গাজীপুর মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র আজিম উদ্দিন কলেজ রোডে সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসিক এলাকায় অতিরিক্ত দায়রা জজ আবু ইব্রাহীমের বাসভবন ‘গোধুলী’ থেকে বেশকিছু মালামাল চুরি হয়েছে। 

গত শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে এ চুরির ঘটনায় সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে আদালতের নাজির বিল্লাল হোসেন পাটোওয়ারী বাদী হয়ে জিএমপি সদর মেট্রো থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করেছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গাজীপুর মহানগরীর সদর মেট্রো থানাধীন পূর্ব জয়দেবপুর সাকিনস্থ আজিম উদ্দিন কলেজ রোড সংলগ্ন সরকারি বাসভবন (গোধুলী) বাংলোতে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ বাস করেন। সাপ্তাহিক ছুটির কারণে তিনি গত শনিবার বাসভবনে ছিলেন না। এ সুযোগে রাত সাড়ে ১১টা থেকে রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ১১টার মধ্যে গোধুলীর বারান্দার মূল ফটক ভেঙে অজ্ঞাত চোরেরা ভিতরে ঢোকে। তারা ওই বাংলো বাড়ির এসি, বৈদ্যুতিক তার, দুটি বাথরুমের বিভিন্ন ফিটিংস, তিনটি তরকারি কাটার চাকু, তিনটি সিরামিকের প্লেট, তিনটি বেসিনের পানির ট্যাপ, আলমারিতে থাকা কাপড় ও ব্যাগ, একটি প্রেসার কুকার, একটি রাইস কুকার, একটি ওভেন, একটি টর্চলাইট, বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিকের পানির পাইপ প্রভৃতি চুরি করে নিয়ে যায়। চুরি হওয়া দ্রব্যাদির মোট দাম ১ লাখ ১ হাজার ৫৫০ টাকা।

এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, গত রবিবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে অফিস সহায়ক আল আমিন ফকির ও অফিস সহায়ক আনিস গিয়ে দেখেন যে, গোধূলীর প্রধান ফটক ভাঙা। তখন অফিস সহায়কদ্বয় বিষয়টি বিচারককে জানান। পরে বিচারক বাসায় গিয়ে তা প্রত্যক্ষ করেন। 

মামলার বাদী আদালতের নাজির বিল্লাল হোসেন পাটোওয়ারী বলেছেন, চুরির ঘটনায় গাজীপুর সদর মেট্রো থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে এটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেছেন, চুরির ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/রেজাউল/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শনিবার থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় আবার সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ও এর আশপাশের এলাকায় সব ধরনের সভা, সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রাপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সচিবালয় ও এর সংলগ্ন এলাকাকেও এই ঘোষণার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আগামী শনিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে।

আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জনশৃঙ্খলা ও প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, জনশৃঙ্খলা ও প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে ঢাকা মহানগর পুলিশ অধ্যাদেশের ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামী শনিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় (সংলগ্ন এলাকাসহ) এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় (ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল ক্রসিং, কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং, অফিসার্স ক্লাব ক্রসিং ও মিন্টো রোড ক্রসিংয়ের মধ্যবর্তী এলাকা) সব ধরনের সভা, সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করা হলো।

এর আগেও কয়েক দফায় ডিএমপি কমিশনার স্বাক্ষরিত পৃথক গণবিজ্ঞপ্তিতে একই এলাকায় সব ধরনের সভা, সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করার পরও কেন আবারও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো—জানতে চাইলে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গণবিজ্ঞপ্তির মেয়াদ থাকে ৩০ দিন পর্যন্ত। ৩০ দিন পর নতুন করে আবার গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শনিবার থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় আবার সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
  • বাম গণতান্ত্রিক জোটসহ কয়েকটি সংগঠনের বিক্ষোভমিছিলে পুলিশের ‘লাঠিপেটা’
  • রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষক বরখাস্ত, ৫ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
  • ৮ কুকুরছানা হত্যা: সরকারি বাসভবন ছাড়লেন সেই কর্মকর্তা