বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এক সদস্যের গলায় কোক স্টুডিও বাংলার জনপ্রিয় গান ‘হালুগাইট্ট্যে মুড়ির টিন’। এর সঙ্গে গিটার ও শেকার (রেইনস্টিক) বাজাচ্ছেন দুজন মার্কিন বিমানসেনা। পাশে থাকা আরেক মার্কিন সেনা গানের সঙ্গে গলা মেলাচ্ছেন, তাল মিলিয়ে হাততালি দিচ্ছেন আরও একজন।

যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের বিমানবাহিনীর সদস্যদের একসঙ্গে গান করার এমন একটি দৃশ্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। গান করার দৃশ্যটি গতকাল সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে জহুরুল হক বিমানঘাঁটিতে ধারণ করা বলে জানা গেছে। ২০২৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘হালুগাইট্ট্যে মুড়ির টিন’ শিরোনামে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার গানটি মুক্তি পায় কোক স্টুডিও বাংলার ইউটিউব চ্যানেলে।

আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সূত্রে জানা গেছে, ১১ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ারফোর্সের অংশগ্রহণে ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’-এর যৌথ মহড়া শুরু হয় চট্টগ্রামে। এর সমাপনী অনুষ্ঠান গতকাল বৃহস্পতিবার আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জানা গেছে, সমাপনী অনুষ্ঠানের পর সেনাসদস্যরা চট্টগ্রামের জহুরুল হক বিমানঘাঁটিতে ফিরে আসেন। সাত দিনের মহড়ার ক্লান্তি ভুলে গতকাল রাতে গানে মেতে ওঠেন দুই দেশের কিছু সেনাসদস্য। গানের এই ভিডিও ফেসবুকে প্রথম শেয়ার করেন সাংবাদিক রেজাউল করিম। তিনি নিশ্চিত করেছেন, ভিডিওটি চট্টগ্রামের জহুরুল হক ঘাঁটির অডিটরিয়াম থেকে ধারণ করা।

গানের মেতে উঠেছেন দুই দেশের বিমানবাহিনীর সেনা সদস্যরা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ম নব হ ন সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির

জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর

দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”

তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ