চট্টগ্রাম পর্বের শেষ দিন: রংপুরের সামনে দুর্বল রাজশাহী
Published: 23rd, January 2025 GMT
সিলেটের পর বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব শেষ হওয়ার পথে। বৃহস্পতিবার রংপুর রাইডার্স ও দুর্বার রাজশাহী এবং খুলনা টাইগার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্সের ম্যাচ দিয়ে শেষ হবে চট্টগ্রামের বিপিএল।
দুপুর দেড়টায় মাঠে নেমেছে রংপুর রাইডার্স ও দুর্বার রাজশাহী। টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রংপুর রাইডার্স। দুই দল এবারই প্রথম মুখোমুখি হচ্ছে।
টেবিল টপার রংপুর বিপিএলে ছুটছে দুর্বার গতিতে। অন্যদিকে নামেই কেবল দুর্বার রাজশাহী। আদতে ‘দুর্বল’ রাজশাহী ভালো করতে পারছে না কিছুতেই।
আরো পড়ুন:
আশা জাগিয়ে খুলনার হার, প্লে’অফের আরও কাছে বরিশাল
তামিম-মালানের গোল্ডেন ডাক, বিপর্যয়ের পর লড়াকু পুঁজি বরিশালের
নয় ম্যাচে মাত্র তিন জয় রাজশাহীর। অন্যদিকে রংপুর আট ম্যাচে আটতেই জিতে সবার আগে নিশ্চিত করেছে প্লে অফ। তাদের এখন লড়াইটা শীর্ষ এক-দুইয়ে থাকার।
সিলেটের মতো চট্টগ্রামে তেমন রান উৎসব হয়নি। তবে খেলা হয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ। কেননা এই মাঠের সীমানা ছিল আদর্শ ক্রিকেট মাঠে। সিলেটে মাঠের সীমানা ছিল একেবারেই ছোট। যা নিয়ে হয়েছিল প্রবল সমালোচনা।
সিলেটের বাউন্ডারির সীমানা দুই পাশে ছিল কেবল ৫৮-৬০ মিটার। সোজাসুজি ৬০-৬৩ মিটার। অথচ ক্রিকেট মাঠের আদর্শ সীমানা সোজাসুজি ৭০-৭২ মিটার। দুই পাশে ৬৫-৭০ মিটার। চট্টগ্রামের বাউন্ডারি ছিল একই রকম। সোজাসুজি ৭০ মিটার। পূর্ব পাশে ৬৯ মিটার। পশ্চিম পাশে ৬৭ মিটার।
শেষ দিনে ব্যাট-বলের উত্তাপ কতটা ছড়ায় সেটাই দেখার।
দুর্বার রাজশাহী একাদশ: তাসকিন আহমেদ, এনামুল হক বিজয়, মোহাম্মদ হারিস, ইয়াসির আলী, আকবর আলী, রায়ান বার্ল, সানজামুল ইসলাম, মেহরব হাসান, সাব্বির হোসেন, মোহর শেখ ও শফিউল ইসলাম।
রংপুর রাইডার্স একাদশ: কাজী নুরুল হাসান সোহান, শেখ মাহেদী, সাইফ হাসান, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, ইরফান শুক্কুর, নাহিদ রানা, রাকিবুল হাসান, ইফতেখার আহমেদ, খুশদীল শাহ, স্টিভেন টেইলর ও আকিফ জাভেদ।
চট্টগ্রাম/ইয়াসিন/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে বিএসএফ
বাংলায় কথা বললেই পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের বাংলাদেশে জোর করে পাঠিয়ে দিচ্ছে বিএসএফ ও দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকার। আজ সোমবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনে সীমান্ত সুরক্ষা ও পুশ ব্যাক বিষয়ে বিধায়কদের আনা প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার বাসিন্দা মেহবুব শেখকে (৩৬) ঠেলে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে বিএসএফের উত্তরবঙ্গের শাখা। ওই ব্যক্তি মহারাষ্ট্রের ঠাণেতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। গত ১১ জুন তাকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
মেহবুবের ভাই মুজিবুর রহমান জানান, তার বড় ভাইকে গত শুক্রবার ভোর রাতে শিলিগুড়ির বিএসএফ বাংলাদেশে ‘পুশ ব্যাক’ করেছে। তিনি আরও জানান, পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্যদের সভাপতি সামিরুল ইসলাম ওই শ্রমিকের দুর্দশার বিষয়টি জানার পর মহারাষ্ট্র পুলিশের যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় নথিপত্র পাঠান। তার মধ্যে মেহবুবের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত বিবরণ ও পঞ্চায়েতের সার্টিফিকেট রয়েছে। তবে মহারাষ্ট্র পুলিশ ওই সব নথিপত্রকে গুরুত্ব দেয়নি। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের পক্ষেও মহারাষ্ট্র পুলিশকে মেহবুবের ভারতীয় নাগরিকত্ব নিশ্চিত করে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল ঠাণেতে। তাতেও কাজ হয়নি।
মেহবুবের ভাই গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তারা মুম্বাইয়ের ঠাণেতে গেলে মহারাষ্ট্র পুলিশ বলেছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে আটক মেহবুবসহ আরও কয়েকজনকে তারা শিলগুড়িতে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। শিলিগুড়ির বিএসএফের ইউনিটে তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। পরে তারা জানতে পারেন, গত শুক্রবার ভোরে মেহবুবসহ আটক সবাইকে ‘পুশ ব্যাক’ করা হয়েছে। যদিও সরকারিভাবে বিএসএফ এবং মহারাষ্ট্র পুলিশ এই বিষয়ে কিছু জানায়নি। গত এক দেড় মাস ধরে বিএসএফের পুশ ব্যাক চললেও এই বাহিনী সরকারিভাবে কিছু জানাচ্ছে না। অন্যদিকে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছে, বিএসএফ এমন অনেককে ঠেলে পাঠাচ্ছে যাদের কাছে ভারতীয় হিসেবে নথিপত্র আছে।