অভ্যুত্থানই সরকারের ম্যান্ডেট: এবি পার্টি
Published: 21st, January 2025 GMT
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, কেউ কেউ প্রশ্ন করেন এই সরকারের ম্যান্ডেট কী? সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই অভ্যুত্থান নিজেই স্বতন্ত্র ম্যান্ডেট। জনগণ একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকার গঠন করেছে, যার ফলে এটি জনগণেরই সরকার।
মঙ্গলবার রাজধানীর বিজয়নগরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। নির্বাচন ব্যবস্থা ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের বিষয়ে দলীয় মূল্যায়ন জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
নির্বাচন কবে হতে পারে প্রশ্নে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, এবি পার্টি প্রথম নির্বাচনের সময়সীমা দুই বছরের কথা বলেছিল। ঘুরে ফিরে এখন সেই বিষয়টিই আলোচিত হচ্ছে।
এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের সঞ্চালনায় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের বিষয়ে বলেন, দ্বিকক্ষের আইনসভার জন্য বাংলাদেশ এখনও প্রস্তুত কি না ভাবতে হবে। অতীতের সরকারগুলো যত কমিশন গঠন করেছিলো, তার রিপোর্ট কখনো জনগণের সামনে আসেনি। এই প্রথম সরকার প্রতিবেদন জনগণের সামনে এসেছে। সংবিধানের মূলনীতিতে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের আলোকে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারকে যুক্ত করায় কমিশনকে ধন্যবাদ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, উন্নত রাষ্ট্রেও দ্বিকক্ষ সংসদে আইন পাসে জটিলতায় পড়তে হয়। তাই কক্ষ না করে, সংসদের নারীদের সংরক্ষিত ৫০ আসনের পাশাপাশি আরও ৫০ আসন পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও বিভিন্ন পেশাজীবীদের জন্য সংরক্ষিতের প্রস্তাব করেছিল এবি পার্টি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
জনগণের ঐক্য থাকলে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থাকে কবর দিতে পারব: সাকি
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘যদি জনগণের ঐক্য থাকে, তাহলে এই দেশে ফ্যাসিবাদ যেমন পালিয়েছে, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থাকেও আমরা কবর দিতে পারব। আর যে লুটপাটের রাজত্ব, দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম হয়েছে, সেটাকেও আমরা কবর দিতে পারব।’
আজ শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই গণসমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জোনায়েদ সাকি। সমাবেশের আয়োজন করে গণসংহতি আন্দোলন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ জুলফিকার আহমেদ শাকিলের মা আয়েশা বেগম সমাবেশ উদ্বোধন করেন।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ‘লুটপাট, দুর্নীতি আমরা বন্ধ করতে না পারলে দেশে নতুন ক্ষমতাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা হবে না। শহীদদের স্বপ্নপূরণে নতুন রাজনৈতিক এবং ক্ষমতাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
জোনায়েদ সাকি বলেন, ক্ষমতা দিয়ে টাকাপয়সা ধনসম্পদ আহরণ করা বাংলাদেশে গুম–খুন, অত্যাচার, ত্রাসের রাজত্বের ভিত্তি ছিল ফ্যাসিবাদী শাসন। ক্ষমতা দিয়ে টাকাপয়সা, ধনসম্পদ আহরণ করতে গিয়ে ব্যাংক, বিমা, ব্যবসা-বাণিজ্য, সব উন্নয়ন প্রকল্প—সব খেয়ে ফেলেছিল তারা।
এ সময় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহতদের দায়িত্ব নিতে অন্তর্বর্তী সরকার কেন ব্যর্থ হয়েছে, তার ব্যাখ্যা ৫ আগস্টের মধ্যে জানানোর দাবি জানিয়েছেন জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক লক্ষণ দেখছি, যেন পুরোনো ব্যবস্থাই আবার আমাদের মধ্যে জায়গা করে নিচ্ছে। আমরা দেখলাম শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা এখনো হয়নি। আহতদের চিকিৎসা এখনো হয়নি।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। আজ শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে