মায়ের মৃত্যুতে খালেদকে শোক জানিয়ে যা বলেছিলেন মালান
Published: 19th, January 2025 GMT
দুর্দান্ত জয়ের পর দল নিয়ে হোটেলে ফিরে উৎসবে মেতে ছিলেন চিটাগং কিংসের পেসার খালেদ আহমেদ। নিজে পারফর্ম করেছেন, দল জিতেছে। আর কি চাই? কিন্তু ওই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
একটু পরই জানতে পারেন, পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরপারে চলে গেছেন মা। ১৬ জানুয়ারি রাতটা খালেদের জন্য বিভীষিকাময় হয়ে উঠে। মাকে নিয়ে কিছু আর বলতে পারলেন না খালেদ, ‘‘মা তো মা-ই…।’’
তার বাড়ি সিলেটে। রাতেই চট্টগ্রাম থেকে রওনা দেন সিলেটের উদ্দেশ্যে। পরদিনের ম্যাচে খেলার অবস্থাতে ছিলেন না। শোককে শক্তিতে পরিণত করে খালেদ আজ রবিবার ফেরেন ২২ গজে। দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে আজ মাঠে নামেন ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে।
৬ ম্যাচে ১০ উইকেট পাওয়া খালেদ আজ মাঠে ফিরে পেয়েছেন তাওহীদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের উইকেট। নিজ থেকে বরিশালের বিরুদ্ধে খেলতে চেয়েছিলেন। জিততে না পারায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি নন। তবে তাকে মাঠে পেয়ে গর্বিত চিটাগং কিংস।
আরো পড়ুন:
বলব না, টি-টোয়েন্টির জন্য খুব খুব ভালো উইকেট: তামিম
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে খুলনা
দলের কোচ এনামুল হক জুনিয়র টি স্পোর্টসকে বলেছেন, ‘‘ও আমাকে গতকাল ফোন দিয়েছিল। জানতে চেয়েছিল কি করবে। আমি ওকে পরামর্শ দিয়েছিলাম, ‘‘সিলেটে থাকলে মন খারাপ হবে। আত্মীয়-স্বজন আসবেন। স্মরণ করিয়ে দেবেন। আমাদের কাছে আসলে একটু দূরে থাকতে পারবে।’’
‘‘ও আসলে এই ম্যাচটা খেলতে চাচ্ছিল। বললো যে, ‘আমি বরিশালের সঙ্গে খেলতে চাই।’ এজন্য আমি নিজে খুব গর্বিত ওকে নিয়ে। আমাদের পুরো দল ওকে নিয়ে গর্বিত।’’
‘‘আসলে এরকম একটা পরিস্থিতি থেকে উঠে এসে এই ম্যাচটা খেলেছে। আমি শুধু কোচ হিসেবে নয়, পুরো দল ওর প্রতি কৃতজ্ঞ। যেভাবে এসে এভাবে পারফর্ম করেছে।’’
এদিকে বরিশালের জয়ের নায়ক ডেভিড মালানকে দেখা যায় ম্যাচ শেষে খালেদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলতে। দুজনের কথোপকথনে বোঝা যাচ্ছিল, খালেদকে বিশেষ কিছু বলছিলেন।
তাদের কথোপকথন নিয়ে খালেদ রাইজিংবিডিকে বলেছেন, ‘‘মালান নিজ থেকে আমার দিকে এগিয়ে এসেছিলেন। খেলার পর তো নরম্যাল হ্যান্ডশেক হয়। আমি মনে করেছিলাম সেরকমই। এরপর কয়েক সেকেন্ড কথা হয়। আমার খোঁজ-খবর নিলেন। মায়ের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছিল। বললো, আমাকে মাঠে দেখে খুশি হয়েছে। শক্তি রাখতে বললো। ধৈর্য ধরতে বললো। আমি থ্যাংকস জানালাম।’’
চট্টগ্রাম/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শুল্ক নিয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে বড় অনিশ্চয়তা থেকে রেহাই পেল বাংলাদেশ
বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ১ আগস্ট সময়সীমার আগেই বাংলাদেশের ওপর ধার্য করা পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ফেলার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে বাংলাদেশ বড় ধরনের একটি অনিশ্চয়তা থেকে রেহাই পেয়েছে।
তৃতীয় দফার আলোচনা শেষে ১৫ শতাংশ কমিয়ে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় ওয়াশিংটন ডিসি থেকে খলিলুর রহমান প্রথম আলোকে এ কথা বলেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। এই দলে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানও ছিলেন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশে নতুন এই শুল্কহার ঘোষণা করা হয়। সর্বশেষ বাংলাদেশকে চিঠি দিয়ে ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্কের কথা জানিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। সে হিসেবে শুল্ক ১৫ শতাংশ কমিয়ে নতুন হার ঘোষণায় করা হলো।
আরও পড়ুন১৫ শতাংশ কমিয়ে বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ ৬ ঘণ্টা আগেখলিলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন ১ আগস্ট সময়সীমার আগেই বাংলাদেশের ওপর ধার্য করা শুল্ক কমিয়ে ফেলার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে আমরা বড় ধরনের একটি অনিশ্চয়তা থেকে রেহাই পেয়েছি। ওই সময়সীমার মধ্যে শুল্কসংক্রান্ত জটিল আলোচনা আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে পেরেছিলাম। তা না হলে আমরা এ সিদ্ধান্তটি পেতাম না; এবং গত এপ্রিলে ধার্য করা ৩৫ শতাংশ শুল্কের গুরুভার আমাদের বহন করে যেতে হতো।’
আরও পড়ুনরপ্তানি বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই, প্রতিযোগিতামূলক অবস্থায় থাকব: বাণিজ্য উপদেষ্টা৪ ঘণ্টা আগেখলিলুর রহমান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ওপর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করেছেন, যা আমাদের প্রধান প্রতিযোগী দেশগুলোর সমান অথবা যত্সামান্য বেশি; এবং ভারতের থেকে ৫ শতাংশ কম। সুতরাং আমেরিকার বাজারে আমাদের রপ্তানি পণ্য প্রতিযোগিতামূলক থাকবে। তৈরি পোশাকশিল্প ও এর ওপর নির্ভরশীল লাখ লাখ মানুষের জন্য এটি অত্যন্ত স্বস্তিকর ঘটনা।’
আরও পড়ুনএটা আমাদের পোশাক খাতের ওপর নির্ভরশীল লাখো মানুষের জন্য সুসংবাদ: খলিলুর রহমান২ ঘণ্টা আগে