ফরিদপুরের নগরকান্দায় কবরস্থানের জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার তালমা ইউনিয়নের দক্ষিণ বিলনালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দক্ষিণ বিলনালিয়া গ্রামের একটি কবরস্থানের মালিকানা নিয়ে ওই গ্রামের দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এদের এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন দক্ষিণ বিলনালিয়া গ্রামের বাসিন্দা উজ্জ্বল মাতব্বর। অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন বলাই মাতুব্বর। জায়গা মাপামাপি করার পর বলাই মাতুব্বরের পক্ষ কবরস্থানের জায়গা পাওয়ার দাবি করে। এই নিয়ে আজ সকালে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তালমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.

কামাল হোসেন মিয়া বলেন, দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষে অস্ত্র, লাঠি ও ইটের আঘাতে অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফর আলী বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে নগরকান্দা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় আজ বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত থানায় কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গৌরনদী থানার ওসি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা

এক লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগে গৌরনদী মডেল থানার ওসি ইউনুস মিয়া ও উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী। বরিশাল সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আজ মঙ্গলবার মামলাটি দায়ের করেন গৌরনদীর বাটাজোর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আজাদ সরদারের স্ত্রী সুমা বেগম।

অভিযোগকারীর আইনজীবী নাজিম উদ্দীন আহমেদ পান্না এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করা হয়েছে। 

ভুক্তভোগী নারী মামলায় অভিযোগ করেছেন, গত ১১ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় কতিপয় দুর্বৃত্তরা তার (সুমা) শ্বশুরবাড়ির পাকা কবরস্থান ভাঙচুর করে ও দখলের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় বাদী জরুরি সেবা ৯৯৯- এ কল করলে থানার এসআই নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। তবে নজরুল ইসলাম ভুক্তভোগী সুমা বেগমসহ মামলার তিনজন সাক্ষীকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। ওসি এবং এসআই আটককৃতদের ছেড়ে দিতে সুমা বেগমের কাছে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা দিকে অপরাগতা প্রকাশ করায় মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন ওসি এবং এসআই। ওইদিন রাত নয়টার পর থানা হেফাজত থেকে বাদী ও মামলার তিনজন সাক্ষীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ওসি এবং এসআই মামলার বাদী ও তিন সাক্ষীকে দীর্ঘসময় থানায় আটকে রাখার সুযোগে দুর্বৃত্তরা কবরস্থান ভাঙচুর করে দখল করতে পেরেছে। বাদীর দায়ের করা এজাহার থানায় মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি। এ ঘটনায় বাদী সুমা বেগম গত ১৩ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশনের বরিশাল কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, ‘ঘুষ দাবির কোনো ঘটনা সেদিন ঘটেনি। একটি কু-চক্রী মহলের প্ররোচনায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে কবর খুঁড়ে ১৪টি কঙ্কাল চুরি
  • বগুড়ায় অটোরিকশাচালক আজগর হত্যা মামলার দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড
  • এক লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ, ওসি ও এসআইয়ের বিরুদ্ধে নালিশি
  • গৌরনদী থানার ওসি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা
  • কুমিল্লায় বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্রসহ চারজনের মৃত্যু