বান্দ্রার এক বিলাসবহুল বহুতলের ১২ তলায় থাকেন বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খান। বুধবার রাতে সেখানেই দুষ্কৃতীর ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন তিনি। অভিনেতার মেরুদণ্ড, হাত ও ঘাড়ে ছুরিকাঘাত বেশ গুরুতর ছিল। ফলে অস্ত্রোপচারের পর তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে বলেন জানান সাইফের চিকিৎসক।

ভারতী গণমাধ্যম এবিপির খবরে জানানো হয়েছে, নিউরোসার্জন ডা.

নিতিন ডাঙ্গে, কসমেটিক সার্জন ডা. লীনা জৈন এবং অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট ডা. নিশা গান্ধীর নেতৃত্বে ডাক্তারদের একটি দল অস্ত্রোপচার করছেন।

চিকিৎসকরা বলেছেন, ‘ঘাড় ও হাতের চোটও যথেষ্ট গুরুতর ছিল। প্লাস্টিক সার্জারি করা হয়েছে সেই আঘাতে। সাইফকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তিনি এখন বিপদমুক্ত ঠিকই। কিন্তু প্রতি মুহূর্তে তার শারীরিক অবস্থার দিকে নজর রাখা হচ্ছে।’

বৃহস্পতিবার দুপুরের কিছু পরে সাইফের টিমের পক্ষ থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, সাইফ আলি খানের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে এবং এখন তিনি বিপন্মুক্ত। এই মুহূর্তে তিনি ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন, চিকিৎসকেরা সব সময় নজর রাখছেন। পরিবারের সমস্ত সদস্য নিরাপদে রয়েছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় মুম্বাই পুলিশ সাইফ-কারিনার বাড়ির কয়েকজন পরিচারককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।

এর আগে আরও তিন জনকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মুমাই পুলিশ। তাদের মধ্যে ছিলেন বাড়ির এক পরিচারক, লিফটম্যান ও একজন নিরাপত্তারক্ষী। ১৫ জনের একটি দল গঠন করে এই ঘটনার তদন্ত করছেন মুম্বাই পুলিশ।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনা আটকে দিয়েছিলেন ট্রাম্প

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলের পরিকল্পনা কয়েক দিন আগে আটকে দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ইসরায়েল গত শুক্রবার ভোর রাতে হামলা করে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ পদের প্রায় সব কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় খামেনির একজন উপদেষ্টাও নিহত হন।

মার্কিন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইরানিরা কি এখন পর্যন্ত কোনো আমেরিকানকে হত্যা করেছে? না, যতক্ষণ না তারা এটা করছে, ততক্ষণ আমরা কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্বকে আক্রমণের কথা ভাবছিও না।’

এদিকে গতকাল রোববার ফক্স নিউজকে সাক্ষাৎকার দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সেখান তাকে খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে প্রশ্ন করেলে নেতানিয়াহু বলেন, ‘কখনো আলাপই হয়নি, এমন অনেক বিষয় নিয়েও খবর প্রকাশ করা হয়েছে। আমি সে বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।’

ফক্সের ‘স্পেশাল রিপোর্ট উইথ ব্রেট বেয়ার’ অনুষ্ঠানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যা করার দরকার, তা করি।’ নেতানিয়াহু বলেন, ইরানে ইসরায়েলের সামরিক হামলার একটি ফল হতে পারে সরকার পরিবর্তন। তেহরানের সৃষ্ট ‘অস্তিত্বের হুমকি’ দূর করতে ইসরায়েল যা যা প্রয়োজন, তা-ই করবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে চলমান এই সংঘাত ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, এটি সহজেই শেষ করা যেতে পারে। একই সঙ্গে ইরানকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, যদি ইরান কোনো আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে, তবে যুক্তরাষ্ট্রও এ সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ