হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে তোলা ১৫ হাজার ঘনফুট সাদা বালু (বিট বালু) জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার দীঘলবাগ ও ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের নদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই বালু জব্দ করা হয়। তবে ঘটনাস্থলে বালু উত্তোলনকারীদের পাওয়া যায়নি।

আরো পড়ুন:

মানিকগঞ্জে আইসক্রিমে কৃত্রিম রঙ, কারখানায় জরিমানা

গুদামে ভেজাল পণ্য মজুত, দুই লাখ টাকা জরিমানা

অভিযান পরিচালনা করেন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.

রুহুল আমীন। এ সময় নবীগঞ্জ থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ইউএনও মো. রুহুল আমীন বলেন, “বালু উত্তোলনকারীরা আগেই পালিয়ে যান। তারা বালু তুলে বিক্রির জন্য স্তুপ করে রেখেছিলেন। এ বিষয়ে নজরদারি অব্যাহত থাকবে। অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে। মূল হোতাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জে কুশিয়ারা নদী থেকে দীর্ঘদিন ধরে সাদা বালু লুট হচ্ছে। প্রতিদিন দীঘলবাক, দুর্গাপুর, পাহাড়পুর ও পারকুল এলাকায় নদীর প্রায় ১০-১৫টি স্পট থেকে ড্রেজার মেশিনে বালু তোলা হয়। নদী থেকে তোলা বালু নদীর তীর ও কৃষিজমিতে স্তুপ করে রাখা হয়। এতে ব্যাপক নদীভাঙন দেখা দিচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসলি জমি ও আশপাশের বাড়িঘর।

ঢাকা/মামুন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য ন

এছাড়াও পড়ুন:

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ভিনগ্রহের বস্তু নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ইলন মাস্ক

গত জুলাই মাসে শনাক্ত হওয়া রহস্যময় ‘৩আই/অ্যাটলাস’ নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুর পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। আমাদের সৌরজগতের মধ্যে থাকা বস্তুটি এমন আচরণ করছে, যা বিজ্ঞানীরা আগে কখনো দেখেননি। কারও ধারণা এটি ধূমকেতু, আবার কারও মতে ভিনগ্রহ থেকে আসা মহাকাশযান। উৎস ও পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে না পারলেও বস্তুটি পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি নয় বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা জ্যোতির্বিজ্ঞানী অভি লোব অভিযোগ করেছেন, নাসা বস্তুটির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করছে। বিশাল আকারের অতিদ্রুতগামী মহাজাগতিক বস্তুটি অস্বাভাবিক রাসায়নিক উপাদান নিঃসরণ করছে, যা বিজ্ঞানের প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে। অনেকের ধারণা, ৩আই/অ্যাটলাস কোনো কৃত্রিম উৎস থেকে তৈরি হতে পারে। এবার এই বিতর্কে নাম লিখিয়েছেন মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক।

জনপ্রিয় মার্কিন পডকাস্ট দ্য জো রোগান এক্সপেরিয়েন্সে ইলন মাস্ক ৩আই/অ্যাটলাস নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু সম্পর্কে নিজের ভাবনা প্রকাশ করেছেন। বস্তুটি কোনো ভিনগ্রহের মহাকাশযান হতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইলন মাস্ক বলেন, ‘আপনি যদি এটিকে সম্পূর্ণ নিকেল দিয়ে তৈরি করেন, তবে তা হবে একটি অত্যন্ত ভারী মহাকাশযান। এটি এমন একটি যান হতে পারে, যা একটি মহাদেশকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে। তার চেয়েও খারাপ কিছু ঘটাতে পারে। যদি আমি ভিনগ্রহের কোনো প্রমাণ সম্পর্কে জানতে পারি, তাহলে কথা দিচ্ছি আপনার অনুষ্ঠানে আসব। আর এখানেই তা প্রকাশ করব।’

অভি লোবের দাবি, আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুটি পৃথিবীর ওপর নজরদারি করতে পাঠানো ভিনগ্রহের কোনো মহাকাশযান হতে পারে। অস্বাভাবিক লেজযুক্ত বস্তুটি প্রতি সেকেন্ডে চার গ্রাম নিকেল নিঃসরণ করছে; যদিও সেখানে কোনো লোহার উপস্থিতি নেই। ধূমকেতুর ক্ষেত্রে এমন আচরণ আগে দেখা যায়নি।

জো রোগান তাঁর আলোচনায় ধূমকেতুর রহস্যময় বৈশিষ্ট্যের ওপর জোর দেন। ধূমকেতুর গ্যাসের মেঘে নিকেলের উপস্থিতি উল্লেখ করেন। এই ধাতু পৃথিবীতে প্রধানত শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত সংকর ধাতুতে পাওয়া যায়। অন্যদিকে ইলন মাস্ক নিকেলের উপস্থিতির একটি পার্থিব ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, অনেক ধূমকেতু ও গ্রহাণু প্রাথমিকভাবে নিকেল দিয়ে তৈরি। পৃথিবীতে যেখানে নিকেলখনি দেখা যায়, সেখানে আসলে অতীতে নিকেলসমৃদ্ধ কোনো গ্রহাণু বা ধূমকেতু আঘাত করেছিল।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ