শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে নিখোঁজ স্কুলছাত্রের মরদেহ ৭ ঘণ্টা পর উদ্ধার
Published: 19th, September 2025 GMT
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় পাহাড়ি ঢলের পানিতে ভেসে গিয়ে হুমায়ুন (১০) নামের এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজের সাত ঘণ্টা পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। হুমায়ুন উপজেলার বুরুঙ্গা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে। সে বুরুঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বেলা দুইটার দিকে চেল্লাখালী নদীতে পাহাড়ি ঢলের পানির সঙ্গে ভেসে আসা লাকড়ি ধরতে যায় হুমায়ুন ও তার চাচাতো ভাই আতিক হাসান। এ সময় তীব্র স্রোতে হুমায়ুন ভেসে যায়। পরে খবর পেয়ে বিকেলে জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। তবে তীব্র স্রোতের কারণে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। অবশেষে রাত নয়টার দিকে বুরুঙ্গা ব্রিজ থেকে প্রায় ৩০০ মিটার ভাটিতে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে রাত ১০টার দিকে হুমায়ুনকে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তানভীর ইবনে কাদের প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছিল।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শামীম হাসানের নতুন সিদ্ধান্ত, ইরফান সাজ্জাদের সতর্কবার্তা
ছোট পর্দার আলোচিত নাম শামীম হাসান সরকার। মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও স্বল্প সময়ে টিভি নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেন। সহজাত অভিনয়শৈলী আর হাস্যরসাত্মক চরিত্র রূপায়নের দক্ষতা তাকে আলাদা পরিচিতি দিয়েছে। ওয়েব সিরিজ, মঞ্চনাটক এবং বিজ্ঞাপনেও রেখেছেন সফল পদচারণা।
শামীম হাসান সরকারের অভিনয়ের প্রশংসা যেমন তার ভক্তরা করেন, তেমনই তার সমালোচকেরও অভাব নেই। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন এই অভিনেতা। গল্পে পরিবর্তন না আনলে শুটিং সেটে যাবেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরো পড়ুন:
আলোচিত হানিয়া কেন ঢাকায় আসছেন?
গল্পটা এই ক্লাসরুম থেকেই শুরু: ইরফান সাজ্জাদ
শামীম হাসান সরকার বলেন, “সামনের মাস থেকে গল্পে যদি পরিবর্তন না আনেন আমি কাজ করতে যাচ্ছি না। দিন শেষে আমি ‘একই রকম অভিনয় করি’ বা ‘হাউ কাউ’ করি এই কথাটা শুনতে বছরের পর বছর কাজ করে যাচ্ছি না। এই রুচি যে আমার না এটার পেছনে বাকিদের অবদানটাই বেশি এই কথা আমি আপনাদের সহজভাবে বুঝাতে পারব না। আবার রাজনীতির শিকার হয়ে যাব।”
শামীম হাসান সরকার মনে করেন, টাকা দিয়ে অভিনয়ের ক্ষুধা পূরণ করা যায় না। তার ভাষায়, “অভিনয়ের ক্ষুধা আপনি টাকা দিয়ে পূরণ করতে পারবেন না। অন্য কোনো দায়িত্ব দেন কষ্ট হউক করতে রাজি আছি। কিন্তু একই জিনিস থেকে আমাকেও মুক্তি দেন। আমিও বোরড (বিরক্ত)! অনেকদিন যাবত ভেবেছি, আজকে প্রকাশ করলাম। ছুটি নিব, ঘুরতে যাব। অনেক কাজ করেছি, সেগুলা ততদিনে ‘রিলিজ’ করেন।”
শামীম হাসানের অভিনয়কে যারা ‘হাউ কাউ’ বলেন, তাদের উদ্দেশ্যে এই অভিনেতা বলেন, “যারা টাকা দিয়ে নিয়ে আমাকে দিয়ে হাউ কাউ করায়, তারা যখন অন্য কাউকে বলে আমাকে দিয়ে হাউ কাউ ছাড়া অভিনয় হয় না। কিন্তু এই হাউ কাউ তো আপনাদের রুচি, আমার না। আমি তাদেরকে আমার অভিনয় একটাবার দেখাতে চাই। বয়সে বড় হয়েছি। অনেক বদলে গেছি। একবার সুযোগ দেন... এরপর নাহয় বিচার করলেন। আপনার মুখ থেকেই সুনামের জন্য যেভাবে অভিনয় করা লাগে করে দেখাব। চ্যালেঞ্জ! শেষ কথা—আমার আবারো বিরতি প্রয়োজন!”
শামীম হাসান সরকারের এই ভাবনার সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন নেটিজেনদের বড় একটি অংশ। মুন্সি প্রকৃতি লেখেন, “এই কথাটা ভালো লাগছে ভাই। দর্শকরা আর্টিস্টদেরকেই গালি দেয়। কিন্তু একই রকম গল্পতে অভিনয় করার পিছনে ক্যামেরার পিছনের লোকদের অবদান বেশি থাকে, এইটা কেউ বুঝতেই চায় না। আর শুধু এইটাই না একটা গল্প হিট গেলে ডাইরেক্টর রাইটারের সুনাম আর ফ্লপ হইলে আর্টিস্টের দুর্নাম।” মঞ্জিল হাসান লেখেন, “আপনাকে দিয়ে বাণিজ্যিকভাবেই ব্যতিক্রমধর্মী কাজ সম্ভব, সে প্রমাণ এর আগেও অনেক গল্পে পেয়েছি। ভালো সিদ্ধান্ত...শুভকামনা।”
শুধু নেটিজেনরাই নন, সহশিল্পীদের অনেকে শামীম হাসানের পোস্টে মন্তব্য করেছেন। শামীম হাসানকে সতর্ক করে অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ লেখেন, “তাহলে কাজ হারানোর জন্যও প্রস্তুত থাকো। যারা তোমার আশেপাশে ঘুরত, তারা ঘোরা বন্ধ করে দেবে। তারা বিকল্প কাউকে খুঁজে নেবে। কিন্তু তারপরও গল্প, চরিত্র বদলাবে না। বিকল্প খুঁজবে আর বলবে, ‘শামীমের দিন শেষ। বা** অভিনেতা। সেটে ঝামেলা করে।’ কেউই তোমার প্রতিনিধিত্ব করবে না। কেউ ঝুঁকি নেবে না। তোমার সিদ্ধান্ত যদি এটা হয়ে থাকে, তবে এটা ঘটতে যাচ্ছে। কথাগুলো মিলিয়ে নিও ব্রো শামীম হাসান সরকার।”
ইরফান সাজ্জাদের এ মন্তব্যের জবাবে শামীম হাসান সরকার লেখেন, “ভাই আমিও আপনার সাথে একমত। আপনি যা যা বলছেন আমিও জানি মেলানোর আগেই মিলে আছে!” পাল্টা মন্তব্যে ইরফান সাজ্জাদ লেখেন, এটাই সায়েন্স ব্রো… যার কারণে আমি নিজেই সরে গেছি।”
ঢাকা/শান্ত