নড়াইল আদালতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামে করা মানহানি মামলার বাদী ও আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আশিক বিল্লাহ এখন জুলাই যোদ্ধা আহতদের তালিকায়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।

শেখ আশিক বিল্লাহ নড়াইলের কালিয়া উপজেলার যাদবপুর গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে এবং কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। এরপর সুযোগ বুঝে দল পরিবর্তন করে ডেমক্রেটিক পার্টি এবং সর্বশেষ জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য হয়েছেন। 

আরো পড়ুন:

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যার বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে

জুলাই আন্দোলনের অগ্রনায়ক ছিল জবি ছাত্রদল

২০১৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্যের অভিযোগে খালেদা জিয়ার নামে নড়াইলের আদালতে মানহানি মামলা দায়ের করেন আশিক বিল্লাহ। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী সম্পর্কে বিতর্কিত বক্তব্যের অভিযোগে ওইদিন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নামে আরেকটি মানহানি মামলা করেন তিনি।

জুলাই যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী নিহত এবং আহতদের সহায়তার জন্য সরকারিভাবে দেশব্যাপী তালিকা প্রস্তুত করা হয়। এর অংশ হিসেবে নড়াইল জেলায় দুইজন নিহত এবং আহতদের তালিকা করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। নড়াইল জেলার আহতদের তালিকায় রয়েছেন শেখ আশিক বিল্লাহর নাম। তার গেজেট নং-৩৩৬৯১।

নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘‘এ জাতীয় সুযোগ সন্ধানী মানুষের নাম তালিকায় আসলে তার দায় প্রশাসনকে নিতে হবে।’’

কালিয়া উপজেলার পাঁচগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও এনসিপি নেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘‘আশিক বিল্লাহ কীভাবে তালিকায় আসল তা জানা নেই।’’

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘‘আমি একজন প্রকৃত ‘জুলাই যোদ্ধা’। আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই ঢাকার মহাম্মদপুর এলাকায় সক্রিয়ভাবে যোগদান করে আহত হয়েছি। চিকিৎসা সনদসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র মোতাবেক প্রকৃত আহত ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে গেজেটে অন্তর্ভুক্ত হয়েছি।’’ 

নড়াইল জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান বলেন, ‘‘জুলাই যোদ্ধা হিসেবে আহতদের তালিকায় আশিক বিল্লাহর নাম কীভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, সেই সম্পর্কে আমার জানা নেই।’’ 

ঢাকা/শরিফুল/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ল ই গণঅভ য ত থ ন আওয় ম ল গ আহতদ র ত ল ক

এছাড়াও পড়ুন:

আ.লীগ নেতা আশিক বিল্লাহ এখন ‘জুলাই যোদ্ধা’

নড়াইল আদালতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামে করা মানহানি মামলার বাদী ও আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আশিক বিল্লাহ এখন জুলাই যোদ্ধা আহতদের তালিকায়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।

শেখ আশিক বিল্লাহ নড়াইলের কালিয়া উপজেলার যাদবপুর গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে এবং কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। এরপর সুযোগ বুঝে দল পরিবর্তন করে ডেমক্রেটিক পার্টি এবং সর্বশেষ জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য হয়েছেন। 

আরো পড়ুন:

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যার বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে

জুলাই আন্দোলনের অগ্রনায়ক ছিল জবি ছাত্রদল

২০১৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্যের অভিযোগে খালেদা জিয়ার নামে নড়াইলের আদালতে মানহানি মামলা দায়ের করেন আশিক বিল্লাহ। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী সম্পর্কে বিতর্কিত বক্তব্যের অভিযোগে ওইদিন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নামে আরেকটি মানহানি মামলা করেন তিনি।

জুলাই যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী নিহত এবং আহতদের সহায়তার জন্য সরকারিভাবে দেশব্যাপী তালিকা প্রস্তুত করা হয়। এর অংশ হিসেবে নড়াইল জেলায় দুইজন নিহত এবং আহতদের তালিকা করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। নড়াইল জেলার আহতদের তালিকায় রয়েছেন শেখ আশিক বিল্লাহর নাম। তার গেজেট নং-৩৩৬৯১।

নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘‘এ জাতীয় সুযোগ সন্ধানী মানুষের নাম তালিকায় আসলে তার দায় প্রশাসনকে নিতে হবে।’’

কালিয়া উপজেলার পাঁচগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও এনসিপি নেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘‘আশিক বিল্লাহ কীভাবে তালিকায় আসল তা জানা নেই।’’

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘‘আমি একজন প্রকৃত ‘জুলাই যোদ্ধা’। আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই ঢাকার মহাম্মদপুর এলাকায় সক্রিয়ভাবে যোগদান করে আহত হয়েছি। চিকিৎসা সনদসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র মোতাবেক প্রকৃত আহত ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে গেজেটে অন্তর্ভুক্ত হয়েছি।’’ 

নড়াইল জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান বলেন, ‘‘জুলাই যোদ্ধা হিসেবে আহতদের তালিকায় আশিক বিল্লাহর নাম কীভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, সেই সম্পর্কে আমার জানা নেই।’’ 

ঢাকা/শরিফুল/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ