বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “শহীদ শব্দটি শুধু ব্যক্তিগত প্রাণ উৎসর্গ নয়, এটি একটি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি। ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের মতো ২৪-এর জুলাই আন্দোলনে মুক্তিকামী ছাত্র-জনতা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। শহীদ ইমাম হাসান তায়িম সেই আত্মত্যাগের প্রতীক।”

তিনি বলেন, “রাজধানী থেকে অনেক দূরে একটি ধানের ক্ষেতের পাশে শুয়ে আছে তায়িম। তার আত্মত্যাগ কিসের জন্য, সেটা যেন মানুষ ভুলে না যায়। কারো জমি দখল বা গ্রাম-গ্রামের দ্বন্দ্বের জন্য নয়, একটি জাতিকে মুক্ত করার অঙ্গীকার নিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানে ঝাপিয়ে পড়েছিল তিনি। শহীদদের আত্মদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার এতবারপুরে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ইমাম হাসান তায়িম ভূঁইয়ার কবর জিয়ারতের পর তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী শহীদ তায়িমের মায়ের উদ্দেশে বলেন, “তায়িম পরিবারের কথা না শুনে জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। সন্তান ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। এই সন্তানহারা মা শোক নিয়ে বেঁচে আছেন। গণতন্ত্রের জন্য তায়িমরা এখনো প্রস্তুত। তার আত্মত্যাগ যেন আমরা কখনো না ভুলি—এটাই তার প্রতি আমাদের সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা।”

এর আগে, তায়িমের কবর জিয়ারতের পর রিজভী তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর পক্ষ থেকে চেক প্রদান এবং সমবেদনা জানান।

উপস্থিত ছিলেন—কেন্দ্রীয় বিএনপি বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি সদস্য সচিব এএফএম তারেক মুন্সি, চান্দিনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আতিকুল আলম শাওন, সাধারণ সম্পাদক কাজী আরশাদ, পৌর বিএনপি সভাপতি এবিএম সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো.

আলমগীর খান, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার রেজভিউল আহসান মুন্সি, কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবদল নেতা এড. তৌহিদুল ইসলাম বাবু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদল আহ্বায়ক ডা. সাইফুল্লাহ বাপ্পি।

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ব র ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের খুনিদের ফিরিয়ে আনা সরকারের প্রধান লক্ষ্য: প্রে

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, “গত বছর জুলাই-আগস্ট মাসে হত্যাযজ্ঞের খুনিদের ফিরিয়ে আনা সরকারের মূল লক্ষ্য এবং অঙ্গীকার।”

তিনি বলেন, “আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থান চলাকালে জুলাই-আগস্ট মাসে হত্যাকাণ্ডের খুনিদের ফিরিয়ে আনা। এটি আমাদের শপথ এবং অঙ্গীকার।”

আরো পড়ুন:

মুন্সীগঞ্জ-৩: বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ

এবারো বিএনপির মনোনয়ন পাননি রুমিন ফারহানা

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) মাগুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধনকালে তিনি এসব বলেন।

তিনি উল্লেখ করেন, “গণঅভ্যুত্থানের সময় ফ্যাসিবাদী সরকার বহু শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছিল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রমাণ করেছে যে ফ্যাসিবাদী সরকার গণহত্যা চালিয়েছে।”

শফিকুল আলম বলেন, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। আমরা চাই তারা দেশে প্রত্যর্পিত হোক।”

তিনি আরো বলেন, “তাদের আপিল করার অধিকার রয়েছে।”

প্রেস সচিব বলেন, “আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব যাতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দ্রুত তাদের রায় কার্যকর হয়।”

তিনি আরো বলেন, “যাদের হাতে রক্তের দাগ আছে, তাদের সবাইকে আমরা বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনব। এটি শহীদদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব, আমাদের অঙ্গীকার। আমরা ব্যর্থ হলে পরবর্তী প্রজন্ম এই দায়িত্ব নেবে। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।”

তিনি উল্লেখ করেন, “যারা তাদের সন্তানদের হত্যা করেছে বা পঙ্গু করেছে, তাদের ফিরিয়ে এনে বিচার করতে হবে। এ ব্যাপারে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ।”

শফিকুল আলম বলেন, “নির্বাচনের আগে আমাদের হাতে প্রায় ৭০ দিনের মতো সময় আছে। আমরা জানি না এই সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে পারব কি না, তবে আমরা চেষ্টা করব।”

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জাতীয় নেতা ও জনতার নেতা হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “খালেদা জিয়া শুধু বিএনপির নেতা নন। তিনি আমাদের জাতীয় নেতা। তিনি জনতার নেতা।”

শফিকুল বলেন, “আমরা তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করি। বাংলাদেশের জন্য তার উপস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আশা করি তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।”

সরকার একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আগামী বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”

শফিকুল আলম জানান, নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যেই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন করেছে।

এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাধারণ) মো. আব্দুল কাদের, মাগুরা পৌর প্রশাসক ইমতিয়াজ হোসেন, জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা বিএম সাজিন ইশরাত এবং ক্রীড়া সংগঠক বারিক ননজাম বার্কি।খবর বাসসের।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই হত্যাকাণ্ডের খুনিদের ফিরিয়ে আনা সরকারের প্রধান লক্ষ্য: প্রে