নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সায়েন্স ক্লাবের উদ্যোগে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে দুই দিনব্যাপী তৃতীয় জাতীয় বিজ্ঞান উৎসব শুরু হয়েছে।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) নোবিপ্রবি কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। 

সায়েন্স ক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো: শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মুহাম্মদ ইসমাইল। বিশেষ অতিথি ছিলেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ, নোবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ইসমাইল, নির্বাহী ম্যাজিসট্রেট ফাহিম হাসান প্রমুখ।

এ সময় নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, “সায়েন্স ক্লাব নোয়াখালীর বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে নোবিপ্রবির একটা সংযোগ করে দিতে পেরেছে, এ জন্য আমি তাদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই। গতানুগতিক পড়াশোনার বাইরেও আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের এক্সট্রা কারিকুলা একটিভিটিজে যুক্ত করতে চাই। আমরা চাই আমাদের ছাত্রছাত্রীরা বিজ্ঞানের বিষয়গুলো হাতে-কলমে শিখে নিজেদের সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসুক।”

অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “প্রতিযোগিতায় জয় পরাজয় থাকবেই। পরাজিত হওয়া মানেই পিছিয়ে পড়া নয়। পরাজিত হওয়ার মধ্য দিয়ে নতুন করে জয়ী হওয়ার আগ্রহ তৈরি করতে হবে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চায় আরো বেশি আত্মনিয়োগ করতে হবে। স্কিলফুল ম্যানপাওয়ার তৈরি করার জন্য যা করা দরকার. আমরা তা করব।”

উদ্বোধন শেষে অতিথি ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিচারকমন্ডলী স্কুল-কলেজের প্রজেক্টগুলো পরিদর্শন করেন। শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান চর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে আয়োজিত বিজ্ঞান উৎসবে ১৬টি প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

বিজ্ঞান উৎসবের প্রথম দিনে সায়েন্টিফিক বিজনেস আইডিয়া প্রেজেন্টেশন, সায়েন্টিফিক ডিবেট কম্পিটিশন, থ্রি মিনিট রিসার্চ আইডিয়া প্রেজেন্টেশন, প্রোগ্রামিং কন্টেস্ট, প্রজেক্ট শো-ডাউন, টিচার্স ইনোভেশন আইডিয়া, রুবিকস কিউব, সায়েন্টিফিক ডকুমেন্টারিসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া সবার জন্য রাতের আকাশ পর্যবেক্ষণে টেলিস্কোপের ব্যবস্থা করা হয়।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব জ ঞ ন উৎসব

এছাড়াও পড়ুন:

কলিজা ঠান্ডা করে দেওয়া ছবি ‘উৎসব’

‘উৎসব’ দেখে মন ভরে গেছে। বাংলাদেশের সিনেমা দেখতে যাওয়া, বয়স হওয়ার পর, একটা বিড়ম্বনা। একটা কারণ, সিনেমা হলের বের হওয়ার দরজার মুখে ক্যামেরা দাঁড়িয়ে থাকে। বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞাসা করে, ‘কেমন দেখলেন।’ কী বলবেন? সিনেমা যাঁরা বানান, তাঁরা আমাদের ভাইবেরাদার, বোন-দুলাভাই, মামা-চাচা, ভাইপো-ভাইঝি, না হলে আমার আরেকটা নাটকের প্রডুসার, একটা চ্যানেলের মালিক, সত্য কথা বলে এই বয়সে বন্ধুহারা, ভাইহারা হতে কে চায়।

বেশির ভাগ সিনেমা শেষ পর্যন্ত দেখলে একটা উপকার হয়, নিজের ধৈর্যশক্তি বাড়ে, সহ্যক্ষমতা পোক্ত হয়! সম্পূর্ণ ভালো লেগেছে, এমন ছবি আমার তালিকায় খুব কম। একটা দুটোর নাম করি, ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’, ‘মুক্তির গান’। ‘নিরন্তর’ ভালো লেগেছিল, ‘শঙ্খনাদ’ পছন্দ করেছিলাম, ‘টেলিভিশন’ কিংবা ‘স্বপ্নজাল’ দেখেও প্রশংসা করেছিলাম...এই রকম হাতে গোনা কয়েকটা ছবি। হাতে গোনা ব্যাপারটা হলো, আপনি হাতের আঙুল দিয়ে গুনতে পারবেন, অঙ্গুলিমেয়, আঙুলের দাগ ধরে ধরে গুনবেন, বিশটার বেশি হবে না। আমার মনে হয়, দুই হাতের দশটা আঙুলের চেয়ে বেশি বাংলাদেশি সিনেমার নাম আমি বলতে পারব না, যা আমার বেশ ভালো লেগেছে।

তানিম নূর পরিচালিত এবারের ঈদের ছবি ‘উৎসব’ দেখলাম ১৩ জুন ২০২৫। অপরাহ্ণ শো। দুদিন আগেই টিকিট কাটা ছিল। আমরা আটজনের একটা দল, বন্ধুবান্ধব, ছেলেমেয়েসমেত স্টার সিনেপ্লেক্সে গিয়ে হাজির। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হলো। এত বড় লাইন, সবার হাতে টিকিট, সবাই একটা সিনেমা দেখতে দাঁড়িয়ে আছেন হাসিমুখে, কী সুন্দর একটা দৃশ্য।

উৎসব সিনেমার পোস্টার

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফল উৎসব 
  • কপালে ১৩টি এবং থুতনিতে ৪টি সেলাই করা লাগে
  • দেশের পর এবার বিদেশেও ঈদের সিনেমার মুক্তি
  • বকুলতলায় বৃষ্টির সুর
  • কলকাতায় নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জয়া
  • বর্ষা উৎসবে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের প্রতিবাদ, পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষাসহ কয়েকটি দাবি
  • নাচ-গান-আবৃত্তিতে চারুকলায় বর্ষাবরণ
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরি সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • কলিজা ঠান্ডা করে দেওয়া ছবি ‘উৎসব’