নোবিপ্রবিতে জাতীয় বিজ্ঞান উৎসব শুরু
Published: 18th, January 2025 GMT
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সায়েন্স ক্লাবের উদ্যোগে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে দুই দিনব্যাপী তৃতীয় জাতীয় বিজ্ঞান উৎসব শুরু হয়েছে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) নোবিপ্রবি কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়।
সায়েন্স ক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো: শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.
এ সময় নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, “সায়েন্স ক্লাব নোয়াখালীর বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে নোবিপ্রবির একটা সংযোগ করে দিতে পেরেছে, এ জন্য আমি তাদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই। গতানুগতিক পড়াশোনার বাইরেও আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের এক্সট্রা কারিকুলা একটিভিটিজে যুক্ত করতে চাই। আমরা চাই আমাদের ছাত্রছাত্রীরা বিজ্ঞানের বিষয়গুলো হাতে-কলমে শিখে নিজেদের সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসুক।”
অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “প্রতিযোগিতায় জয় পরাজয় থাকবেই। পরাজিত হওয়া মানেই পিছিয়ে পড়া নয়। পরাজিত হওয়ার মধ্য দিয়ে নতুন করে জয়ী হওয়ার আগ্রহ তৈরি করতে হবে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চায় আরো বেশি আত্মনিয়োগ করতে হবে। স্কিলফুল ম্যানপাওয়ার তৈরি করার জন্য যা করা দরকার. আমরা তা করব।”
উদ্বোধন শেষে অতিথি ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিচারকমন্ডলী স্কুল-কলেজের প্রজেক্টগুলো পরিদর্শন করেন। শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান চর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে আয়োজিত বিজ্ঞান উৎসবে ১৬টি প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
বিজ্ঞান উৎসবের প্রথম দিনে সায়েন্টিফিক বিজনেস আইডিয়া প্রেজেন্টেশন, সায়েন্টিফিক ডিবেট কম্পিটিশন, থ্রি মিনিট রিসার্চ আইডিয়া প্রেজেন্টেশন, প্রোগ্রামিং কন্টেস্ট, প্রজেক্ট শো-ডাউন, টিচার্স ইনোভেশন আইডিয়া, রুবিকস কিউব, সায়েন্টিফিক ডকুমেন্টারিসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া সবার জন্য রাতের আকাশ পর্যবেক্ষণে টেলিস্কোপের ব্যবস্থা করা হয়।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব জ ঞ ন উৎসব
এছাড়াও পড়ুন:
ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।
কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।
এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।
অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।
একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।
যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’