পদ্মা সেতুর রেল প্রকল্পের মাটিকাটা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ
Published: 14th, January 2025 GMT
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পিলারের নিচ থেকে অবৈধভাবে মাটিকাটা বন্ধের দাবিতে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে বিক্ষোভ করেছে গ্রামবাসী।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চরপানিয়া এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে খাসকান্দি ও চরপানিয়াসহ অন্তত ১১টি গ্রামের কয়েক শত মানুষ অংশ নেয়।
ভুক্তভোগী ও ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, সরকার পতনের সুযোগে স্থানীয় প্রভাবশালী চক্রের মাধ্যমে পিলারের নিচ থেকে মাটি কেটে ইটের ভাটায় বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে প্রকল্পের স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি কয়েকটি গ্রামের সড়ক পথের যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাবে। তাই দ্রুত মাটিকাটা বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার জোরালো দাবি জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
জলকামানের মুখে সড়ক ছাড়ল চাকরিচ্যুত শ্রমিকরা
সাদপন্থিদের নিষিদ্ধের দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ
ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসী মানববন্ধনে অংশ নিয়ে মাটিকাটা স্থায়ীভাবে বন্ধ এবং মাটি বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ায় দাবি জানান। দ্রুত দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
ঢাকা/রতন/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরছড়া ট্র্যাজেডির ২৮তম বার্ষিকী পালিত
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাগুরছড়া ট্র্যাজেডির ২৮তম বার্ষিকী মানববন্ধন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় মাগুরছড়া গ্যাসক্ষেত্রের সামনে পাহাড় রক্ষা পরিবেশ, উন্নয়ন সোসাইটিসহ বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মৌলভীবাজার জেলা পাহাড় রক্ষা পরিবেশ ও উন্নয়ন সোসাইটির সভাপতি ময়নুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রভাষক সেলিম আহমেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য দেন কমলগঞ্জ সরকারি গণমহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক হামিদা খাতুন, সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক রাজা, নিছসা সভাপতি আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক রাসেল হাসান বক্ত, পরিবেশকর্মী সাজু আহমেদ, শাহারা ইসলাম রুহিন, শ্রমিক নেতা দুলাল মিয়া, ছাত্রনেতা লিটন গাজী, মিনহাজুল ইসলাম মুন্না, আব্দুল মতিন, মিসবাউর রহমান, আদিবাসী নেতা সুচিনগুল প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এখনও বাংলাদেশ সেই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী মার্কিন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারেনি। বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে নিষ্ক্রিয় হলেও দেশের স্বার্থরক্ষায় আন্দোলনকারীরা সরব রয়েছেন। ২৮ বছর পার হয়ে গেলেও দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও পরিবারের ক্ষতিপূরণ আদায়ে সচেতন হয়নি সরকার। বিষয়টি আমলে নেয়নি কোম্পানি।