জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন খুনের ঘটনার পর কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় তাঁর গ্রামের বাড়িতে চলছে শোক। লাশ আনার জন্য রাজধানী ঢাকায় পৌঁছেছেন তাঁর বাবাসহ স্বজনেরা। পরিবারের সদস্যদের আশা, লাশটি আনা গেলে আজ সোমবার বিকেলে জানাজা শেষে দাফন করা হবে।

গতকাল রোববার রাতে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার একটি ভবনের সিঁড়ি থেকে জোবায়েদের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। জোবায়েদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।

আরও পড়ুন১৮ ঘণ্টা পরও মামলা হয়নি, প্রেমের কারণে খুন সন্দেহ পুলিশের২ ঘণ্টা আগে

হোমনা উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে জোবায়েদের বাড়িতে আজ সকালে গিয়ে দেখা যায়, খুনের ঘটনায় এলাকাবাসীসহ পরিবারের সদস্যরা শোকে মুহ্যমান। তাঁরা অনেকেই বাড়িটিতে ভিড় করেছেন। গ্রামের মসজিদ থেকে মাইকিং করে জোবায়েদের নিহত হওয়ার কথা জানানো হচ্ছে। ওই সময় বসতবাড়িতে আহাজারি করছিলেন চার স্বজন। তাঁরা চেয়ারে বসে জোবায়েদের স্মৃতিচারণা করছিলেন। জোবায়েদের চাচা খান সাব মিয়ার বসতঘরের এক কক্ষে বসে কান্না করছিলেন ফুফু নাছিমা আক্তার, চাচি জাহেদা আক্তার ও চাচাতো বোন সুমাইয়া আক্তার।

জোবায়েদের ফুফু নাছিমা আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, তাঁর বড় ভাই মোবারক হোসেনের চার ছেলের মধ্যে জোবায়েদ ছিলেন দ্বিতীয়। জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, তৃতীয় ভাই সাইমন হোসেন ঢাকার একটি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে, চতুর্থ ভাই মুশফিকুর রহমান নোয়াখালীর সুবর্ণচরে একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করছেন। জুবায়েদ হাসান মেধাবী ও ভালো চরিত্রের ছেলে ছিলেন। তাঁর চার চাচা, পাঁচ ফুফুর পরিবারের সদস্যদের বাইরেও প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল। এসব কথা যখন তিনি বলছিলেন, জোবায়েদের মা মাফিয়া বেগম কাঁদতে কাঁদতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন।

জোবায়েদের বাড়িতে আজ সকালে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

শহীদ শামসুজ্জোহার কবর জিয়ারত করলেন রাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিরা

শহীদ ড. মোহাম্মদ শামসুজ্জোহার কবর জিয়ারত করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) নবনির্বাচিত সদস্যরা।

সোমবার (২০ অক্টোবর) প্রশাসনিক ভবনের সামনে বেলা পৌনে ১১টার দিকে তারা এ কবর জিয়ারত করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কবরস্থান ও রাজশাহীতে শহীদ সাকিব আনজুম এবং শহীদ আলি রায়হানের কবর জিয়ারত করেন তারা।

আরো পড়ুন:

রাকসুতে পরাজিতদের মিলনমেলা, সম্প্রীতির ক্যাম্পাস গড়ার প্রত্যয়

রাকসু: হল সংসদে শিবিরের আধিপত্য, ছাত্রদলের শূন্য

এ সময় রাকসুর ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, “আজ শহীদ শামসুজ্জোহা স্যারের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে আমরা রাকসুর কার্যক্রম শুরু করেছি। স্যার যেভাবে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন, আল্লাহ তায়ালা তাকে যেন শহীদ হিসেবে কবুল করুন। তার আদর্শ ও চেতনাকে ধারণ করে আমরা নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করতে চাই, আল্লাহ সেই তৌফিক দান করুক।”

তিনি বলেন, “এখন আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবরস্থান ও জুলাই আন্দোলনের রাজশাহীর দুইজন শহীদ ভাইয়ের কবর জিয়ারত করব এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করব। শপথ গ্রহণের পর থেকেই আমাদের আনুষ্ঠানিক অফিসিয়াল কার্যক্রম শুরু হবে। এছাড়া নির্বাচন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎও করা হবে।”

কবর জিয়ারতকালে উপস্থিত ছিলেন রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার, এজিএস এস. এম. সালমান সাব্বির, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ তোফা, সাংস্কৃতিক-বিষয়ক সম্পাদক জায়িদ হাসান জোহা, মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. মুজাহিদ ইসলাম।

অন্যদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন, সহকারী তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সিফাত আবু ছালেহ, সহকারী ক্রীড়া ও খেলাধুলা সম্পাদক আবু সাঈদ মুহাম্মদ নুন, সহকারী বিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক মো. নয়ন হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য মো. দীপ মাহবুব, মো. ইমজিয়াউল হক কামালি প্রমুখ।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ