মদপান নিয়ে কথা-কাটাকাটি, টেকনাফে পান দোকানিকে গলা কেটে হত্যা
Published: 19th, September 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফে মদপান নিয়ে কথা-কাটাকাটি ও পূর্ব বিরোধের জেরে ইমদাদ হোসেন (৪৭) নামে এক পান দোকানিকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে টেকনাফ পৌরসভার উত্তর জালিয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইমদাদ একই এলাকার মৃত আলী হোসেনের ছেলে।
আরো পড়ুন:
দিনাজপুরে টাকা চুরিকে কেন্দ্র করে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
বরিশালে বাবুল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৭
টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) হিমেল রায় বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে মদপানকে কেন্দ্র করে ইমদাদ হোসেনের সঙ্গে আব্দুর রহমান নামের একজনের কথা-কাটাকাটি হয়। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা ইমদাদকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেছে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা কামাল হোসেন নামে একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’’
নিহতের ছোট ভাই শামসু আলম অভিযোগ করে বলেন, “মদপান নিয়ে কথা-কাটাকাটি ও পূর্ব বিরোধের জেরে জালিয়াপাড়া এলাকার মৃত আব্দুস সালামের ছেলে কামাল হোসেন ও নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে আব্দুর রহমান, মো.
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আসিফ আলভী বলেন, ‘‘ভোর ৫টার দিকে ইমদাদ হোসেনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।’’
ঢাকা/তারেকুর/রাজীব
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য মদপ ন ইমদ দ
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ারফোর্সের যৌথ মহড়া সমাপ্ত
বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ারফোর্সের অংশগ্রহণে ছয় দিনব্যাপী ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’ শীর্ষক মহড়া গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের বিমানবাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হকে সমাপ্ত হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের নির্দেশনা ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় এই যৌথ মহড়া হয়।
আজ শুক্রবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সমাপনী অনুষ্ঠানে সহকারী বিমানবাহিনী প্রধান (পরিচালন) এয়ার ভাইস জাভেদ তানভীর খান সমাপনী বক্তব্য দেন এবং দুই দেশের অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রতিনিধি, যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ারফোর্সের জ্যেষ্ঠ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, মহড়ায় অংশগ্রহণকারী বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা এবং তিন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ১৪ সেপ্টেম্বর জহুরুল হক বিমানবাহিনী ঘাঁটিতে মহড়া শুরু হয়েছিল।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ারফোর্স বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবছরই নানাবিধ প্রশিক্ষণমূলক অনুশীলন পরিচালনা করে আসছে। বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থা ও আপত্কালীন সংকট নিরসনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমানগুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’- এ মূলত আপত্কালীন এবং প্রতিকূল অবস্থায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমানগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের অনুশীলন পরিচালনা করা হয়। ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’-এ বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান, একটি এম আই-১৭ হেলিকপ্টার এবং প্যাসিফিক এয়ারফোর্সের দুটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ১৫০ জন সদস্য এবং ইউএস প্যাসিফিক এয়ারফোর্সের ৯২ জন সদস্য অংশ নেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা মহড়ায় অংশ নেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই যৌথ অনুশীলনের মাধ্যমে দুই দেশের বিমানবাহিনী শুধু পেশাগত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ই করবে না, বরং আন্তকার্যক্ষমতা বৃদ্ধি, কৌশলগত সহযোগিতা জোরদার এবং আস্থা ও বিশ্বাসের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে। পাশাপাশি বিমানবাহিনীর চিকিৎসা, প্রকৌশল ও লজিস্টিক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে স্থানীয় জনগণকে সেবা দান দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও মানবিক ও স্থিতিশীল ভিত্তি দেবে।