেষ মাইগ্রেশনের আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। যদি কোনো শিক্ষার্থী অনলাইনে ‘বিশেষ মাইগ্রেশন’-এর আবেদন না করেন, তিনি তাঁর বর্তমান বিষয়টিতেই পড়তে আগ্রহী বলে গণ্য করা হবে এবং বিশেষ মাইগ্রেশনে তাঁকে বিবেচনা করা হবে না।

আরও পড়ুনফিনল্যান্ড কীভাবে গড়েছে বিশ্বসেরা শিক্ষাব্যবস্থা, সাফল্যের ৬ কারণ০৩ আগস্ট ২০২৫

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, মাইগ্রেশনের ফলে একজন শিক্ষার্থী নতুন কোনো বিষয় বরাদ্দ পেলে তাঁর পূর্ববর্তী বিষয়ের বরাদ্দ ও ভর্তি স্বংংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে। তাঁর বাতিল হওয়া আসনে অন্য কোনো শিক্ষার্থীকে বরাদ্দ দেওয়া হবে। ফলে নতুন বিষয়ে বরাদ্দপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে অবশ্যই বরাদ্দ করা নতুন বিষয়ে ভর্তি হতে হবে।

আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়ার আরটিপি বৃত্তি, টিউশন ফি মওকুফ, উপবৃত্তি-ভ্রমণ ভাতাসহ নানা সুযোগ ০২ আগস্ট ২০২৫

বিশেষ মাইগ্রেশনের মাধ্যমে শূন্য আসনগুলোতে বিষয় বরাদ্দের পর অবশিষ্ট শূন্য আসনে মেধাক্রম অনুযায়ী নতুন শিক্ষার্থীদের বিষয় বরাদ্দ দেওয়া হবে। কোনো শিক্ষার্থী তাঁর বিষয় পছন্দক্রমের প্রথম বিষয়টি বরাদ্দ পেয়ে থাকলে সে বিশেষ মাইগ্রেশনের জন্য বিবেচ্য হবে না। বিভিন্ন কোটায় বিষয় বরাদ্দপ্রাপ্তরা বিশেষ মাইগ্রেশনের জন্য বিবেচ্য হবেন না।

* বিশেষ বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ ন য আসন ইউন ট

এছাড়াও পড়ুন:

সূর্য কি সত্যিই জেগে উঠছে

সৌরজগতে উষ্ণতা থেকে শুরু করে ভর আর সব গ্রহের কক্ষপথের স্থিতিশীলতা দিচ্ছে সূর্য। আমাদের পৃথিবীতে জীবনের অস্তিত্বের জন্য প্রয়োজনীয় অবস্থা তৈরির জন্য সূর্যের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। তবে নাসার বিজ্ঞানীদের ধারণা, শক্তিশালী সূর্য জেগে উঠেছে। আমাদের সূর্য অপ্রত্যাশিতভাবে তার কার্যকলাপ বৃদ্ধি করতে শুরু করেছে। এতে আরও তীব্র সৌরঝড় দেখা দিতে পারে। সৌরঝড়ের কারণে নানা ভাবে বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ ব্যাহত হয়।

নাসার তথ্যমতে, আমাদের সৌরজগতের মধ্যমণি সূর্য প্রায় ২০ বছর ধরে শান্ত ও দুর্বল অবস্থায় ছিল। ২০০৮ সালে সূর্যের প্রকৃতিতে আশ্চর্যজনকভাবে পরিবর্তন আসে। বিজ্ঞানীরা সেই পরিবর্তনের কারণে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০৮ সাল থেকে সূর্যের সৌরবায়ু বা চার্জ হওয়া কণার স্রোতের গতি, ঘনত্ব, তাপমাত্রা ও চৌম্বক ক্ষেত্রের শক্তি বাড়ছে। এতে শক্তিশালী সৌরঝড় তৈরির সুযোগ বাড়ছে। এসব ঝড় নিয়মিতভাবে পৃথিবীতে আঘাত করে। ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের কারণে পাওয়ার গ্রিড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ঝড় উপগ্রহের স্বাভাবিক কাজে হস্তক্ষেপ করে বলে জিপিএসের মতো যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হয়।

সৌরঝড় কখন তৈরি হবে, তার সঠিক সময় ও ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ২০২৫ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে সূর্যের বর্তমান ১১ বছরের চক্র সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে বলে ঝড় আরও ঘন ঘন হতে পারে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরির প্রধান গবেষণা লেখক জেমি জ্যাসিনস্কি বলেন, সূর্য ধীরে ধীরে জেগে উঠছে। সৌর কণার বর্ধিত সংস্পর্শ মহাকাশচারীদের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এ সপ্তাহে একটি শক্তিশালী ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের কারণে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবায় ব্যাপক সমস্যা দেখা যায়।

অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্সে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, সৌর কার্যকলাপের বৃদ্ধি দীর্ঘ ২২ বছরের চক্রের অংশ হতে পারে। সূর্য এখন তার রহস্যময় দুই দশকের শান্ত অবস্থা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। ২০০৮ সাল থেকে সৌরবায়ুর গতি ৬ শতাংশ ও ঘনত্ব ২৬ শতাংশ বেড়েছে।

সূত্র: ডেইলি মেইল

সম্পর্কিত নিবন্ধ