সাধ্যের সব চেষ্টা করেও পারেননি এনামুল হক বিজয়। ৪১১ রানের ম্যাচ শেষ পর্যন্ত তাকে হারতে হয়েছে ৭ রানে। নিজে সেঞ্চুরি করেছেন। কিন্তু দল হেরেছে। তাইতো পুরো আকাশটাই যেন ভেঙে পড়েছে মাথায়। 

শেষ ওভারে ৬ বলে ১৭ রানের সমীকরণ এনামুল মেলাতে পারেননি। ২১০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ম্যাচের পঞ্চম ওভারে ক্রিজে আসেন এনামুল। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে দুর্বার রাজশাহীর স্কোরবোর্ডে তখন রান ১ উইকেটে ৪৭। সেখান থেকে ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত টিকে ছিলেন। শেষ বলে এক রান নিয়ে পেয়েছেন সেঞ্চুরি। ৫৭ বলে বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি করেছেন ৯ চার ও ৫ ছক্কায়। ইনিংস জুড়েই অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন। দলকে লড়াইয়ে রেখেছেন। ম্যাচটা নিয়ে গেছেন গভীরে। 

কিন্তু শেষ হাসিটা হাসতে পারেননি। ম্যাচের পর মাঠে হতাশ এনামুলকে দেখা যায়। বিমর্ষ, বিষন্ন এনামুলের চোখে ছিল পানি। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে হতাশার চাদরে মুড়ে রইলেন এনামুল। 

‘‘আসলে আমার ইনিংস নিয়ে বিশেষ করে বলার কিছু নেই। স্কোরবোর্ডে দেখছিলাম ম্যাচটা কতটুকু গভীরে নিয়ে যাওয়া যায়। রানরেট কত চলছে। ব্যাটিংয়ে ভেবেছি উইকেটে থাকি বল অনুযায়ী খেলতে থাকি।’’

‘‘আফিফের একটা ক্যাচ ছিল। ৬-৭ জন আউট হয়ে যেতে পারতাম। তবুও আল্লাহ হয়ত দিয়েছে (জীবন)। তাই এত বড় রান হয়েছে। ম্যাচ জেতাতে পারলে আলাদা শান্তি লাগত। এমন ম্যাচ জেতাতে পারা কিন্তু ব্যাটসম্যানের জন্য স্বপ্নের মত ব্যাপার। সবার আশা থাকে ক্যারিয়ারে এমন ৫-৬টা ম্যাচ সে জেতাবে। একা নিজের হাতে। তখন নিজের ইনিংসটা মূল্যায়ন করতে পারতাম। একটা সংখ্যা (সেঞ্চুরি) ভালো সংখ্যা সুন্দর সংখ্যা। আফসোস থেকে যাবে।’’

শেষ দিকে দুইটি ফুলটস মিস করার আক্ষেপে পুড়ছেন এই সেঞ্চুরিয়ান, ‘‘আমি দুইটা বল স্লটে ছিল মিস হয়ে গেছে। একটা এই পাশ থেকে যে (আরশাদ) করলো, একটা হাসানের বলে। দুইটা আমি মিস করেছি।’’ 

ম্যাচে বেশ কিছু দৃষ্টিনন্দন শট খেলেছেন এনামুল। পুল শটে ছক্কা পেয়েছেন। রিভার্স সুইপ করে করে পেয়েছেন চার-ছক্কা। ঝুঁকি নিয়ে রিভার্স সুইপ করে বাউন্ডারি পাওয়ার পেছনে নিরলস পরিশ্রম এবং বেশ কিছু মানুষের অবদানের কথা বললেন এনামুল, 

‘‘আমরা যেসব ইনিংস দেখি এর পেছনে বল বয়, কোচ, থ্রোয়ার, যারা কাছের মানুষ আছে তাদের আসলে ধন্যবাদ দিয়ে শেষ করা যাবে না। সেই সকাল থেকে যে অনুশীলন করি এটা ৩৬০ ডিগ্রি বলেন বা আন অর্থোডক্স শট বলেন, এগুলো সম্ভব তাদের জন্য। সেঞ্চুরির জন্য আমার কোচ এবং একটা বন্ধুকে ধন্যবাদ দিতে চাই। সবসময় আমার পাশে থাকে, আমার অনুপ্রেরণা দেয়। খুব ইতিবাচক থাকে। আমার খুব পছন্দের এবং কাছের মানুষ বিপ্লব ভাই এবং বন্ধু মাসুদ এই দুইজনকে উৎসর্গ করতে চাই।’’

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পাল্টা শুল্ক কার্যকরে নতুন সময়সূচি ঘোষণা ট্রাম্পের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া সর্বশেষ নির্বাহী আদেশে বিভিন্ন দেশের ওপর আরোপিত নতুন শুল্কহার কার্যকর হওয়ার সময়সূচিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৭ আগস্ট থেকে তা কার্যকর হবে।

এর আগে ট্রাম্প ১ আগস্টের মধ্যে বাণিজ্যচুক্তি সম্পন্ন করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। তখন তিনি বলে দিয়েছিলেন, এ সময়ের মধ্যে চুক্তিতে না পৌঁছালে চড়া শুল্ক আরোপ করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বৃহস্পতিবার নতুন নির্বাহী আদেশে ৭০টির বেশি দেশের ওপর নতুন পাল্টা শুল্কহার ঘোষণা করেছেন। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সেগুলো আগামী সাত দিনের মধ্যে কার্যকর হবে।

যেসব পণ্য ৭ আগস্টের মধ্যে জাহাজে তোলা হবে বা বর্তমানে যাত্রাপথে রয়েছে এবং সেগুলো যদি ৫ অক্টোবরের আগে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছে যায়, তবে সেগুলোর ক্ষেত্রে শুল্ক প্রযোজ্য হবে না।

অবশ্য কানাডার ওপর যুক্তরাষ্ট্র আরোপিত ৩৫ শতাংশ শুল্ক ১ আগস্ট অর্থাৎ আজ থেকেই কার্যকর হচ্ছে।

আরও পড়ুনকোন দেশে কত শুল্ক বসালেন ট্রাম্প৪ ঘণ্টা আগে

উত্তর আমেরিকার এই দুই প্রতিবেশী দেশ একে অপরের অন্যতম বড় বাণিজ্য সহযোগী হলেও ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে অস্বস্তিকর দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।

কানাডা যেসব পণ্য রপ্তানি করে, তার প্রায় তিন-চতুর্থাংশই যায় যুক্তরাষ্ট্রে। ধাতব পদার্থ ও কাঠের পাশাপাশি কানাডা বিপুল পরিমাণে তেল, গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশ, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, খাদ্যপণ্য এবং ওষুধ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করে।

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যারা বাণিজ্য চুক্তি করেনি, তাদের জন্য অনেক দেরি হয়ে গেছে: ট্রাম্প১ ঘণ্টা আগে

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা চালিয়ে যেতে আগ্রহী। তবে তিনি সতর্ক করেছেন, নতুন ৩৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে আর কোনো চুক্তির সুযোগ নেই।

সম্পর্কিত নিবন্ধ