সিনেমার ফারিন খান এখন পুরোপুরি ব্যস্ত নাটকে। গেলো বছররে শুরু থেকেই নাটক নিয়েই তার ধ্যানজ্ঞান। অভিনয় দিয়ে দর্শকদের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করছেন ক্রমাগত। চলতি বছরের শুরুটাও দারুণ হল অভিনেত্রী ফারিন খানের।

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত ‘মনের মাঝে তুমি’ নাটক। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন মুশফিকর আর ফারহান। দুই দিনেই ২৪ লাখ ভিউ অতিক্রম করেছে নাটকটি। কাজটি নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত অভিনেত্রী। 

ফারিন বললেন, “কাজের মান ধরে রাখার ফল আমি বছরের শুরুতেই পেয়েছি। কারণ, আমার অভিনীত ‘মনের মাঝে তুমি’ নাটক নিয়ে আমি খুব আশাবাদী ছিলাম। দর্শক দারুণভাবে গ্রহণ করছে। দুই দিনে ২৪ লাখের বেশি মানুষের ভালোবাসা পাওয়া তো খারাপ কিছু না। আশাকরি কয়েকদিনের মধ্যে এটা কোটি মানুষের কাছে পৌঁছাবে।”

গেল ডিসেম্বরে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত পাঁচ নাটক। চলতি মাসে মুক্তি পেয়েছে একটি নাটক। সংখ্যায় কম হলেও নাটকের মানের কথা চিন্তা করেই নতুন কাজে হাত দিচ্ছেন এই অভিনেত্রী।

ফারিন সমকালকে বলেন, ‘২০২৫ সাল খুব প্ল্যান করে গোছালো কাজ করে যেতে চাই। এবছর কোনো ধরণের ঝুঁকি নিতে চাই না। সে অনুযায়ী বেছে বেছে করছি। আমার মনে হয়, বেশি কাজ করার চেয়ে মান সম্মত কম কাজ করা ভালো। কোয়ালিটি ধরে রেখে ৬ মাসে একটি কাজ হলেও আমার কোনো সমস্যা নাই।’

এদিকে আসছে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে তিনটি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। তার মধ্যে একটির নাম ‘আজান’। এখানে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ। সম্প্রতি চট্টগ্রামে এই নাটকের কিছু অংশের শুটিং শেষ হয়েছে। অন্য দুই নাটকের নাম এখনো ঠিক হয়নি। তবে দ্রুতই শুটিং শুরু করবেন বলেও জানালেন ফারিন। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০

বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ