‘আপাতে, আপাতে’ গেয়ে দুনিয়াজুড়ে খ্যাতি পেয়েছেন ব্ল্যাকপিংক তারকা রোজে। ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক ও টিকটকে গানটি রীতিমতো ভাইরাল হয়েছিল। গানটি তাঁকে পুরস্কারও এনে দিয়েছে।
৭ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে গানটির জন্য ‘সং অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার জিতেছেন রোজে। এর মধ্যে আরেক সুখবর পেলেন এই গায়িকা।
গানের ভিডিওটি প্রকাশের ১১ মাসের ব্যবধানে ২০০ কোটি ভিউ হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রোজের এজেন্সি দ্য ব্ল্যাক লেবেল জানিয়েছে, একক কে–পপ শিল্পী হিসেবে রেকর্ড গড়েছেন রোজে; একমাত্র কোরিয়ান শিল্পী হিসেবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ২০০ কোটি ভিউয়ের রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
রোজে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গকসু নির্বাচন: যত্রতত্র প্রচারে বিরক্ত শিক্ষার্থীরা
গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচন ঘিরে দীর্ঘ ৭ বছরের উচ্ছ্বাসে ভাটা এনেছে যত্রতত্র প্রচার। সাধারণ নিয়মের পরোয়া না করেই প্রচার চালাচ্ছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা।
জান যায়, লাইব্রেরিতে জোরে কথা বলা নিষিদ্ধ থাকলেও সেখানে প্রচার চালিয়েছেন এক ভিপি পদপ্রার্থী। আরেক ভিপি পদপ্রার্থী আইন বিভাগে ক্লাস চলা অবস্থায় গিয়ে নির্বাচনী প্রচার করেন।
আরো পড়ুন:
চাকসু নিয়ে স্বরাষ্ট্র ও শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে চবি প্রশাসনের মতবিনিময়
চাকসু নির্বাচন: ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের প্যানেল ঘোষণা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে এসব ভিডিও। এতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ক্লাসে বসে পড়াশোনা করব, অথচ হঠাৎ প্রার্থী ঢুকে প্রচারণা শুরু করবেন—এটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।
নিয়মিত লাইব্রেরি ব্যবহারকারী কিছু শিক্ষার্থী জানান, লাইব্রেরিতে পড়ার সময় প্রার্থীসহ ৬-৭ জন এসে প্রচার চালান এবং ডেকে লিফলেট বিতরণ করেন, যা পড়া-শোনার বিঘ্ন ঘটায়। পড়াশোনার জায়গাতেই যদি প্রচার হয়, তাহলে আমরা কোথায় পড়ব?
এ বিষয়ে সহকারী লাইব্রেরিয়ান জ্যোতি বলেন, “লাইব্রেরিতে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অভিযোগ এসেছে কিছু প্রার্থী-সমর্থক সাধারণ শিক্ষার্থীর মত এসে প্রচার চালিয়েছেন। ফলে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে নজরদারি বাড়িয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হয়েছে।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিওতে দেখা যায়, আইন বিভাগে ক্লাস চলাকালে শিক্ষকের উপস্থিতিতে প্রচারণা চালাচ্ছেন এক ভিপি প্রার্থী।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক মো. লিমন হোসেন বলেন, যেহেতু এইটা পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন, সেহেতু সবারই সহযোগিতা দরকার। তাই আমি অনুমতিক্রমে প্রার্থীদেরকে তাদের প্রচারণা চালানোর সুযোগ দিয়েছি। তবে এই সুযোগ আমি কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্য দেইনি, সবার জন্যই দিয়েছি। তবে শুধু প্রার্থীকে ২ মিনিটের সুযোগ দিয়েছি।”
সার্বিক বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ফুয়াদ হোসেন বলেন, “লাইব্রেরির পরিবেশ বজায় রাখা লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক একাডেমিক কার্যক্রম যেন কোনোভাবেই বিঘ্নিত না হয়।”
ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী