নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)। এ লক্ষ্যে কী কী ধরনের সহায়তা প্রয়োজন, তার মূল্যায়ন শুরু করেছে ইউএনডিপি।

আজ মঙ্গলবার ইউএনডিপির একটি প্রতিনিধিদল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠক শেষে ইউএনডিপি ও ইসির পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের এ কথাগুলো জানানো হয়। ইউএনডিপির আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইসের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।

বৈঠক শেষে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশন সহায়তা চেয়ে জাতিসংঘকে একটি চিঠি দিয়েছিল। কারিগরি সহায়তা প্রয়োজন, তা মূল্যায়নের জন্য একটি নিড অ্যাসেসমেন্ট টিম এসেছে। দক্ষতা উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত সহায়তা, পাবলিক ক্যাম্পেইন—এসব বিষয়ে সহায়তা দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। তাঁরা বোঝার চেষ্টা করছেন নির্বাচন কমিশনের কী ধরনের সহায়তা প্রয়োজন।

ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা চেয়ে চিঠি দিয়েছিল। প্রাতিষ্ঠানিক, যোগাযোগসংক্রান্ত, হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ইত্যাদি বিষয়ে এই সহযোগিতা। এটি পর্যালোচনার জন্য প্রতিনিধিদলটি এসেছে। ইসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি আরও অংশীজনের সঙ্গে কথা বলে ১০ দিনের মধ্যে প্রস্তাবনা নিয়ে আবার বৈঠক হবে। ইসি সচিব বলেন, এটি মূলত সৌজন্য সাক্ষাৎ, কাজের পরিধি ঠিক করে নেওয়া। পরবর্তী সময়ে আরও যোগাযোগ হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মাইক্রোসফটের বদলে গুগলের সার্ভার ব্যবহার করবে চ্যাটজিপিটি, কেন

চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের অন্যতম বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে মাইক্রোসফট। আর তাই চ্যাটজিপিটি চালুর পর থেকেই মাইক্রোসফটের সার্ভার ব্যবহার করে আসছে ওপেনএআই। তবে এবার মাইক্রোসফটের ওপর নির্ভরতা কিছুটা কমাতে চাইছে প্রতিষ্ঠানটি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তির দৌড়ে গুগল ও ওপেনএআই দীর্ঘদিন ধরে প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও চ্যাটজিপিটির কার্যক্রম পরিচালনায় গুগলের ক্লাউড অবকাঠামো ও সার্ভার ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে ওপেনএআই।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চ্যাটজিপিটির মতো জেনারেটিভ এআই মডেল পরিচালনার জন্য গত মাসে গুগলের সঙ্গে চুক্তি করেছে ওপেনএআই। চুক্তির আওতায় গুগল তাদের ডেটা সেন্টার ও ক্লাউড সেবায় ‘অতিরিক্ত কম্পিউটিং সক্ষমতা’ দেবে ওপেনএআইকে। যদিও দুই প্রতিষ্ঠান এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, এই চুক্তি ভবিষ্যতের এআই উন্নয়ন ও নির্ভরযোগ্য সেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

চ্যাটজিপিটি মূলত মাইক্রোসফটের অ্যাজুর ক্লাউড অবকাঠামোর ওপর নির্ভর করে পরিচালনা করা হয়। তাই ওপেনএআই এত দিন অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সার্ভার ব্যবহার করতে পারেনি। গত জানুয়ারি মাসে এই একচেটিয়া চুক্তির সীমাবদ্ধতা শেষ হওয়ার পর ওপেনএআই নতুন অংশীদার খুঁজতে শুরু করে। তবে চ্যাটজিপিটি পুরোপুরি গুগলের সার্ভার ব্যবহার করবে, না মাইক্রোসফট ও গুগলের সার্ভার যৌথভাবে ব্যবহার করবে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি।

সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে চ্যাটজিপিটি বড় ধরনের প্রযুক্তিগত বিভ্রাটের মুখে পড়েছে। আর তাই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট অবকাঠামোর ওপর পুরোপুরি নির্ভর না করে একাধিক ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করলে চ্যাটজিপিটির কার্যক্রম চালু রাখা অনেক সহজ হবে। এতে যেকোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা সিস্টেম সমস্যার ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগও মিলবে।

সূত্র: অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ

সম্পর্কিত নিবন্ধ