চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) নির্বাচন কমিশনে অধিকাংশ বিএনপিপন্থী শিক্ষকের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলেছে শাখা ছাত্রশিবির। এ অবস্থায় নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে শঙ্কা জানিয়েছে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে চাকসু নির্বাচন নিয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এমন শঙ্কা জানিয়েছে শাখা ছাত্রশিবির।

এসময় লিখিত বক্তব্যে শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, “নির্বাচন কমিশনের অধিকাংশ সদস্যই সরাসরি একটি বিশেষ দলের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকাবস্থায় নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে আমরা শঙ্কিত। নির্বাচন কমিশনে দায়িত্বে থাকা প্রফেসর ড.

জাহিদুর রহমান চৌধুরী যিনি প্রকাশ্যে ছাত্র শিবিরসহ তার মতাদর্শ বিরোধী সকলের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণ করেন।”

তিনি বলেন, “এমন একজন শিক্ষক নির্বাচন কমিশনে থাকলে সেই নির্বাচন সুষ্ঠ হওয়া সম্ভব নয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ করতে হবে।”

বিশেষ দল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশনে ৬০ শতাংশ সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষক। যেটি গভীরভাবে নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এ অবস্থায় নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে আমরা আশঙ্কা করছি। নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ করতে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দিয়ে ঢেলে সাজাতে হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে শাখা ছাত্রশিবির আরো কিছু দাবি জানিয়েছে। সেগুলো হলো- চাকসুর গঠনতন্ত্রে সভাপতি হিসেবে উপাচার্য মহোদয়কে একচ্ছত্র ক্ষমতা দিয়েছে। যা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে পদে পদে বাধাগ্রস্ত করবে।

যুগোপযোগী, প্রয়োজনীয় ও ক্যাম্পাসের সাথে প্রাসঙ্গিক অনেকগুলো সম্পাদক পদ রাখা হয়নি। অধিকন্তু, প্রয়োজন নেই এমন অনেক পদে সহ-সম্পাদক পদ যুক্ত করা হয়েছে। প্রশাসনকে গঠনতন্ত্র সংস্কারের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সম্পাদক পদ বৃদ্ধি করতে হবে।

প্রশাসন কোনো ছাত্রসংগঠনের সাথে আলোচনা না করেই বিশেষ একটি ছাত্রসংগঠনকে একপাক্ষিক সুবিধা দিতে ভোটার ও প্রার্থীদের বয়সসীমা তুলে নিয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসনকে এ ধরনের একপেশে সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা স্পষ্ট করতে হবে। আমরা মনে করি একটি দলের নেতাদের ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দিয়ে কোনো আলোচনা ছাড়াই তাদেরকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়ার জন্যই বয়সসীমা তুলে দেওয়া হয়েছে।

গঠনতন্ত্রে উল্লিখিত চাকসুর বিভিন্ন কমিটিতে সভাপতিকে সীমাহীন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি সভাপতির ক্ষমতা হ্রাস করে নির্বাচিত সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সংশ্লিষ্ট সম্পাদকের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

ঢাকা/মিজানুর/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ষমত

এছাড়াও পড়ুন:

কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী ফজলুর রহমান

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ২৩৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের নাম ঘোষণা করেন।

কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম) আসন থেকে প্রাথমিকভাবে বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের নাম ঘোষণা করেছে দলটি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘আসন্ন নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৪ আসন থেকে ভোটের মাঠে লড়বেন অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান। তবে, ঘোষিত প্রার্থী তালিকা পরিবর্তন হতে পারে।’’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সেই লক্ষ্যে জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করার কথা রয়েছে।

ঢাকা/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ