মাশুল বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত স্থগিত করে যৌক্তিক পদক্ষেপ নেওয়া হোক
Published: 20th, October 2025 GMT
চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র। দেশের আমদানি, রপ্তানি, বাণিজ্য, রাজস্ব আয় এবং শিল্পোন্নয়নের প্রবাহ এই বন্দরকে ঘিরেই পরিচালিত হয়। তাই এই বন্দরের সুষ্ঠু ও ভারসাম্যপূর্ণ কার্যক্রমই জাতীয় অর্থনীতির স্থিতিশীলতার মূল ভিত্তি। বর্তমান বৈশ্বিক পটভূমিতে যখন অর্থনৈতিক মন্দা, ডলার–সংকট, কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি ও পরিবহন ব্যয়ের ঊর্ধ্বগতি ব্যবসায়ীদের নাজুক অবস্থায় ফেলেছে, তখন চট্টগ্রাম বন্দরে ট্যারিফ বৃদ্ধি বা নতুন মাশুল আরোপের সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে ব্যবসায়ী সমাজের জন্য এক বড় ধাক্কা। বন্দরের এ সিদ্ধান্ত ব্যবসায়ীদের জন্য ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’-এর মতো পরিস্থিতি।
আমরা সব সময় চেয়েছি বন্দরের উন্নতি হোক, দেশ এগিয়ে যাক। কিন্তু উন্নয়নের নামে যখন ব্যবসায়ী ও পণ্য পরিবহন খাতের প্রতিনিধি সংগঠনগুলোর সঙ্গে কোনো আলোচনা না করে একতরফাভাবে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তখন তা গণতান্ত্রিক ও অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ার পরিপন্থী। বন্দর ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ, বিশেষ করে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, ট্রাকমালিক, রপ্তানিকারক ও চেম্বার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে যুক্তিসংগত মাশুল নির্ধারণ করা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সেটি করা হয়নি।
বর্তমানে একটি ২০ ফুট কনটেইনার আনলোড করতে গড়ে ৬ হাজার টাকার বেশি খরচ হচ্ছে আর রপ্তানির ক্ষেত্রে ৩ হাজার টাকার বেশি ব্যয় হচ্ছে। পারমিশন ফি, আনলোডিং চার্জ ও আনুষঙ্গিক খরচ যোগ করলে একেকটি কনটেইনারের ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। ফলে ব্যবসায়ীরা যেমন আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন, তেমনি দেশের রপ্তানি পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা হারাচ্ছে। এই চাপের ফলে পণ্যের মূল্যও ক্রমান্বয়ে বাড়ছে, যা সাধারণ মানুষের ওপরও প্রভাব ফেলছে।
চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বহু বছর ধরে বন্দরের উন্নয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি ও সেবার মানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বন্দরের আধুনিকায়ন ও ডিজিটালাইজেশনের পেছনে আমাদের সদস্যদের ভূমিকা অপরিসীম।
আমরা বিশ্বাস করি, এখনই সময় সরকারের পক্ষ থেকে একটি যৌক্তিক পদক্ষেপ নেওয়ার। আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, মাশুল বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে স্থগিত করা হোক।
এস এম সাইফুল আলম, সভাপতি, চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস য
এছাড়াও পড়ুন:
শহীদ শামসুজ্জোহার কবর জিয়ারত করলেন রাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিরা
শহীদ ড. মোহাম্মদ শামসুজ্জোহার কবর জিয়ারত করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) নবনির্বাচিত সদস্যরা।
সোমবার (২০ অক্টোবর) প্রশাসনিক ভবনের সামনে বেলা পৌনে ১১টার দিকে তারা এ কবর জিয়ারত করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কবরস্থান ও রাজশাহীতে শহীদ সাকিব আনজুম এবং শহীদ আলি রায়হানের কবর জিয়ারত করেন তারা।
আরো পড়ুন:
রাকসুতে পরাজিতদের মিলনমেলা, সম্প্রীতির ক্যাম্পাস গড়ার প্রত্যয়
রাকসু: হল সংসদে শিবিরের আধিপত্য, ছাত্রদলের শূন্য
এ সময় রাকসুর ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, “আজ শহীদ শামসুজ্জোহা স্যারের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে আমরা রাকসুর কার্যক্রম শুরু করেছি। স্যার যেভাবে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন, আল্লাহ তায়ালা তাকে যেন শহীদ হিসেবে কবুল করুন। তার আদর্শ ও চেতনাকে ধারণ করে আমরা নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করতে চাই, আল্লাহ সেই তৌফিক দান করুক।”
তিনি বলেন, “এখন আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবরস্থান ও জুলাই আন্দোলনের রাজশাহীর দুইজন শহীদ ভাইয়ের কবর জিয়ারত করব এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করব। শপথ গ্রহণের পর থেকেই আমাদের আনুষ্ঠানিক অফিসিয়াল কার্যক্রম শুরু হবে। এছাড়া নির্বাচন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎও করা হবে।”
কবর জিয়ারতকালে উপস্থিত ছিলেন রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার, এজিএস এস. এম. সালমান সাব্বির, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ তোফা, সাংস্কৃতিক-বিষয়ক সম্পাদক জায়িদ হাসান জোহা, মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. মুজাহিদ ইসলাম।
অন্যদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন, সহকারী তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সিফাত আবু ছালেহ, সহকারী ক্রীড়া ও খেলাধুলা সম্পাদক আবু সাঈদ মুহাম্মদ নুন, সহকারী বিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক মো. নয়ন হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য মো. দীপ মাহবুব, মো. ইমজিয়াউল হক কামালি প্রমুখ।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী